স্যামসাং ঘোষণা করলো প্রথম টাইজেন-চালিত ফোন, স্যামসাং জেড

স্যামসাং জেড

স্যামসাং ঘোষণা করলো তাদের প্রথম নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম চালিত স্মার্টফোন স্যামসাং জেড।। টাইজেন ওএস সম্পর্কিত নানা তথ্য পাওয়া গেলেও এটিই প্রথম টাইজেন স্মার্টফোন। এর আগে স্যামসাং তাদের প্রথম টাইজেন চালিত ওয়ারেবল ডিভাইস স্যামসাং গিয়ার ২ সিরিজ স্মার্টওয়াচ বের করে।

টাইজেন ওএস

টাইজেন স্যামসাং ও ইন্টেলসহ বেশ কিছু কোম্পানি মিলে ডেভেলপড একটি অপারেটিং সিস্টেম।  ভবিষ্যতে অ্যান্ড্রয়েডের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে টাইজেন তার অবস্থান থেকে বেশ অগ্রসর। টাইজেন একটি ওপেন সোর্স লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম। এইচটিএমএল৫, জাভাস্ক্রিপ্ট ও সিএসএস দ্বারা তৈরি এই অপারেটিং সিস্টেম শীঘ্রই মার্কেটে স্যামসাং জেড এর হাত ধরে প্রথমবারের মতো মোবাইল ফোনে আসছে। এছাড়াও স্মার্ট টিভি, ট্যাবলেট, গাড়ি ইত্যাদি বিভিন্ন গ্যাজেটের জন্য উপযোগী করেও তৈরি করা হচ্ছে টাইজেন।

স্যামসাং জেড

স্যামসাং এর স্মার্টফোন ও স্মার্টওয়াচগুলো মূলত গ্যালাক্সি সিরিজ হিসেবে পরিচিত, কিন্তু টাইজেন চালিত স্মার্টফোন কিংবা স্মার্টওয়াচে এই “গ্যালাক্সি” ট্যাগটি উঠিয়ে নেওয়া হবে।  স্যামসাং জেড এর স্পেসিফিকশন দেখে নেওয়া যাকঃ

নেটওয়ার্কঃ জিএসএম, এইচএসপিএ, এলটিই (২জি, ৩জি, ৪জি)
ডিসপ্লেঃ ৪.৮ ইঞ্চি, এইচডি, সুপার অ্যামোলেড (১২৮০x৭২০)
মেমোরিঃ ১৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল, ২ গিগাবাইট র‍্যাম, মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব
ক্যমেরাঃ ৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার এবং ২.১ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ফেসিং
অপারেটিং সিস্টেমঃ টাইজেন ২.২.১
প্রসেসরঃ কোয়াড কোর, ২.৩ গিগাহার্জ
সেন্সরঃ অ্যাক্সেলেরোমিটার, জায়রো, প্রক্সিমিটি, কম্পাস, ব্যারোমিটার, হার্টরেট, হল, এম্বিয়েন্ট লাইট, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার ইত্যাদি।
ব্যাটারিঃ লিথিয়াম আয়ন ২৬০০ এমএএইচ

দেখা যাচ্ছে যে স্যামসাং এর ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস গ্যালাক্সি এস৫ এর মতো স্যামসাং জেডেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং হার্টরেট সেন্সর রয়েছে। স্যামসাং জেড এর ডিজাইন আগের গ্যলাক্সি সিরিজের ফোনগুলো থেকে কিছুটা আলাদা ও ৮.৫ মিলিমিটার স্লিম। কালো ও গোল্ডেন এই দুটি কালারে স্মার্টফোনটি পাওয়া যাবে।

ডিভাইসটি এই বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে রাশিয়া এবং পরবর্তীতে অন্যান্য মার্কেটগুলোতেও মুক্তি পাবে। টাইজেন অপারেটিং সিস্টেমের জন্য স্যামসাং টাইজেন স্টোর সম্পর্কেও অবিহিত করেছে। যেখান থেকে ব্যাবহারকারীরা অতিরিক্ত থার্ড পার্টি অ্যাপ ইন্সটল করতে পারবে, যেটা অনেকটা প্লে স্টোরের মতোই। প্রথম বাজার হিসেবে রাশিয়াকে বেছে নেয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণও রয়েছে। সেখানকার ব্যবহারকারীরা সাধারণত ক্লাউড সার্ভিস ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিজেদের দেশীয় সেবাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। ফলে গুগলবিহীন একটি স্মার্টফোন পরীক্ষামূলকভাবে বাজারে ছাড়ার জন্য রাশিয়ার মার্কেট যথোপযুক্ত বলেই মন্তব্য করেছেন অনেক প্রযুক্তিবিদ।

ডিভাইসটি সম্পর্কে নিচে মন্তব্যের ঘরে লিখতে ভুলবেন না।