শক্ত অবস্থান নিয়ে আসছে ব্ল্যাকবেরি ১০

ব্ল্যাকবেরি ১০

২০১৩ সাল অ্যান্ড্রয়েডের জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততোটাই আশঙ্কাজনকও বলা চলে। কেননা, এই বছরই অ্যান্ড্রয়েডের নতুন বেশ কিছু প্রতিদ্বন্দ্বীর সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বীরাও নতুন উদ্যম ও প্রযুক্তি নিয়ে জেগে উঠবে। আর সেগুলোর মধ্যে অন্যতম খেলোয়াড়ের নাম হচ্ছে ব্ল্যাকবেরি। এই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের নতুন আকর্ষণ ব্ল্যাকবেরি ১০-চালিত প্রথম ফোনের ছবি ছড়িয়েছে। আর এটি দেখে ইমপ্রেস না হওয়ার কোনো কারণ নেই।

রিসার্চ-ইন-মোশন (রিম) একসময় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস (বা ভাব-সম্পন্ন) কোম্পানি। এখন যে তাদের কোনোই কদর নেই এমনটা নয়, তবে অ্যান্ড্রয়েড আর আইফোনের দাপটে আগের সেই বাজার অনেক আগেই হারিয়েছে ব্ল্যাকবেরি। কিন্তু তাই বলে থেমে থাকেনি রিম। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে তাল মেলাতে চুপিচুপি কাজ করে চলেছে নতুন অপারেটিং সিস্টেম ব্ল্যাকবেরি ১০-এ।

মূলত অ্যান্ড্রয়েডের মতোই একটি আইডিয়া নিয়ে জন্ম নেয় ব্ল্যাকবেরি ১০ যা যে কোনো ডিভাইস প্রস্তুতকারকরা নিয়ে তাদের নিজস্ব ফোনে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে প্রাথমিকভাবে ব্ল্যাকবেরির নিজস্ব ডিভাইসেই চলবে ব্ল্যাকবেরি ১০।

এর আগে রিম জানায়, ব্ল্যাকবেরি ১০-এর জন্য অনেক আগেই তাদের টিম ও ব্ল্যাকবেরি ১০-এর অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপাররা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। উইন্ডোজ ফোন ৮ যেমন বাজারে আসার পর এখন ডেভেলপারদের জন্য কিট ছেড়েছে, ব্ল্যাকবেরি সেই ভুল করেনি। তারা আগেই অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারদের সঙ্গে চুক্তি করে নিয়েছি।

সেই সূত্রে রিম জানিয়েছে, নতুন বছরের প্রথম ভাগেই যখন ব্ল্যাকবেরি ১০ অবমুক্ত হবে, তখন কয়েক লক্ষ অ্যাপ্লিকেশন থাকবে। ডেভেলপারদের ডেডলাইন বেঁধে দেয়া হয়েছে যাতে করে ব্ল্যাকবেরি ১০ বাজারে আসার পর ব্যবহারকারীরা সঙ্গেই সঙ্গেই হাজার হাজার অ্যাপ্লিকেশনের মধ্য থেকে বেছে নিতে পারেন তাদের পছন্দের অ্যাপ্লিকেশনটি।

ব্ল্যাকবেরি ১০ ছাড়াও সম্প্রতি ক্যানোনিক্যাল ঘোষণা করেছে স্মার্টফোনের জন্য তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উবুন্টু ফোন ওএস। এছাড়াও স্যামসাং-ও নতুন লিনাক্স-ভিত্তিক মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করবে বলে জানা গেছে। উইন্ডোজ ফোন ৮ নিয়েই নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করে চলেছে মাইক্রোসফট। উইন্ডোজ ৮ ডেস্কটপে মডার্ন ইন্টারফেস (মেট্রো) পুরে দিয়ে ব্যবহারকারীদের আগেই উইন্ডোজ আরটি’র সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে মাইক্রোসফট যাতে করে উইন্ডোজ ফোন-চালিত স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট কেনার পর আর কোনো অসুবিধায় পড়তে না হয় ব্যবহারকারীকে।

এই সব মিলিয়ে ২০১৩ সাল অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম-এর জন্য বেশ কঠিন বছর হবে বলেই আমাদের ধারণা। আপনার কী মনে হয়? অ্যান্ড্রয়েড তার বর্তমান অবস্থান ধরে রাখতে পারবে নাকি অন্যদের চাপে বাজার হারানো শুরু হবে এ বছরেই?