অ্যান্ড্রয়েড-চালিত ঘড়ি (স্মার্টওয়াচ) আনতে পারে গুগল

গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেইজ একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তারা সবসময়ই হার্ডওয়্যার ব্যবসার প্রতি আগ্রহী ছিল। বর্তমান দু’টি ডিভাইস গ্যালাক্সি নেক্সাস ও নেক্সাস ৭ গুগলের ব্যানারে বিক্রি হলেও আমরা জানি এগুলোর নির্মাতা যথাক্রমে স্যামসাং ও আসুস। কিন্তু তাই বলে গুগল কিন্তু বসে থাকেনি। তারা তৈরি করেছে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাস যা বিশেষ এক ধরনের চশমা। আর এরই মাঝে সম্প্রতি নতুন এক ধরনের স্মার্টওয়াচ বা অ্যান্ড্রয়েড-চালিত ঘড়ির খবর জানা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিস থেকে।

গুগল অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টওয়াচ

পেটেন্টের ডিজাইন অনুসারে ঘড়িটির উপরে থাকবে আলাদা একটি কাঁচ যা অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাস হিসেবে কাজ করবে।

সূত্র জানিয়েছে, ২০১১ সালে এই স্মার্টওয়াচের ডিজাইনটির পেটেন্টের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করে। এতোদিন পর ২০১২ সালের শেষ কোয়ার্টারে এসে যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্কস অফিস এই পেটেন্টটি অনুমোদন দিয়েছে। আর এই পেটেন্টের আবেদনকারী (বর্তমানে মালিক) আর কেউ নয়, স্বয়ং গুগল।

পেটেন্টের আবেদনের সঙ্গে দেয়া ছবিতে দেখানো হয়েছে, এই ঘড়ির উপরে থাকবে গ্লাসের ফ্লিপ কভার যা খুললে অগমেন্টেড রিয়েলিটি হিসেবে কাজ করবে। যেমন কোনো দোকানে গিয়ে স্টোরের পণ্যসামগ্রীর দিকে এটি তাক করলেই পণ্যটির দাম ও অন্যান্য তথ্য দেখা যাবে। এছাড়াও এই স্মার্টওয়াচে ক্যামেরা থাকবে বলেও ডিজাইনে দেখানো হয়েছে।

৩ থেকে ৫ ইঞ্চি আকারের ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করার পর মাত্র ১ ইঞ্চি আকারের ঘড়িতে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করতে কেমন লাগবে তা একটি বড় প্রশ্ন। তবে পেটেন্ট অনুমোদন হয়েছে বলেই যে এটি তৈরি হবে বা বাজারে আসবে এমনটি বলা যাচ্ছে না। যেহেতু এটি প্রায় এক বছরেরও বেশি পুরনো পরিকল্পনা, তাই অনেকেই ধারণা করছেন গুগল তাদের “প্রজেক্ট গ্লাস” নামের বিশেষ ধরনের চশমা তৈরির মধ্য দিয়ে হয়তো এই ঘড়ির চিন্তা বাদ দিয়েছে।

তবে এর সবই ধারণা। কেবল পেটেন্ট আবেদন অনুমোদন হওয়া নিয়ে কিছুই বলা যায় না। অবশ্য অনেক প্রযুক্তিপ্রেমীই সামনের দিনগুলোতে “নেক্সাস ওয়াচ” নামের কোনো ডিভাইসের আশা করতে শুরু করে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, বাজারে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্ট ওয়াচ রয়েছে। তাই নতুন করে পুরনো বাজারে গুগল প্রবেশ করবে না বলেই আমার ধারণা। সেদিক দিয়ে প্রজেক্ট গ্লাসের আওতায় তৈরি করা গুগলের চশমা অনেক বেশি উদ্ভাবনী। সেটিই বাজারে আনার জন্য একান্তভাবে কাজ করবে বলে মনে হচ্ছে।

অ্যান্ড্রয়েড-চালিত ঘড়ি সম্পর্কে আপনার কী মতামত? যদি সত্যিই বাজারে আনে গুগল এই স্মার্ট ওয়াচ, তাহলে আপনি কি তা কিনতে আগ্রহী হবেন?