৭ ইঞ্চি ট্যাবলেট লড়াইঃ কিন্ডল ফায়ার এইচডি বনাম নেক্সাস ৭

নেক্সাস ৭ বনাম কিন্ডল ফায়ার এইচডি

অ্যাপল যখন প্রথম বাজারে আইফোন আনে, তখনই বিশ্ববাজারে গড়ে ওঠে স্মার্টফোন নামের নতুন একটি শিল্প। পেটেন্ট নিয়ে অ্যাপল যত যা-ই করুক না কেন, এ কথা মানতেই হবে যে, স্মার্টফোনের জগতের সঙ্গে পরিচয়টা অ্যাপলই করিয়ে দিয়েছে। অ্যাপল তারপর থেকে নিজের মতো করে তাদের প্লাটফর্মকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আর গুগল তৈরি করেছে তাদের নিজেদের একটি অপারেটিং সিস্টেম। যেখানে অ্যাপল স্মার্টফোনের ডিভাইস ও সফটওয়্যার দু’টোই নিজেরা তৈরি করে, গুগল কেবল সফটওয়্যারটি তৈরি করতে শুরু করে ও মটোরোলা, এইচটিসিসহ বিভিন্ন কোম্পানির হাত ধরে বাজারে ছাড়ে অ্যান্ড্রয়েড-চালিত স্মার্টফোন।

সেই থেকে অ্যান্ড্রয়েড আইফোনের জনপ্রিয়তাকেও ছাড়িয়ে যায়। আর এরপর অ্যাপল তৈরি করে আরও একটি শিল্প। আর তা হলো, ট্যাবলেট ডিভাইস। ট্যাবলেট জগতের হাতটা আইপ্যাডের হাত দিয়ে জমে ওঠে। যদিও আজ অবধি ট্যাবলেট জগতে আইপ্যাডই শীর্ষে, অ্যান্ড্রয়েডকে ভিত্তি করে ট্যাবলেট ডিভাইস তৈরি করা কখনোই থেমে থাকেনি। বরং, এ বছরের মাঝামাঝি থেকে ২০০ ডলারের মধ্যে ট্যাবলেট ডিভাইস বাজারে ছাড়ার প্রতিযোগিতাটা তুঙ্গে ওঠে। অ্যামাজন যখন তাদের কিন্ডল ফায়ার দিয়ে বাজারে সবচেয়ে কম দামে সর্বোচ্চ মানের ট্যাবলেট হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিল, ঠিক তখনই গুগল আসুসের সঙ্গে মিলে বাজারে আনে নেক্সাস ৭ ট্যাবলেট। গুগলের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তৈরি এই ট্যাবলেটে এনভিডিয়া টেগরা ৩ চিপসেট ও কোয়াড-কোর প্রসেসর দেয়া হয়। আর সারপ্রাইজটা ধরে রাখা হয় এর দামে। মাত্র ১৯৯ ডলারেই বাজারে ছাড়ে গুগল নেক্সাস ৭।

নেক্সাস ৭

নেক্সাস ৭-এর জবাবেই অ্যামাজন সম্প্রতি বাজারে আনে তাদের কিন্ডল ফায়ার এইচডি। নতুন এই ট্যাবলেটটিও ১৯৯ ডলার থেকে বিক্রি শুরু হয়। দু’টোর দাম ও ডিসপ্লের আকার এক হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এই দু’টোর মধ্যে থাকা তফাৎ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। অ্যান্ড্রয়েড কথনের আজকের পোস্ট হবে এই দুই নতুন ট্যাবলেটের তুলনা নিয়ে। এখানে আমি জানাবো স্পেসিফিকেশনের দিক দিয়ে কোন ডিভাইসটি আপনার জন্য সত্যিই ভালো হবে এবং কেন।

ডিসপ্লে

অ্যামাজন কিন্ডল ফায়ার এইচডি ও নেক্সাস ৭ দু’টোর ডিসপ্লের আকারই ৭ ইঞ্চি। এছাড়াও দু’টি ট্যাবলেটের ডিসপ্লে রেজুলেশনই ১২৮০ বাই ৮০০ পিক্সেল যা এইচডি ভিডিও দেখতে যতটুকু প্রয়োজন (১২৮০ বাই ৭২০) তার চেয়ে বেশি (তবে ফুল এইচডির চেয়ে কম)। তবে অ্যামাজন দাবি করছে তাদের ডিসপ্লেতে দেয়া হয়েছে আইপিএস এবং অ্যান্টি-গ্লেয়ার প্রযুক্তি।

