স্যামসাং ঘোষণা করলো Galaxy Young ও Galaxy Fame

স্যামসাং

কোনটা ইয়াং আর কোনটা ফেইম বলা মুশকিল!

২০১৩-তে প্রচুর অ্যান্ড্রয়েড ফোন বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল স্যামসাং। আর সেই লক্ষ্য অর্জনে তাদের কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় স্যামসাং সম্প্রতি ঘোষণা করেছে নতুন দু’টি ফোন গ্যালাক্সি ইয়াং ও গ্যালাক্সি ফেইম। মজার বিষয় হচ্ছে, স্যামসাং গ্যালাক্সি ইয়াং বলতে গ্যালাক্সি ওয়াই-কে বোঝানো হলেও এই “ইয়াং” হচ্ছে নতুন সংযোজন।

স্যামসাং গ্যালাক্সি ইয়াং লিখে গুগলে খোঁজ করলেও আপনি পুরনো গ্যালাক্সি ওয়াই-এর পাতাই খুঁজে পাবেন জিএসএমএরিনাসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। কিন্তু Galaxy Young নামে সম্পূর্ণ নতুন আরেকটি ফোনের ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং যেটি গ্যালাক্সি ওয়াই থেকে সম্পূর্ণই আলাদা। Young এর পাশাপাশি গ্যালাক্সি ফেইম নামে আরেকটি ডিভাইসের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গ্যালাক্সি ইয়াংগ্যালাক্সি ফেইম দু’টি ডিভাইসেই স্যামসাং দিয়েছে ১ গিগাহার্জ প্রসেসর। গ্যালাক্সি ফেইমে ৫১২ মেগাবাইট ও ইয়াং-এ দেয়া হয়েছে ৭৬৮ মেগাবাইট র‌্যাম। দু’টোতেই রয়েছে ১৩০০ এমএএইচ ব্যাটারি ও ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ যা মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো সম্ভব। দু’টি ডিভাইস দেখলে মনে হবে কেউ গ্যালাক্সি এস ৩ নিয়ে চেপে ছোট করে দিয়েছে! ডিভাইসগুলো দেখতে এতোটাই একরকম যে পাশাপাশি রাখলে বুঝতেই কষ্ট হবে কোনটি ফেইম আর কোনটি ইয়াং।

তাহলে এই দু’টি ডিভাইসের মধ্যে পার্থক্য কী?

গ্যালাক্সি ফেইমে রয়েছে ৩.৫ ইঞ্চি আকারের স্ক্রিন। অন্যদিকে গ্যালাক্সি ইয়াং-এ রয়েছে ৩.২৭ ইঞ্চি স্ক্রিন। দু’টোরই রেজুলেশন ৩২০*৪৮০ পিক্সেল। এছাড়াও গ্যালাক্সি ইয়াং-এ রয়েছে ৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা আর ফেইম-এ রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। আর ফেইম-এ এনএফসি সুবিধা থাকছে যা এর ছোটভাই-স্বরূপ ইয়াং-এ নেই।

সূত্র জানিয়েছে, দু’টি ফোনই সিঙ্গল ও ডুয়েল-সিম ইউনিটে বিভিন্ন রঙে পাওয়া যাবে। অবশ্য বর্তমানে এর গ্রাফিক্স প্রসেসিং-এ কী রয়েছে এসব তথ্য না জেনে মানুষ কিনতে আগ্রহ বোধ করবেন না। যদি স্পেসিফিকেশনের তুলনায় বেশি দাম ধরা হয়, তাহলে হয়তো চাইনিজ ব্র্যান্ডগুলোর কাছে মারই খাবে স্যামসাং। অন্তত বাংলাদেশ ও ভারতে তো বটেই!

স্যামসাং গ্যালাক্সি ইয়াং ও ফেইম কত টাকার মধ্যে হলে কিনতে রাজি আছেন?