সুখবরঃ আসছে গুগলের সেকেন্ড জেনারেশন নেক্সাস ৭

নেক্সাস ৭

অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটের জগতে যদি আদর্শ কোনো ডিভাইস থাকে, তাহলে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই তার নাম হবে নেক্সাস সেভেন। এর প্রথম কারণ হতে পারে অ্যান্ড্রয়েডের নির্মাতা গুগলেরই নিজস্ব তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয় নেক্সাস ৭, আর দ্বিতীয় কারণ হতে পারে এতো কম দামে আসলেই দারুণ একটি ডিভাইস এটি। সুখবর হচ্ছে, নেক্সাস ৭-কে নিয়ে গুগলের কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়নি। বরং এই জুলাইয়েই সেকেন্ড জেনারেশন নেক্সাস ৭ বাজারে আনতে পারে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

সূত্রমতে, কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর চালিত নতুন নেক্সাস ৭-এর দাম বর্তমান দামের চেয়ে আরও কম হবে। গুগলের আয়ের প্রধান উৎস হলো বিজ্ঞাপন। আর তাই গুগল চায় যত বেশি সম্ভব অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারকারীর হাতে পৌঁছে দিতে। যে কারণে গুগল নামমাত্র লাভেও ডিভাইস বিক্রি করতে পারে। আর এটাই গুগলের নেক্সাস ৭-এর তুলনামূলক কম দামের পেছনে অন্যতম কারণ।

রয়টার্সকে দু’টি সূত্র জানিয়েছে, এ বছরের মাঝামাঝি অর্থাৎ জুলাইয়ের দিকে গুগল আসুসের তৈরি ৮ মিলিয়ন নেক্সাস ৭ বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে। আর এবার গুগলের এই ট্যাবলেট সরাসরি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নামবে অ্যামাজনের কিন্ডল ফায়ার এবং অ্যাপলের আইপ্যাড মিনির সঙ্গে। বলা বাহুল্য, এতোদিন নেক্সাস ৭-এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এই দু’টি ডিভাইসই হলেও দাম কমালে বাজারে টিকে থাকা আসলেই কঠিন হয়ে পড়বে অন্য দু’টি ট্যাবলেটের।

(আরও পড়ুনঃ আইপ্যাড মিনি বনাম নেক্সাস ৭ )

নেক্সাস ৭

এবারই প্রথম সেকেন্ড জেনারেশন নেক্সাস ৭ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া গেছে। নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও সূত্র জানিয়েছে, নতুন নেক্সাস ৭ ট্যাবলেটে থাকবে আরও বেশি রেজুলেশনের ডিসপ্লে, আরও স্লিম ডিজাইন এবং এনভিডিয়া টেগরা ৩-এর বদলে কোয়ালকমের একটি চিপসেট ব্যবহৃত হবে। কোন চিপ ব্যবহার হবে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানাতে রাজি হয়নি সূত্র। তবে অনেকেই ধারণা করছেন স্ন্যাপড্রাগন ৬০০ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

টেগরা ৩ বাদ দিয়ে গুগল কেন কোয়ালকমের চিপসেটের দিকে ঝুঁকলো সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, গুগল দু’টি চিপসেটই তুলনা করেছে এবং শেষ পর্যন্ত কোয়ালকমকে বেছে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলেই বিস্তারিত জানা যাবে কেন এনভিডিয়া টেগরা ৩, যেটি ছিল নেক্সাস ৭-এর অন্যতম প্রশংসিত হার্ডওয়্যার, বাদ দিয়ে গুগল কোয়ালকমের চিপসেট ব্যবহার করতে যাচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম রয়টার্স নতুন এই নেক্সাস ৭ সম্পর্কে তথ্য জানতে এনভিডিয়া, কোয়ালকম এবং গুগলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের কেউই এ সম্পর্কে মুখ খুলতে রাজি হয়নি। এতে করে অন্তত এই বিশ্বাস দৃঢ় হয় যে, আসলেই কোনো ফ্যাক্টরিতে চলছে সেকেন্ড জেনারেশন নেক্সাস ৭-এর কাজ!

১৯৯ ডলারেরও কম মূল্যে নেক্সাস ৭ বাজারে আসলে অন্য ব্র্যান্ডের ট্যাবলেট কেনার প্রতি আগ্রহ থাকবে? মন্তব্যের ঘরে আপনার অভিমত আমাদের জানিয়ে যেতে ভুলবেন না।