৭” ট্যাবলেট যুদ্ধঃ আইপ্যাড মিনি নাকি নেক্সাস ৭?

আইপ্যাড মিনি বাজারে আসার আগে অ্যান্ড্রয়েডের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ চিন্তার উদ্রেক দেখা গেছে ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট এবং সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে। ধারণা করা হচ্ছিল, ২৫০ ডলারের মধ্যেই বিক্রি হবে আইপ্যাড মিনি। আর তা হলে সত্যিই অ্যান্ড্রয়েডের বাজারে একটি বিরূপ প্রভাব দেখা যেত। অ্যাপলের পণ্যগুলো বিশেষ করে আইফোন ও আইপ্যাড যতোটা না তাদের হার্ডওয়্যারের সুযোগ-সুবিধার জন্য বিক্রি হয়, তারচেয়ে বেশি বিক্রি হয় তাদের ব্র্যান্ডের সুনামের কারণে। কেবল “অ্যাপলের পণ্য” বলেই একটি বড় অংশের ক্রেতারা অ্যাপলের পণ্য কিনে থাকেন।

তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর এই আশঙ্কা মিলিয়ে গিয়েছে। কেননা, হার্ডওয়্যারের দিক দিয়ে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী নেক্সাস ৭-এর ধারেকাছে যেতে তো পারেইনি, উপরন্তু অস্বাভাবিক বেশি দাম ধরা হয়েছে অ্যাপলের আইপ্যাড মিনি। অ্যাপলের ভক্তরাই বেশ সমালোচনা করতে শুরু করে এই অস্বাভাবিক দামের। অ্যাপল অবশ্য সমালোচনার উত্তর দেয় এই বলে যে, “বিক্রির পরিমাণ দেখেই বোঝা যাবে দাম বেশি হয়ে গেছে কি না।” অবশ্য বিক্রি তো বেশি হবেই। অ্যাপলের পণ্য বলে কথা!

তবে আপনি যদি আইপ্যাড মিনি আর নেক্সাস ৭ কিনতে গিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান, তাহলে এই তুলনামূলক রিভিউটি পড়ুন। এখানে আমরা আলোচনা করবো কোন ডিভাইসটি কেমন।

ডিসপ্লে

অ্যান্ড্রয়েড-চালিত নেক্সাস ৭-এ রয়েছে ৭ ইঞ্চি 1280×800 রেজুলেশনের আইপিএস প্রযুক্তির ডিসপ্লে। অন্যদিকে অ্যাপলের আইপ্যাড মিনিতে দেয়া হয়েছে ৭.৮৫ ইঞ্চি আকারের ডিসপ্লে যার রেজুলেশন মাত্র 1024×768 পিক্সেল। নেক্সাস ৭-এর রেজুলেশনে আপনি এইচডি ভিডিও দেখতে পাবেন। ওয়েব পেজ এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনও এতে আইপ্যাড মিনির চেয়ে ভালো দেখাবে। কেননা, এর স্ক্রিনের আকার আইপ্যাড মিনির চেয়ে ছোট অথচ রেজুলেশন আইপ্যাড মিনির চেয়ে বেশি। অন্যদিকে আইপ্যাড মিনির স্ক্রিন নেক্সাস ৭-এর চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও রেজুলেশন অনেকখানি কম।

তাই ডিসপ্লে উন্নতমানের চাইলে নেক্সাস ৭-ই আপনার জন্য পারফেক্ট হবে।

আরও পড়ুনঃ কিন্ডল ফায়ার এইচডি বনাম নেক্সাস ৭

 হার্ডওয়্যার ও ডিজাইন

হার্ডওয়্যারের বিচারে নেক্সাস ৭ জয়ী নাকি অ্যাপল আইপ্যাড মিনি জয়ী সেই বিচারের দায়িত্ব আপনাদের উপরই ছেড়ে দেয়া হলো। আমরা কেবল বলে যাচ্ছি কোন ডিভাইসে কী রয়েছে।

নেক্সাস ৭

গুগল নেক্সাস ৭-এ রয়েছে কোয়াড-কোর প্রসেসর যার গতি ১.৩ গিগাহার্জ। এতে রয়েছে তুমুল জনপ্রিয় এনভিডিয়ার চিপসেট টেগরা ৩ যা এই দামে কল্পনাই করা যায় না। এছাড়াও এতে রয়েছে নিয়ার-ফিল্ড কমিউনিকেশন প্রযুক্তি (এনএফসি), ব্লুটুথ ৩.০ ও ১.২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। আর নেক্সাস ৭-এ রয়েছে ১ গিগাবাইট র‌্যাম।

