আইপ্যাড ও অ্যান্ড্রয়েডের জন্য কিবোর্ড বানালো মাইক্রোসফট

মাইক্রোসফট

মাইক্রোসফট সাধারণ উইন্ডোজের গণ্ডির বাইরে খুব একটা পণ্য তৈরির ব্যাপারে খ্যাতিমান না। তবে কোম্পানিটি সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোকেও গুরুত্বের সঙ্গে নিতে শুরু করেছে আর নিজেদের পণ্য ও সেবা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের জন্যও উপযোগী করে ছাড়ছে। তবে এবার মাইক্রোসফট নতুন হার্ডওয়্যার তৈরি করলো যা কেবল উইন্ডোজ ট্যাবলেটের জন্যই না, বরং আইপ্যাড ও অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটের জন্যও উপযোগী।

মাইক্রোসফটের তৈরি এই পোর্টেবল কিবোর্ডটিতে আরও অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার রয়েছে। আইপ্যাড ব্যবহারকারীদের জন্য কমান্ড বাটন দেয়া হয়েছে কিবোর্ডটিতে, যা সাধারণত দেখা যায় অ্যাপলের ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের কিবোর্ডে। এছাড়াও অ্যান্ড্রয়েডের সঙ্গে ব্যবহারের জন্য একই কিবোর্ডে অ্যান্ড্রয়েডের হোম বাটনও দেয়া হয়েছে। তবে রহস্যজনকভাবে অনুপস্থিত উইন্ডোজ কি। হঠাৎ দেখলে যে কেউ ভাববেন মাইক্রোসফটের এই কিবোর্ড কেবল অ্যান্ড্রয়েড আর আইপ্যাডে ব্যবহারের জন্য। কিন্তু এটি উইন্ডোজ ট্যাবলেটের জন্যও উপযোগী। এরপরও কেন মাইক্রোসফট এতে কোনো উইন্ডোজ কি দেয়নি এটা আসলেই সন্দেহজনক। কি তো দূরের কথা, প্রেস ছবিতে উইন্ডোজের লোগোই দেখা যায়নি কোথাও, কেবল মোড সুইচার ছাড়া।

মাইক্রোসফটের তৈরি নতুন এই কিবোর্ডটিতে উইন্ডোজ, অ্যান্ড্রয়েড ও আইপ্যাডে ব্যবহারের জন্য আলাদা সুইচের ব্যবস্থা রয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম বাছাই করে নিতে পারবেন। ফলে কারো একই সঙ্গে দুই অপারেটিং সিস্টেমের ট্যাবলেট থাকলে এক কিবোর্ড দিয়েই কাজ চালানো যাবে।

কিবোর্ডটিতে রয়েছে রিচার্জেবল ব্যাটারি যা মাইক্রোসফটের দাবি অনুযায়ী এক চার্জে টানা ছয় মাস ব্যবহার করা যাবে। আর চার্জ না থাকলে মাত্র ১০ মিনিটের চার্জে সারাদিন ব্যবহার করা সম্ভব বলেও জানিয়েছে মাইক্রোসফট। যখন ব্যবহার করা হবে না, কিবোর্ডটির তখনকার সুরক্ষার জন্য এর ইন্টিগ্রেটেড স্ট্যান্ড প্রটেক্টিভ শেল হিসেবেও কাজ করে থাকে।

ইউনিভার্সাল মোবাইল কিবোর্ড নামের এই কিবোর্ডটি এই অক্টোবর মাসে বাজারে আসবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। আর এর দাম পড়বে ৭৯.৯৫ মার্কিন ডলার।

অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের প্রতি মাইক্রোসফটের এই ‘সহৃদয় ভূমিকা’র শুরুটা মোটামুটি হয়েছিল নোকিয়া এক্স-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে, যা অনেকের মতেই অভাবনীয় একটি ব্যাপার ছিল। নোকিয়ার ভবিষ্যত তখনকার মতো না থাকলেও নতুন এই কিবোর্ড তিনটি অপারেটিং সিস্টেমের জন্যই বানানোর মাধ্যমে যারা ইতোমধ্যেই মাইক্রোসফটের পণ্য ব্যবহার করছেন না, তাদের কাছেও নিজেদের পণ্য পৌঁছাতে পারবে মাইক্রোসফট। তাই এটি একটি ভালো উদ্যোগই বলা চলে।