কিন্ডল ফায়ার এইচডি

আইপ্যাডের সঙ্গে তুলনা করলে দু’টি ডিভাইসেই আইপ্যাড ২ এর তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি পিক্সেল রয়েছে। তবে আইপ্যাড ৩ এ যত পিক্সেল আছে তার মাত্র তিনভাগের একভাগ পিক্সেল রয়েছে এগুলোয়। এছাড়াও যেখানে আইপ্যাড ২-এর পিক্সেল পার ইঞ্চি (পিপিআই) ২০০-এরও নিচে, সেখানে নেক্সাস ৭ ও কিন্ডল ফায়ার এইচডি দু’টোরই রয়েছে ২১৬ পিপিআই। তবে আইপ্যাড ৩ এর সঙ্গে তা তুলনীয় নয় যার রয়েছে ২৬৪ পিপিআই।

আইপ্যাড ৩ এর মতোই অ্যামাজনের কিন্ডল ফায়ার এইচডি সম্পর্কে ভালো মতামত দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা। কিন্তু সমস্যা বেঁধেছে এসে নেক্সাস ৭-এর বেলায় যেটি অপেক্ষাকৃত আগে বাজারে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নেক্সাস ৭-এর ফ্যাক্টরি ডিসপ্লে ক্যালিব্রেশনে কিছু সমস্যা থাকায় এতে ছবির মান অনেকটা কমে যায়। ডিসপ্লে মেট বলছে, ইনটেনসিটি স্কেল বা গ্রে স্কেলে নেক্সাস ৭ ইরেগুলার হওয়ায় ছবির মান খুব খারাপ হয়ে যায়। ব্রাইট ছবিগুলো অনেকটা ওয়াশড আউট ছবির মতো over-exposed দেখায়। এছাড়াও স্টিল ছবি দেখার সময় একটির পর আরেকটি দেখে আবার পূর্ববর্তী ছবিতে ফিরে গেলে তার লুমিনেন্সও এক থাকে না। অর্থাৎ, একই ছবি একেকবার একেক রকম দেখায়। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন ডিসপ্লেমেট-এর এই লেখায়

নেক্সাস ৭

তবে যারা টেস্টগুলো করেছেন তারা বলেছেন, এই সমস্যাগুলো সফটওয়্যার সংক্রান্ত। তাই ভবিষ্যতে কোনো সফটওয়্যার আপডেট কিংবা অ্যান্ড্রয়েডের পরবর্তী সংস্করণ কি লাইম পাই-এ আপডেট করার পর ডিসপ্লে সংক্রান্ত সমস্যা নেক্সাস ৭ থেকে দূর হয়ে যেতে পারে বলেই আশা করা হচ্ছে।

মন্তব্যঃ আমার মতে কিন্ডল ফায়ার এইচডি-ই ডিসপ্লের দিক দিয়ে সেরা। এতে তেমন কোনো সমস্যা এখনও দেখা যায়নি আর এর অ্যান্টি-গ্লেয়ার প্রযুক্তি সত্যিই অনেক কাজের।

প্রসেসর

গুগল নেক্সাস ৭

অ্যামাজন তাদের কিন্ডল ফায়ার এইচডি’র ৭ ইঞ্চি আকারের ডিভাইসে জুড়ে দিয়েছে ১.২ গিগাহার্জ ওএমএপি৪ ৪৪৬০ প্রসেসর যা ডুয়েল কোর বিশিষ্ট। অ্যামাজন বলছে, এই শক্তিশালী প্রসেসরেও টানা ১১ ঘণ্টা ওয়েব ব্রাউজিং করা সম্ভব। অন্যদিকে নেক্সাস ৭-এ রয়েছে আরও শক্তিশালী কোয়াড-কোর ১.৩ গিগাহার্জ প্রসেসর। আর এতে রয়েছে খ্যাতনামা টেগরা ৩ চিপসেট। এটিও ১০ ঘণ্টা ওয়েব ব্রাউজিং-এ ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সমর্থ বলে বলা হয়েছে।

