ট্যাবলেটের জগতেও এবার শীর্ষে পৌঁছেছে অ্যান্ড্রয়েড

tablet

স্মার্টফোনের বাজারে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম অনেক আগেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপল আইওএস-কে পেছনে ফেলেছে। বাকি ছিল ট্যাবলেট বাজার। অ্যাপলের আইফোনকে পেছনে ফেলে গেলেও আইপ্যাডকে টেক্কা দেয়া খুব একটা সহজ ব্যাপার ছিল না। আর সম্প্রতি এই কঠিন ব্যাপারটিই সম্ভব করে তুলেছে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম।

গার্টনারের প্রকাশিত নতুন গবেষণা অনুযায়ী, গত ২০১৩ সালে সর্বমোট ১২১ মিলিয়ন অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট বিক্রি হয়েছে। ফলে পুরো ট্যাবলেট মার্কেটের ৬১.৯ শতাংশই চলে আসে অ্যান্ড্রয়েডের হাতে। অন্যদিকে আইপ্যাড বিক্রি হয়েছে সর্বমোট ৭০ মিলিয়ন ইউনিট, যা একে দিয়েছে বাজারে কেবল ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ, কেবল পেছনেই নয়, বরং ট্যাবলেটের বাজারে বেশ অনেকখানিই এগিয়ে গেছে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম।

অবশ্য গার্টনার জানিয়েছে, বেশি বিক্রি হয়েছে বলেই যে অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট প্রস্তুতকারকরা বেশি লাভ করেছেন এমনটা নয়। কেননা, এই বিপুল পরিমান ট্যাবলেট ডিভাইসের মধ্যে কমদামী ট্যাবলেটের সংখ্যাই বেশি। মূলত কমদামে ট্যাবলেট বাজারে দিতে পারছে বলেই মার্কেটশেয়ারে সিংহভাগ অর্জন করে নিতে পেরেছে অ্যান্ড্রয়েড। আইপ্যাড মিনি নামে ‘কমদামে’ ট্যাবলেট বাজারে এলেও অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় আইপ্যাডের দাম তুলনামূলক বেশি।

বিশেষজ্ঞরা অনেক আগেই ধারণা করেছিলেন এই কমদামে ডিভাইস বাজারে দিতে পারার কারণে স্মার্টফোন বাজারের মতো ট্যাবলেট বাজারেও রাজত্ব শুরু করবে অ্যান্ড্রয়েড। তবে এই বাজারের সিংহভাগ নিজেদের দখলে আনতে এতোটা সময় লাগার ব্যাপারটা অবাক করার মতো বলেও মত দিয়েছেন অনেকে।

মোবাইল ফোন ও ট্যাবলেটের বাজার ছাড়িয়ে লক্ষ্য এবার পরিধেয় (wearable) গ্যাজেটের দিকে। ইতোমধ্যেই স্যামসাং অ্যান্ড্রয়েড দিয়ে শুরু করলেও তাদের স্মার্টওয়াচ গিয়ার থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড। অন্যদিকে গুগল গ্লাসের মতো চমকপ্রদ ডিভাইসে চলছে অ্যান্ড্রয়েড। তাই আগামীতে কোন মার্কেটের সৃষ্টি হয় এবং সেটা কার দখলে যায় সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।