স্টোরেজ ক্যাপাসিটি নিয়ে নেক্সাস ৭ বেশ সমালোচনার মুখে পড়লেও সম্প্রতি ৮ গিগাবাইট মডেল বাদ দিয়ে ১৬ গিগাবাইটের মডেল ছেড়েছে গুগল। দাম না বাড়ানোয় আগের দামেই ব্যবহারকারীরা ১৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতাসম্পন্ন নেক্সাস ৭ কিনতে পারবেন। এছাড়াও ৩২ গিগাবাইটের নেক্সাস ৭ এবং ৩জি সুবিধা সম্বলিত নেক্সাস ৭ এই মাসেই বাজারে আসার কথা রয়েছে।

ফরম ফ্যাক্টরে নেক্সাস ৭ এর পেছনটা সত্যিই ভালো করা হয়েছে। খানিকটা রাবারাইজড ফিনিশিং দেয়ায় একহাতে ধরতেও কোনো অসুবিধা হবে না ৭ ইঞ্চি আকারের এই ট্যাবলেটটি। এর স্টেরিও স্পিকারের সাউন্ড কোয়ালিটিও আপনাকে খুব একটা হতাশ করবে না। আর যদি মুভিপ্রেমী হয়ে থাকেন, তাহলে টানা ৯ ঘণ্টা নেক্সাস ৭-এ যে কোনো ভিডিও দেখতে পারবেন বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।

আইপ্যাড মিনি

আইপ্যাড মিনিতে অ্যাপল দিয়েছে তাদের পুরনো প্রযুক্তির অ্যাপল এ৫ চিপসেট। এতে চলছে ১ গিগাহার্জ প্রসেসর যা ডুয়েল-কোর বিশিষ্ট। এতে এনএফসি প্রযুক্তিটি নেই যদিও ব্লুটুথ রয়েছে । ক্যামেরার দিক দিয়ে নেক্সাস ৭-কে পেছনে ফেলবে আইপ্যাড মিনি। কেননা, এর পেছনে রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ও সামনে রয়েছে ১.২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। নেক্সাস ৭-এর পেছনে কোনো ক্যামেরা দেয়া হয়নি। আর আইপ্যাড মিনিতে র‌্যাম দেয়া হয়েছে ৫১২ মেগাবাইট।

স্টোরেজ ক্যাপাসিটি আইপ্যাড মিনির ১৬ গিগাবাইট থেকে শুরু। ব্যবহারকারীরা চাইলে ৬৪ গিগাবাইটের আইপ্যাড মিনিও কিনতে পারবেন।

ডিজাইনের দিক দিয়ে অন্যান্য আইপ্যাডের মতোই করা হয়েছে আইপ্যাড মিনি। কেবল মূল আকারেই আসল পরিবর্তনটা লক্ষ্য করা যাবে। এতে স্টেরিও স্পিকার রয়েছে ও ১০ ঘণ্টা টানা ভিডিও দেখার জন্য ব্যাটারি ব্যাকআপ দেবে বলে জানানো হয়েছে। আর অ্যাপলের ব্যাটারী ব্যাকআপ সাধারণত যতোটা বলা হয় ততোটাই পাওয়া যায়।

সিদ্ধান্ত

তো কোনটি পছন্দ করলেন? সিদ্ধান্তটি মনে রাখুন ও পোস্টের শেষে মন্তব্যের ঘরে জানান। ততক্ষণে আমরা বলছি আমরা যা ভাবছি। ডিজাইনের দিক দিয়ে আইপ্যাড মিনি বরাবরই বেশ আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। নেক্সাস ৭-এর তুলনায় এটি বেশ পাতলাও বটে। কিন্তু আপনি যদি “দেখানোর জন্য” না কিনে “কাজের জন্য” ট্যাবলেট কিনতে চান, তাহলে নেক্সাস ৭ আপনাকে পুরোপুরিই সন্তুষ্ট করবে। অন্তত আইপ্যাড মিনির চেয়ে বেশি তো বটেই!