জিপিইউ বা গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট হিসেবে অ্যামাজন তাদের কিন্ডল ফায়ার এইচডিতে দিয়েছে পাওয়ার ভিআর SGX540 এবং নেক্সাস ৭-এ রয়েছে ইউএলপি জিফোর্স। দু’টি ডিভাইসেই দেয়া হয়েছে ১ গিগাবাইট র‌্যাম।

কিন্ডল ফায়ার এইচডি’র একটি বড় সুবিধা হচ্ছে এর মাইক্রো-এইচডিএমআই পোর্ট যার মাধ্যমে একে এইচডিটিভিতে সংযুক্ত করা সম্ভব। নেক্সাস ৭-এ কিন্ডল ফায়ার এইচডি’র চেয়ে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর রাখা হলেও তার জন্য কোনো আউটপুট নেই। যা অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে।

মন্তব্যঃ প্রসেসরের হিসেবে তুলনা করলে জয়ীর পতাকাটা যাবে গুগলের কাছে। কেননা, নেক্সাস ৭ কিন্ডল ফায়ার এইচডি’র ৭ ইঞ্চি ডিভাইসের তুলনায় অনেক শক্তিশালী। তাই পারফরম্যান্সের দিক দিয়েও নেক্সাস ৭ এগিয়ে থাকলে বলে আশা করা যায়।

ক্যামেরা

কিন্ডল ফায়ার এইচডি

দু’টি ডিভাইসের কোনোটিতেই পেছনে কোনো ক্যামেরা নেই। তাই আইপ্যাডের মতো ট্যাবলেট দিয়ে ফটোগ্রাফি করার শখ পূরণ করা সম্ভব নয় এই দুই ডিভাইস দিয়ে। তবে তাই বলে প্রথম প্রজন্মের আইপ্যাডের মতো ক্যামেরা একেবারেই না দেয়ার ভুল করেনি অ্যামাজন বা গুগল। অ্যামাজন কিন্ডল ফায়ার এইচডি’র সামনের দিকে দিয়েছে ১.৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। তবে জিএসএমএরিনা বলছে, এই ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও রেকর্ডিং করা সম্ভব নয়। এই ব্যাপারটি আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি। তবে  স্কাইপ দিয়ে ভিডিও কল করা যাবে বলেই আমাদের ধারণা।

অন্যদিকে গুগল তাদের নেক্সাস ৭-এ ১.২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দিয়েছে যা দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করা সম্ভব।

মন্তব্যঃ যদিও সামনের ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও রেকর্ড খুব একটা করা হয় না, তবুও ভিডিও রেকর্ড করার সুবিধাটি থাকা ভালো। তাই ক্যামেরা মেগাপিক্সেল কম হলেও ক্যামেরার হিসেবে আমার ভোটটা গুগলের নেক্সাস ৭-এই যাবে।

স্টোরেজ/ধারণ ক্ষমতা

স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বা ধারণ ক্ষমতা যে কোনো ডিভাইস পছন্দের ক্ষেত্রে অন্যতম বিবেচ্য বিষয়। এই স্টোরেজের উপরেই অনেকাংশে নির্ভর করবে আপনি কতগুলো অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করতে পারবেন ও কী পরিমাণ মিডিয়া ফাইল (গান, ছবি, ভিডিও) ডিভাইসে রাখতে পারবেন। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের অন্যতম সুবিধাই হচ্ছে এগুলোর বেশিরভাগই আলাদা মাইক্রোএসডি স্লট সাপোর্ট করে। ফলে, ইন্টারনাল মেমোরি যতটুকুই থাকুক না কেন, মাইক্রো এসডি কার্ড ঢোকানোর মাধ্যমে ডিভাইসের ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে পারবেন ইচ্ছেমতো।

