অচিরেই মোবাইল ফোন ও অপারেটর দুই-ই হতে যাচ্ছে গুগল

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সার্চ জায়েন্ট গুগল একটি নতুন প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্কের ওপর কাজ করছে, যা সচরাচর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের চেয়ে কম ফ্রিকুয়েন্সিতে কাজ করতে সক্ষম। এই নেটওয়ার্ক যে ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার করবে সেটিতে সাধারণত টেরিস্ট্রিয়াল টেলিভিশন চ্যানেল ব্রডকাস্ট করা হয়। গুগল প্রাথমিকভাবে এই প্রযুক্তি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পরীক্ষা করার চিন্তা-ভাবনা করছে। তবে সে জন্য এই কোম্পানির প্রয়োজন হবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কাছ থেকে বিশেষ সরকারী অনুমতি।

এই ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহারের সুবিধা হল একটি টাওয়ার দিয়ে সাধারন মোবাইল নেটওয়ার্কের চেয়ে আরো অনেক বেশি দূর কভারেজ দেয়া সম্ভব। কত বেশি? রামপুরার একটি টাওয়ার দিয়ে বিটিভি পুরো ঢাকা শহর কভারেজ দিয়ে থাকে। তবে এই প্রযু্ক্তির ফ্রিকুয়েন্সি আপাতত টিভি চ্যানলের জন্যে বরাদ্দ হওয়ায় ব্যবহারের অনুমতি পাওয়াই কঠিন কাজ এই মুহূর্তে।

গুগল আপাতত কেনিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলছে, যেন টিভির ফ্রিকুয়েন্সিগুলো মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসাবে ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত টিভির ফ্রিকুয়েন্সিগুলো সেলফোনের কাজে ব্যবহৃত হয়নি বলে রেগুলেটরদের কনভিন্স করতেই বেশ বেগ পেতে হচ্ছে গুগলকে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই নেটওয়ার্ক তৈরির পাশাপাশি এই নেটওয়ার্কে কাজ করতে সক্ষম এমন স্বল্পমূল্যের কিছু অ্যান্ড্রয়েড ফোনও তৈরি করার জন্য কাজ করছে গুগল। এতে সুবিধা হবে, তুলনামূলক কম টাওয়ার দিয়ে বিস্তৃত এলাকায় নেটওয়ার্ক কাভারেজ দিয়ে গুগল নিজেই হয়ে উঠবে স্মার্টফোন নির্মাতা ও মোবাইল সেবাদাতা (ক্যারিয়ার) প্রতিষ্ঠান।

তবে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে আরও অনেক সময় লাগবে বলেই মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

গুগলের তত্ত্বাবধানে তৈরি স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোন ও গুগলের নিজস্ব ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে আগ্রহীরা মন্তব্যের ঘরে সাড়া দিন!