আরও পড়ুনঃ স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৩ বনাম অ্যাপল আইফোন ৫

 সফটওয়্যার

এখানেই সবচেয়ে বড় পার্থক্য। হার্ডওয়্যারের চেয়েও সফটওয়্যারের পার্থক্যের কারণেই দেখা যায় মানুষ অ্যাপল ছেড়ে অ্যান্ড্রয়েড বা অ্যান্ড্রয়েড ছেড়ে অ্যাপলের কাছে যান। অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপলের আইওএস-এর পার্থক্য নিয়ে এখানে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। তবে সংক্ষেপে কিছুটা ধারণা দেয়া হলো।

নেক্সাস ৭-এ চলছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.১.২ জেলি বিন। এ সপ্তাহেই নেক্সাস ৪ ও নেক্সাস ১০-এর সঙ্গে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ মুক্তি পাবে। যেহেতু নেক্সাস গুগলের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তৈরি ডিভাইস, সেহেতু এই ধারণা করা যেতেই পারে যে, দ্রুতই অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ আপডেটও পাবে নেক্সাস ৭। অ্যান্ড্রয়েড ৪.২-এ নতুন যেসব সুবিধা রয়েছে তা নিয়ে এই পোস্টে দেখতে পারেনঃ কী আছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২-এ

আইপ্যাড মিনিতে দেয়া হয়েছে আইওএস ৬ অপারেটিং সিস্টেম। আইওএস বেশ পলিশড একটি অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে খ্যাত। বিশেষ করে আপনার যদি ইতোমধ্যেই আইফোন বা ম্যাক থাকে, তাহলে আপনি আইপ্যাড মিনিতে পাবেন অনেকটা পরিচিত পরিবেশ। নেক্সাস ৭-এ গেলে আপনাকে নতুন করে অনেককিছু শিখতে হবে; যা মোটেই কঠিন কিছু নয়। কিন্তু অনেকেই নতুন ইন্টারফেস শিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তাদের জন্য আইপ্যাড মিনি ব্যবহার করতে বেশি আরামদায়ক হবে।

আরও পড়ুনঃ যে ৮টি কারণে অ্যান্ড্রয়েড আইফোনের চেয়ে ভালো

আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েডের অন্যতম পার্থক্য পাওয়া যায় অ্যাপ্লিকেশন স্টোরে। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য লাখ লাখ অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যার বেশিরভাগই বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। এছাড়াও অন্যান্য সাইট থেকেও অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে সহজেই ইন্সটল করা যায়। আইওএস-এও তা করা যায় কিন্তু এ জন্য বেশ জটিল কিছু প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। অ্যান্ড্রয়েডেরও পুরো সুবিধা পাবার জন্য রুট করতে হয়। কিন্তু অন্যখান থেকে ডাউনলোড করা অ্যাপ্লিকেশন রুট ছাড়াই ইন্সটল করা যায়।

আরও পড়ুনঃ রুট কী ও কেন, সুবিধা ও অসুবিধা

অ্যাপ্লিকেশনের মান নিয়েও কথা রয়েছে। বেশিরভাগ আইওএস অ্যাপ্লিকেশনই কিনে ব্যবহার করতে হয় বলে ডেভেলপাররা আইওএস-এর দিকেই বেশি ঝুঁকে থাকেন। এ জন্য আইওএস-এর ডেভেলপারের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। অ্যাপল বেশ কঠোরভাবে প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশন যাচাই-বাছাই করে বলে বেশিরভাগ আইওএস অ্যাপ্লিকেশনই উচ্চমানের হয়ে থাকে। অন্যদিকে অ্যান্ড্রয়েড স্টোরে সব অ্যাপ্লিকেশন খুব কাজের নাও হতে পারে।

তবে আইওএস-এ আপনি দেখবেন সব অ্যাপ্লিকেশনের ডিজাইন এক। এদিক দিয়ে ভিন্নতা পাবেন অ্যান্ড্রয়েডে।

ইন্টারনেট ও সিম সুবিধা (৩জি)

ইন্টারনেটের জন্য দু’টি ডিভাইসেই কেবল ওয়াই-ফাই সুবিধা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আপনি যদি আরও বেশি খরচ করতে পারেন, তাহলে দু’টি ডিভাইসেই আপনি পাবেন সেলুলার মডেল যেগুলো ৩জি বা সিম ইন্টারনেট সাপোর্ট করবে।

আপনি ৩২৯ ডলার দিয়ে আইপ্যাড মিনি কিনলেও তাতে ৩জি বা মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না। এতে সিমকার্ডের কোনো সুবিধা নেই। যদি সিম সুবিধাসহ আইপ্যাড কিনতে চান, তাহলে আপনাকে গুণতে হবে ১৬ গিগাবাইট মডেলের জন্য ৪৫৯ ডলার। অথচ আপনি মাত্র ২৯৯ ডলারে ৩২ গিগাবাইটের ৩জি ও সিম সুবিধা সম্পন্ন নেক্সাস ৭ কিনতে পারবেন যা গুগল এইমাসেই আনবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এবার আপনিই ঠিক করুন কোনটি আপনার টাকার জন্য সবচেয়ে মানানসই হবে।

