স্যামসাং বানাচ্ছে লিনাক্সভিত্তিক ‘টিজেন’ স্মার্টফোন

স্যামসাংগুগলের অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপলের আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে লিনাক্সভিত্তিক ওপেন প্ল্যাটফর্ম ‘অল্টারনেটিভ অপারেটিং সিস্টেম’ টিজেন চালিত স্মার্টফোন বানাবে স্যামসাং। ২০১৩ সালেই বাজারে আসতে পারে দক্ষিণ কোরিয় প্রতিষ্ঠানটির তৈরি প্রথম টিজেন স্মার্টফোন। খবর সিনেট-এর।

টিজেন অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনগুলো বাজারে আসলে স্যামসাংই হবে প্রথম প্রতিষ্ঠান, যেটি প্রথমবারের মতো এই অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোন বাজারে আনবে। স্যামসাংয়ের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি ওপেন প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করানো, যা অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্ব›দ্বীতায় নামবে। এরমধ্যেই এনটিটি ডোকোমো, ভোডাফোন এবং ফ্রান্স টেলিকমের মতো একাধিক মোবাইল ক্যারিয়ার টিজেন স্মার্টফোনের ব্যাপারে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
২০১১ সালে লিনাক্স ফাউন্ডেশন তাদের মিগো অপারেটিং সিস্টেম প্রজেক্ট বাতিল করার পর পাদপ্রদীপের আলোতে আসে টিজেন। মূলত নোকিয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলো মিগো। মিগো নিয়ে নোকিয়া এবং লিনাক্স ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কাজ করছিলো ইনটেল।

মিগো প্রজেক্ট বাতিল হবার পর ইনটেলের জায়গায় টিজেন নিয়ে কাজ শুরু করে স্যামসাং। তবে টিজেন প্রজেক্ট তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্ব এখনও লিনাক্স ফাউন্ডেশনই পালন করছে।

স্মার্টফোন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রতিষ্ঠান টিজেনকে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের বিকল্প হিসেবে দেখছে। স্মার্টফোন বাজারে স্যামসাং সাফল্য পেলেও অপারেটিং সিস্টেমের জন্য গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ওপর নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানটি। মাইক্রোসফটের তৈরি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের একাধিক স্মার্টফোন বানালেও বাজারে ওই স্মার্টফোনগুলো দিয়ে সাফল্য পায়নি স্যামসাং। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে টিজেন ব্যবহার করে স্মার্টফোন বাজারে নিজেদের দখল পাকাপোক্ত করতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। বিডিনিউজ ২৪-এর সৌজন্যে।

এ কথা সত্যি যে, স্যামসাং-এর আকর্ষণীয় সব অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের কল্যাণেই মানুষ অ্যান্ড্রয়েডের সঙ্গে বেশি পরিচিত হতে পেরেছেন। অনেকে আজও অ্যান্ড্রয়েড ফোন বলতে কেবল স্যামসাং-এর পণ্যকেই বুঝে থাকেন। কিন্তু ২০১৩ সালে ৫০ কোটি স্মার্টফোন বাজারে আনার জন্য যে এই পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি, তা সম্প্রতিই জানা গেছে।

আপনার কী মত? অ্যান্ড্রয়েড ছেড়ে নতুন অপারেটিং সিস্টেম ধরলে কি বাজার ধরে রাখতে সক্ষম হবে কোরিয়ান এই প্রতিষ্ঠানটি?