স্যামসাং আনলো ৩ গিগা র‌্যাম ও অক্টা-কোর প্রসেসরের গ্যালাক্সি নোট ৩

স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৩

ইউরোপের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি আয়োজন আইএফএ ২০১৩-তে স্যামসাং “আনপ্যাকড” নামে এক প্রেস কনফারেন্সে তাদের নতুন কয়েকটি ডিভাইস উন্মোচন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্যালাক্সি নোট ৩, গ্যালাক্সি নোট ১০.১-এর ২০১৪ এডিশন এবং স্যামসাং-এর প্রথম অ্যান্ড্রয়েড-চালিত স্মার্টফোন, গ্যালাক্সি গিয়ার

স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি নোট ৩ ডিজাইন করেছে আগের চেয়ে পাতলা অথচ আরও বড় ডিসপ্লে দিয়ে। সামনা-সামনি অনেকটা আগের প্রজন্মের গ্যালাক্সি নোট-এর মতো দেখা গেলেও স্যামসাং এর ডিজাইনে অনেকটাই পরিবর্তন এনেছে। স্ক্রিনের আকার গ্যালাক্সি নোট ২-এর ৫.৩ ইঞ্চি থেকে বেড়ে ৫.৭ ইঞ্চি করা হয়েছে। অথচ এর ওজন কমে হয়েছে মাত্র ১৬৮ গ্রাম, যা নোট ২ থেকে ১ মিলিমিটার পাতলা।

(আরও পড়ুনঃ স্যামসাং ঘোষণা করলো তাদের প্রথম স্মার্টওয়াচ, গ্যালাক্সি গিয়ার)

গ্যালাক্সি নোট ৩-এর দু’টি সংস্করণ রয়েছে। একটি এলটিই ও আরেকটি ৩জি। এলটিই সংস্করণে দেয়া হয়েছে ২.৩ গিগাহার্জ কোয়াড-কোর প্রসেসর এবং ৩জি সংস্করণে রয়েছে ১.৯ গিগাহার্জ অক্টা-কোর প্রসেসর। দু’টি সংস্করণেই আছে ৩ গিগাবাইট র‌্যাম, ১৩-মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা যেটি ৪কে ফরম্যাটের ভিডিও ধারণ করতে পারে বলে দাবি করেছে স্যামসাং।

(আরও পড়ুনঃ স্যামসাং আনছে গ্যালাক্সি নোট ১০.১-এর নতুন ৮-কোরের “২০১৪ সংস্করণ”)

গ্যালাক্সি নোট-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি বড় আকারের ফ্যাবলেট যেটা মাল্টিটাস্কিং-এর জন্য বেশ আরামদায়ক। মাল্টিটাস্কিং আরও সহজ করে তুলতে ‘এয়ার কমান্ড’ নামের একটি লঞ্চার তৈরি করা হয়েছে যেটি গ্যালাক্সি নোট-এর সঙ্গে থাকা এস-পেনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলে।  এর মধ্যে একটি উদাহরণ হলো এস-পেন ব্যবহার করে নম্বর লিখে রাখা ও পরবর্তীতে সফটওয়্যার ব্যবহার করে সেসব নম্বর সেইভ করা বা সরাসরি কল করা।

নতুন গ্যালাক্সি নোট ৩-এর দাম সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানানো না হলেও সেপ্টেম্বরের ২৫ তারিখে বিশ্বের ১৪৯টি দেশে এবং পরবর্তী মাসে সারা বিশ্বে এই ডিভাইসটি অবমুক্ত হবে বলে জানিয়েছে স্যামসাং। যুক্তরাষ্ট্রে এটিঅ্যান্ডটি, ভেরিজন, টি-মোবাইল, স্প্রিন্ট এবং অন্যান্য মেজর ক্যারিয়ার এই ডিভাইসটি বাজারজাত করবে।