 

দাম

সবশেষে দাম নিয়ে পর্যালোচনা। নেক্সাস ৭-এর ১৬ গিগাবাইট ইউনিট আপনি পাবেন মাত্র ১৯৯ ডলারে। অন্যদিকে কম ক্ষমতাসম্পন্ন ও কম রেজুলেশনের ডিসপ্লে নিয়ে আসা আইপ্যাড মিনির ১৬ গিগাবাইট বিক্রি হচ্ছে ৩২৯ ডলারে।

এটা সত্যই হাস্যকর দাম। এ নিয়ে আমরা আগেও লিখেছি। আইপ্যাড মিনিতে যেই হার্ডওয়্যার দেয়া হয়েছে, এর দাম নেক্সাস ৭-এর চেয়ে কম না হলেও পাশাপাশিই হওয়া উচিৎ। কিন্তু সেখানে উদ্ভট দামে বিক্রি করছে অ্যাপল। কেন কেবল দামের কারণে আইপ্যাড মিনির আগমন অ্যান্ড্রয়েড বাজারে কোনো প্রভাবই ফেলবে না তা এখানে পড়ুন।

এক নজরে

গুগল নেক্সাস ৭ অ্যাপল আইপ্যাড মিনি
স্ক্রিনের আকার ৭ ইঞ্চি ৭.৮৫ ইঞ্চি
রেজুলেশন 1,280 x 800 1024×768
ওজন ৩৪০ গ্রাম ৩০৮ গ্রাম
সিপিইউ কোয়াড কোর ১.৩ গিগাহার্জ টেগরা ৩ চিপসেট; ১ গিগাবাইট র‌্যাম ডুয়েল কোর ১ গিগাহার্জ অ্যাপল এ৫ চিপসেট; ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম
ধারণক্ষমতা ১৬ গিগাবাইট ও ৩২ গিগাবাইট ১৬, ৩২ এবং ৬৪ গিগাবাইট
কানেক্টর মাইক্রো ইউএসবি ২.০ লাইটনিং কানেক্টর
অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলি বিন আইওএস ৬
ব্যাটারি ব্যাকআপ টানা ১০ ঘণ্টা ওয়েব ব্রাউজিং টানা ১০ ঘণ্টা ওয়েব ব্রাউজিং
ক্যামেরা সম্মুখবর্তী ১.২ মেগাপিক্সেল ৫ মেগাপিক্সেল পেছনের ও ১.২ মেগাপিক্সেল সম্মুখবর্তী
কানেকশন ওয়াই-ফাই ও ৩জি (সিম) ওয়াই-ফাই ও ৩জি (সিম)
দাম ১৬ গিগাবাইট ১৯৯ ডলার ও ৩২ গিগাবাইট ২৪৯ ডলার এবং ৩জি সুবিধার ৩২ গিগাবাইট ২৯৯ ডলার ১৬ গিগাবাইট ৩২৯ ডলার, ৩২ গিগাবাইট ৪২৯ ডলার ও ৬৪ গিগাবাইট ৫৪৯ ডলার। ৩জি সুবিধার জন্য সঙ্গে ১৩০ ডলার যোগ হবে।

কোনটি আপনার জন্য?

আপনার যদি ইতোমধ্যেই অ্যাপলের কোনো ডিভাইস থাকে আর টাকা নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকে, তাহলে আপনি আইপ্যাড মিনি নিতে পারেন যদিও এটি স্মার্ট চয়েস হবে না। আর যদি টাকার পুরোপুরি ফায়দা উঠাতে চান, তাহলে নেক্সাস ৭-ই আপনার জন্য সেরা হবে।

অবশেষে কোনটি আপনার চোখে সেরা হলো? কিনতে পারলেন বা না পারলেন, মন্তব্যটা অবশ্যই জানিয়ে যাবেন। আর কেউ আইপ্যাড মিনি ও নেক্সাস ৭ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে তাকে অবশ্যই এই পোস্টটি পড়তে দেবেন। আশা করি এর পর সিদ্ধান্ত নিতে আর কোনো সমস্যা হবে না।

এই সংক্রান্ত আরও কিছু পোস্টঃ