আজ থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এনভিডিয়া শিল্ড

এনভিডিয়া শিল্ড

অ্যান্ড্রয়েড গেমারদের মাঝে এনভিডিয়া শিল্ড বেশ পরিচিত একটি নাম। প্রথমবারের মত পোর্টেবল গেমিং-এ পিসি ও কনসোলের সমমানের গ্রাফিক্সের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এনভিডিয়া শিল্ড গেমারদের মাঝে সারা ফেলে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অপেক্ষার পালার অবসান করে আজ শিল্ড বাজারে ছেড়েছে এনভিডিয়া। যাদের শিল্ড সম্পর্কে এখনো ধারণা নেই তাদের জন্য আরো একবার শিল্ডের স্পেসিফিকেশন তুলে দিচ্ছিঃ

  • কোয়াড-কোর করটেক্স এ১৫ এনভিডিয়া টেগরা ৪ প্রসেসর।
  • ৭২ কোর জিফোর্স ইউএলপি জিপিউ।
  • ২ গিগাবাইট র‍্যাম।
  • ১৬ গিগাবাইট মেমোরি কার্ড স্লট।
  • ৫ ইঞ্চি ১২৮০ x ৭২০ রেজুলেশন মাল্টি টাচ ডিসপ্লে যার পিপিআই প্রায় রেটিনা ডিসপ্লের সমান।
  • ২ টি ওয়াইফাই কানেকশন, ব্লুটুথ ৩, জিপিএস সুবিধা।
  • ফুল সাইজ গেমিং কন্ট্রোলার, ডি-প্যাড ও অ্যানালগ স্টিক সম্বলিত।
  • ২৮৮০০ mAh ব্যাটারি।
  • জায়রোস্কোপ, অ্যাক্সেলেরোমিটার।
  • মিনি এইচডিএমাই, মাইক্রো ইউএসবি, এবং ৩.৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাক।
  • সবটুকু পরিচালনা করার জন্যে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ জেলি বিন অপারেটিং সিস্টেম।

স্পেসিফিকেশন দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে কোনও গেমারদের জন্যে শিল্ড যথেষ্ট শক্তিশালী এবং ফিচার-বহুল ডিভাইস। সাথে দীর্ঘ সময় খেলার উপযোগী ব্যাটারী তো থাকছেই। এনভিডিয়া দাবি করে শিল্ড জিটিএক্স ৮৮০০ মানের গ্রাফিক্স, অর্থাৎ আধুনিক সব গেম চালানোর ক্ষমতা রাখে। এ ছাড়াও শিল্ডের নতুন ফার্মওয়্যারের মাধ্যমে আপনার এনভিডিয়া গ্রাফিক্স সম্বলিত পিসির গেম শিল্ডে স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে খেলতে পারবেন।

শিল্ডের সর্বনিম্ন দাম ধরা হয়েছে ২৯৯ ডলার। সাথে থাকছে একটি সিলভার ট্যাগ, চার্জার, ইউএসবি ক্যাবল ও ২টি গেম, এক্সপ্যান্ডেবলঃ রিআর্মড এবং সনিক ৪ এপিসোড ২।

কেমন লাগছে এই অত্যাধুনিক গেমিং ডিভাইসটি? আপনাদের মতামত জানাতে ভুলবেন না আমাদের কমেন্টস অংশে।