এলজি-কে সালামঃ “কার্বন-ফ্রি” সার্টিফিকেট পেলো এলজি অপটিমাস জি

এলজি অপটিমাস জি

এলজি অপটিমাস জি এখনও জেলি বিন আপডেট পায়নি ঠিকই, কিন্তু ডিভাইসটি ইতোমধ্যেই পেয়ে গেছে “কার্বন-ফ্রি” এর খেতাব। অর্থাৎ, কার্বনফান্ড ফাউন্ডেশন এলজির এই ফোনকে এই মর্মে স্বীকৃতি দিয়েছে যে, কাঁচামাল থেকে শুরু করে ফোনের তৈরির পুরো প্রক্রিয়া এমনকি ব্যবহার ও ব্যবহার শেষে রিসাইকেলের পর্যায়ে গিয়েও ডিভাইসটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক না। এর আগে এলজির অপটিমাস এলিট এই কার্বন-ফ্রি সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হয়।

অনেকেই হয়তো এই go green শব্দটি শুনেছেন আর এ নিয়ে খুব একটা ভাবেননি। কিন্তু এলজির সত্যিই একটি ধন্যবাদ প্রাপ্য পরিবেশ-বান্ধব উপায়ে ডিভাইস প্রস্তুত করার জন্য। আসুন দেখি কেন এলজিকে আমাদের সবার পক্ষ থেকেই ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ।

আমরা সবাই নতুন কোনো ডিভাইস কেনার সময় যে সব বিষয় দেখি সেগুলো হলো ডিভাইসের হার্ডওয়্যার কেমন, একই দামে অন্যান্য ডিভাইস কেমন হার্ডওয়্যার দিচ্ছে, ক্যামেরা কোয়ালিটি কেমন, ডিসপ্লের রেজুলেশন কত, অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করণে আপডেট পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না ইত্যাদি। কিন্তু আমরা একটি বিষয় কখনই বিবেচনা করি না, সেটা হলো আমাদের এই বসবাসস্থল পৃথিবীর উপর ডিভাইসটির কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে কি না। আমরা পৃথিবীতে খুব অল্প কিছুদিনই বেঁচে থাকি। কিন্তু আগামী প্রজন্ম যেন বেঁচে থাকার জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ পায় সে চিন্তাও কিন্তু আমাদেরই করা উচিৎ।

প্রযুক্তি পণ্যের উৎপাদনকালে বা এর ব্যবহারকাল শেষে পরিবেশের উপর কিছুটা বিরূপ প্রভাব পড়বেই। কিন্তু এলজির মতো কোম্পানিগুলোর এই পৃথিবীকে দূষণমুক্ত রাখতে এগিয়ে আসা সত্যিই দৃষ্টান্তমূলক।  কেবল ফোনই নয়, এলজির রেফ্রিজারেটর, ওভেনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি অনেক আগেই পরিবেশ-বান্ধব উপায়ে প্রস্তুত হওয়ার সার্টিফিকেট পেয়েছে। স্মার্টফোনেও এই সার্টিফিকেট পেয়ে সত্যিই রেকর্ড গড়ছে কোম্পানিটি।

উন্নত বিশ্বে কোনো প্রযুক্তি পণ্যের ব্যবহারকাল শেষে তা যথাযথ উপায়ে রিসাইকেল করার জন্য বিভিন্ন খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানই (যেমন বেস্ট বাই) ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী সংগ্রহ করে থাকেন। এতে করে নষ্ট হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন কিংবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক্সকে পুনরায় উৎপাদন কিংবা সঠিকভাবে ধ্বংস সাধন সম্ভব হয়। আশা করছি অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশেও প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বিনামূল্যে হোক আর অল্প টাকার বিনিময়েই হোক, এরকম আয়ু শেষ হয়ে যাওয়া ডিভাইস সংগ্রহ করবে। মনে রাখবেন, প্রযুক্তির বর্জ্য পরিবেশের উপর ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

পরিবেশের কথা মাথায় রেখে স্মার্টফোন উৎপাদন ও বিক্রির জন্য এলজির একটি ধন্যবাদ প্রাপ্য। আপনার কী মত?