২০১৩ সালে ৫০ কোটি মোবাইল ফোন বাজারে আনবে স্যামসাং

স্যামসাং

অ্যান্ড্রয়েড শব্দের সঙ্গেই অনেকটা জড়িয়ে গেছে স্যামসাং-এর নাম।

২০১২ সালটা স্যামসাং-এরই ছিল। না, পেটেন্ট করে নেয়ার কারণে নয়। অনেকেই বলতে পারেন এই বছরই তো বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ গুণতে হয়েছে স্যামসাং-কে। কিন্তু তাতে কি! অ্যান্ড্রয়েড জগতে স্যামসাং এতোটাই আধিপত্য বিস্তার করে নিয়েছে যে, যারা অ্যান্ড্রয়েড কী জিনিস তা-ই জানেন না, তারাও এক নামে গ্যালাক্সি এস ৩ বা গ্যালাক্সি নোটকে “জোস” ডিভাইস বলে আখ্যায়িত করতে দ্বিধাবোধ করেন না। শুধু তা-ই নয়, নকিয়াকে পেছনে ফেলেও স্যামসাং শীর্ষ মোবাইল ফোন কোম্পানির খেতাব জিতে নেয়। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। কেননা, স্যামসাং জানিয়েছে, আসছে বছরে ৫০ কোটি ফোন বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তারা!

সংবাদমাধ্যম সিনেট “দি কোরিয়ান টাইমস”-এর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আসছে বছরে ৫০ কোটিরও বেশি ফোন বিক্রি করতে চায় কোরিয়ান কোম্পানি স্যামসাং। ইংরেজি হিসেবে সঠিক অঙ্কটা হচ্ছে ৫১০ মিলিয়ন বা অর্ধ বিলিয়ন; যা ৫০ কোটির কিছু বেশি। সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরে (২০১২) স্যামসাং বিক্রি করেছে প্রায় ৪২০ মিলিয়ন ডিভাইস। আর স্যামসাং-এর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আগামী বছর তারা এ বছরে বিক্রিত ফোনের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি ফোন বিক্রি করতে চাচ্ছে।

তবে এই বিপুল সংখ্যক ডিভাইসের সবটাই অ্যান্ড্রয়েড নয়। স্যামসাং চাইছে ৩৯০ মিলিয়ন ডিভাইস হবে স্মার্টফোন, যার মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড তো বটেই, উইন্ডোজ ফোন ৮-ও থাকবে। আর বাকি ১২০ মিলিয়ন ডিভাইস হবে ফিচার ফোন তথা সাধারণ মোবাইল ফোন।

অতএব, যারা ভাবছিলেন ২০১২ সালেই সব “জোস” ডিভাইসগুলো চলে এসেছে, তাদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই। কেননা, আরও ২০ শতাংশ বিক্রি বাড়াতে স্যামসাং-কে সেরকম কিছুই বাজারে আনতে হবে। আর যে হারে স্যামসাং নতুন নতুন ডিভাইস বাজারে এনেই যাচ্ছে, তাতে আমাদের অন্তত সন্দেহ নেই যে বাজার ধরে রাখতে কোনো সমস্যা হবে এই কোম্পানির।