হ্যান্ডস-অন রিভিউ: Symphony Roar A50 অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান

ইন্টারফেস

symphony roar a50 interface

আপনি হয়তো ইতিমধ্যেই জানেন যে, সিম্ফনি রোর এ৫০ বা যে কোনো অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান ফোনে স্টক অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ফলে ব্লোটওয়্যার বা কোম্পানির তৈরি বাড়তি কোনো কাস্টোমাইজেশন থাকে না। এতে করে ব্যবহারকারীরা বেশ লাইটওয়েট একটি অপারেটিং সিস্টেম পেয়ে থাকেন।

স্টক অ্যান্ড্রয়েডের ইন্টারফেস নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই স্টক অ্যান্ড্রয়েডের ইন্টারফেসের সঙ্গে পরিচিত। সেই সঙ্গে রয়েছে সিম্ফনির চিরাচরিত ওয়ালপেপার যা এই রিভিউয়ের জন্য স্ক্রিনশট নেয়ার আগে বদলে নেয়া হয়েছে।

symphony roar a50 google apps interface

ছবি দেখার জন্য গ্যালারি কোনো অ্যাপ্লিকেশন নেই। গুগলের বিল্ট-ইন ফটোস অ্যাপ্লিকেশন দিয়েই ছবি দেখতে হবে।

symphony roar a50 interface

বিল্ড নাম্বারে ৫ বার ট্যাপ করে ডেভেলপার সেটিংস এনাবল করা যায় যার মাধ্যমে সেটের বাড়তি কিছু অ্যাডভান্সড সেটিংস পাওয়া যাবে।

symphony roar a50 keyboard

সুইফটকি কিংবা সোয়াইপ কিবোর্ডের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই? না শুনলেও চলতো!

যেমনটা উপরের স্ক্রিনশটগুলোয় দেখতে পাচ্ছেন, ইন্টারফেসে খুব একটা নতুনত্ব পাবেন না। অবশ্য কিবোর্ড অ্যাপ্লিকেশনটিতে সুইফটকি এর মতো জেসচার সাপোর্ট অনেকের কাছেই নতুন ও বেশ কাজের একটু সুবিধা হয়ে উঠতে পারে।

ক্যামেরা

সিম্ফনির ক্যামেরা নিয়ে আমি কখনোই খুশি ছিলাম না। অবশ্য খুব বেশি সিম্ফনি ফোন যে ব্যবহার করা হয়েছে তাও না। তবে এর এলইডি ফ্ল্যাশ সম্বলিত ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা আউটডোর ছবিতে হতাশ করবে না। ইনডোর বা অল্প আলোয় ছবিতে অনেক নয়েজ চলে আসতে পারে যা অনেকের জন্যই বিরক্তিকর হবে। তাছাড়া এর সামনের ২ মেগাপিক্সেল সেলফি শুটারও আহামরি কিছু নয়। তবে সেলফিপ্রেমীদের কাছে এই ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাও বেশ পছন্দ হয়েছে বলেই আমরা জেনেছি।

ক্যামেরার ক্ষেত্রে যে নতুনত্ব সবার চোখে পড়বে তা হলো ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশন। সব স্টক অ্যান্ড্রয়েডে ক্যামেরার যে অ্যাপ্লিকেশন দেখে এসেছেন, সিম্ফনি রোর এ৫০ অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান ফোনে তা কিছুটা ব্যতিক্রম। এই ফোনে ব্যবহার করা হচ্ছে গুগল ক্যামেরা, যা অবশ্য গুগল প্লে স্টোর থেকে যে কেউই ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।

symphony roar a50 camera-call

গুগল ক্যামেরার বিশেষত্ব হলো এতে প্যানোরামার পাশাপাশি ফটো স্ফিয়ার ও লেন্স ব্লার নামে দু’টি বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ফটো স্ফিয়ারের সঙ্গে হয়তো অনেকেই পরিচিত। এর মাধ্যমে অনেকটা ৩৬০ ডিগ্রি এর মতো ছবি তোলা যায়, যেমনটা আমরা স্ট্রিট ভিউতে দেখে থাকি। লেন্স ব্লার হলো একটি নতুন ফিচার যার মাধ্যমে গুগলের ভাষ্যে ডিএসএলআর-এর মতো ছবি তোলা যায়!

সেটা কীভাবে সম্ভব? হ্যাঁ, ডিএসএলআর মানেই যে বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন ‘ব্যাকগ্রাউন্ড ঘোলা করে ফেলা’, সেটা গুগলও জানে। আর তাই সেই ইফেক্টটি মোবাইলে আনতেই গুগল নতুন এই লেন্স ব্লার সুবিধাটি চালু করে। লেন্স ব্লার মোডে ছবি তুলতে প্রথমে খানিকটা বেগ পেতে হলেও প্যানোরামার মতোই একবার শিখে গেলে তারপর সহজেই লেন্স ব্লার মোডে ছবি তুলতে পারবেন।

এরপর রয়েছে গেমিং পারফরম্যান্স, বেঞ্চমার্ক ও মিউজিক কোয়ালিটি