দিন কয়েক আগেই খুশিতে আটখানা হয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছিলেন এক বিলিয়ন ব্যবহারকারীর মাইলফলক ছোঁয়ার কথা। এই এক বিলিয়নের চাইতেও বেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে অন্তত ৬০০ মিলিয়ন ফেসবুক ব্যবহার করে মোবাইল থেকে। আর ক্রমবর্ধমান এবং জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের ফেসবুক ডিফল্ট অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগ অনেক দিনের। ঠিক যেমনটা ছিল আইওএস নিয়ে। তবে মাসখানেক আগে আইওএস এর জন্য আগের চাইতে আরো দ্রুততর এবং স্ট্যাবল অ্যাপ ছেড়ে আইফোন এবং আইপ্যাড ব্যবহারকারীদের কাছে সুনাম কুড়িয়েছে।
ঠিক ঐ আদলেই অ্যান্ড্রয়েডের জন্যও এইচটিএমএল ফাইভ কোডেড এবং আগের চাইতে আরো দ্রুত কাজ করবে এমন অ্যাপ্লিকেশন আনতে যাচ্ছে ফেসবুক। এনগ্যাজেট তাদের বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে আরো জানিয়েছে, নতুন ঐ ভার্সনে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে অ্যাপ্লিকেশন ‘ক্র্যাশ’ এর উপর। আগের ভার্সনটিতে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল এটি ব্যবহার করতে গেলে হঠাৎ করেই হ্যাং হওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়া। এছাড়া ভাল স্পিডের ইন্টারনেট থাকলেও মাঝে মাঝে লোডিং এ বিস্তর সময় নিত। বিশ্লেষকরা বলছেন, পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ দুই বিলিয়নে পৌঁছাতে সবার আগে দরকার হবে ফেসবুকের অফিসিয়াল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন নতুন করে তৈরি করা। কেননা বিপুল সংখ্যাক ব্যবহারকারী পেয়ে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড। তাই ফেসবুকের উদ্যোগ যুক্তিযুক্ত বলা চলে। তবে কবে নাগাদ এই হালনাগাদ ভার্সনটি ছাড়ছে তারা এসম্পর্কে এখনো কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার সনি এক্সপেরিয়া এক্স এইট ফোনেও আগের ফেসবুক অ্যাপটির সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি অনেকবার। এমনকি দ্রুতগতির ওয়াইফাই কানেকশন থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় নিয়েই লোড হত সবকিছু। আশা করছি নতুন আপডেটটি মুক্তি পাবার পর ফেসবুক ব্যবহার করে আরাম পাবো।
ফেসবুকের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে আপনার কি কোনো অভিযোগ আছে? ফেসবুক ব্যবহারের সময় অ্যাপ্লিকেশন ক্র্যাশ, হ্যাং বা ধীরগতিতে লোড হওয়ার সমস্যায় কি পড়েছেন কখনো? মন্তব্যের ঘরে আপনার অভিজ্ঞতা লিখুন।