কিন্ডল ফায়ার এইচডি

কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ডিভাইসে এই স্বাধীনতা দূর করে দেয়া হয়েছে। স্পষ্টই বলা যায় যে, এটি কেবল ব্যবসায়িক একটি পরিকল্পনার ফল। তাই মাইক্রোএসডি কার্ডের স্লট দেয়া হচ্ছে না নতুন অনেক ডিভাইসে। হতাশাজনক হলেও সত্যি যে, কিন্ডল ফায়ার এইচডি ও নেক্সাস ৭ দু’টোর একটিও আলাদা কার্ড সাপোর্ট করে না। দু’টোরই বিল্ট-ইন ফিক্সড মেমোরি ক্যাপাসিটি। আর একই দামে দু’টোতেই পাবেন ১৬ গিগাবাইট মডেল।

অপারেটিং সিস্টেম

এইখানে এসে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন, দু’টি ডিভাইসই তো অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করছে। তাহলে অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে আবার কী বলার আছে? মজার বিষয় হচ্ছে, নেক্সাস ৭ এবং অ্যামাজনের কিন্ডল ফায়ারের মূল পার্থক্যই হচ্ছে এর অপারেটিং সিস্টেম। যেখানে নেক্সাস ৭ অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটের মতোই অ্যান্ড্রয়েডের একটি সংস্করণ (জেলি বিন) ব্যবহার করছে, সেখানে কিন্ডল ফায়ার এইচডি ব্যবহার করছে অ্যান্ড্রয়েডের একটি সংস্করণের (আইসক্রিম স্যান্ডউইচ) হাইলি কাস্টোমাইজড সংস্করণ।

অ্যামাজন মূলত অ্যান্ড্রয়েডের সোর্স কোড নিয়ে তাদের নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছে এই অপারেটিং সিস্টেমকে। একে টেকনিক্যাল ভাষায় অ্যান্ড্রয়েড ফর্কও বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ, অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করলেও গুগলের সঙ্গে কোনো প্রকার চুক্তিতে বা অঙ্গীকারপত্রে যেতে হয়নি অ্যামাজনকে। ফলে অ্যামাজন চোখ বুজে গুগল প্লে স্টোরের মতো বিভিন্ন গুগল সেবা বাদ দিয়েছে কিন্ডল ফায়ার থেকে। তাই অ্যাপ্লিকেশন বা গেমস ডাউনলোড করতে হলে গুগল প্লে স্টোরে ঢুকতে পারবেন না কিন্ডল ফায়ার এইচডি থেকে। বরং, অ্যামাজনের নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশন স্টোরের দ্বারস্থ হতে হবে।

অ্যামাজন অ্যান্ড্রয়েডকে এভাবে ব্যবহার করতে পারছে কারণ তারা ওপেন হ্যান্ডসেট এলায়েন্সের সদস্য নয়। যেসব কোম্পানি ওপেন হ্যান্ডসেট এলায়েন্সের সদস্য, তারা চাইলেই নিজেদের মতো করে অ্যান্ড্রয়েডকে কাস্টোমাইজ করতে পারেন না। তারা কেবল ইউজার ইন্টারফেসটা পরিবর্তন করতে পারেন। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত রয়েছে এসারের সঙ্গে গুগলের সাম্প্রতিক দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রকাশিত একটি পোস্টে যা এখানে পড়তে পারবেন

যাই হোক, মূল বিষয় হচ্ছে, পারফরম্যান্স ভালো পেলেও গতানুগতিক অ্যান্ড্রয়েড এক্সপেরিয়েন্স পাবেন না কিন্ডল ফায়ার এইচডিতে। নতুন নতুন সব আপডেটও এতো দ্রুত পাবেন না। যেহেতু গুগল নিজেরাই নেক্সাস ৭ বাজারে এনেছে, তাই জেলি বিনের মতোই আগামী নতুন সব সংস্করণ এটিই সবার আগে পাবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়। কাজেই, এখানে সিদ্ধান্ত আপনার।

মন্তব্যঃ আমি কিনতে গেলে কেবল অপারেটিং সিস্টেমকে বিবেচনায় আনলে নির্দ্বিধায় নেক্সাস ৭-এর দিকে হাত বাড়াতাম। আর আমার মনে হয় আপনারও অপারেটিং সিস্টেমের বিচারে নেক্সাস ৭-কেই পছন্দ করা উচিৎ।

ইন্টারনেট

অ্যামাজনের কিন্ডল ফায়ার এইচডি আর নেক্সাস ৭ দু’টোর একটাতেও সিম কার্ড সুবিধা নেই। ফলে, মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের উপায় নেই। সত্যি কথা বলতে গেলে, এটিই বিশেষ করে নেক্সাস ৭-এর প্রধান দুর্বলতা। অন্তত বাংলাদেশের মতো দেশের প্রেক্ষাপটে যেখানে প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে আর রেস্টুরেন্টে ওয়াই-ফাই হটস্পট বসানো নেই। বাসায় ওয়াই-ফাই রাউটার বসিয়ে নিলে নিশ্চিন্তে ব্রাউজিং করতে পারবেন ঠিকই, কিন্তু বিপত্তিটা বাঁধবে বাইরে গেলে। তখন আপনার একটি স্মার্টফোন থাকলে সেটিকে হটস্পট হিসেবে বানিয়ে অথবা পকেট রাউটার কিনে ব্যবহার করতে হবে দু’টো ডিভাইসের দু’টিই।

মন্তব্যঃ যেটা খুশি নিন। দু’টোর একই সমস্যা! 😐

এক নজরে স্পেসিফিকেশনস

নেক্সাস ৭

এতক্ষণ তো অনেক কথাই শুনলেন। কিন্তু এখন যদি স্পেসিফিকেশনগুলো বলতে বলি, বলতে পারবেন কি? পারবেন না কিন্তু! অথচ উপরে সবগুলোই লেখা আছে!

যাই হোক, এক নজরে দেখে নিন এই দুই ট্যাবলেটের স্পেসিফিকেশনঃ

কিন্ডল ফায়ার এইচডি নেক্সাস ৭
স্ক্রিনের আকার ৭ ইঞ্চি ৭ ইঞ্চি
রেজুলেশন 1,280 x 800 1,280 x 800
ওজন ৩৯৫ গ্রাম ৩৪০ গ্রাম
সিপিইউ ডুয়েল কোর ১.২ গিগাহার্জ ওএমএপি৪ ৪৪৬০ কোয়াড কোর ১.৩ গিগাহার্জ টেগরা ৩ চিপসেট
ধারণক্ষমতা ১৬ গিগাবাইট এবং ৩২ গিগাবাইট ৮ গিগাবাইট এবং ১৬ গিগাবাইট
কানেক্টর মাইক্রো ইউএসবি ২.০ এবং মাইক্রো এইচডিএমআই আউটপুট মাইক্রো ইউএসবি ২.০
অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ৪.০ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ (গুগল প্লে স্টোর নেই) অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলি বিন
ব্যাটারি ব্যাকআপ টানা ১১ ঘণ্টা ওয়েব ব্রাউজিং টানা ১০ ঘণ্টা ওয়েব ব্রাউজিং
ক্যামেরা সম্মুখবর্তী ১.৩ মেগাপিক্সেল, ভিডিও রেকর্ড সুবিধা নেই ১.২ মেগাপিক্সেল সম্মুখবর্তী ক্যামেরা
ওয়াই-ফাই ডুয়েল ব্যান্ড, ডুয়েল অ্যান্টেনা ওয়াই-ফাই (801.11 b/g/n) সিঙ্গল ব্যান্ড ওয়াই-ফাই (801.11 b/g/n)
দাম ১৬ গিগাবাইট ১৯৯ ডলার ও ৩২ গিগাবাইট ২৪৯ ডলার ১৬ গিগাবাইট ১৯৯ ডলার ও ৩২ গিগাবাইট ২৪৯ ডলার

 আরও পড়ুনঃ স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৩ বনাম অ্যাপল আইফোন ৫

এবার আপনার পালা

কিন্ডল ফায়ার এইচডি ও নেক্সাস ৭ নিয়ে সব কথাই তো বলা হলো। এবার আপনার পালা। আমার এতোগুলো লেখার বিপরীতে আপনার কেবল মন্তব্য আশা করা নিশ্চয়ই খুব বেশি কিছু না!

তুলনামূলক লেখাটি পড়া শেষে আপনার মন্তব্য জানান নিচের ঘরে। আপনি কিনতে গেলে এখন কোন ডিভাইসটি কিনবেন এবং কেন? স্পেসিফিকেশনের ভিত্তিতে কিন্ডল ফায়ার এইচডি আর নেক্সাস ৭-এর মধ্যে কোনটি আপনার পছন্দ হয়েছে?