ফ্লেক্সিবল ডিসপ্লে বা বাঁকানো যায় এমন ডিসপ্লের কনসেপ্ট নতুন কিছু নয়। প্রযুক্তি বিশ্বে অনেকবারই বিভিন্ন কোম্পানি বাঁকানো যায় এমন ডিসপ্লে দেখিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি স্যামসাং জানিয়েছে, আসছে কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স শো (সিইএস) ২০১৩-তে তারা ৫.৫ ইঞ্চি আকারের এক ধরনের ফ্লেক্সিবল ডিসপ্লের প্রদর্শনী করবে।
সিইএস নিয়ে বিশেষ কভারেজ দেয়ার জন্য তৈরি সিনেটের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, স্যামসাং ডিসপ্লে নামের একটি বিশেষ স্টলে স্যামসাং তাদের নতুন নির্মিত এসব ডিসপ্লে দেখাবে। এই ডিসপ্লে ফ্লেক্সিবল হলেও এর স্ক্রিন রেজুলেশন ১২৮০ বাই ৭২০ অর্থাৎ এইচডি। এছাড়াও পিক্সেল ডেনসিটি ২৬৭ পিক্সেল। তবে এসব স্ক্রিন বাঁকানো গেলেও রোল করা যাবে না বলে স্যামসাং ডিসপ্লে সিনেটকে জানিয়েছে।
৫.৫ ইঞ্চি আকারের এই ডিসপ্লের পাশাপাশি স্যামসাং ডিসপ্লে ৫৫ ইঞ্চি আকারের একটি স্ক্রিনও দেখাবে। তবে সেটিও বাঁকানো যাবে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত জানা যায়নি।
সিনেট জানিয়েছে, স্যামসাং এই জানুয়ারির সিইএস-এ যা দেখাতে যাচ্ছে তা মূলত স্ক্রিনের মূল উপাদান। এর সঙ্গে কাজ করার জন্য টাচ প্যানেল এবং কভার লেন্স তৈরি করা এখনও বাকি রয়েছে। এই তিন উপাদান মিলেই তৈরি হবে একটি পূর্ণাঙ্গ স্মার্টফোন স্ক্রিন।
যেমনটা আগেই বলা হয়েছে, এবারই প্রথম স্যামসাং বাঁকানো যায় এমন ডিসপ্লে দেখাচ্ছে না। ২০১১ সালের সিইএস-এ স্যামসাং ৪.৫ ইঞ্চি আকারের ৮০০ বাই ৪৮০ পিক্সেল রেজুলেশন ও প্রায় ২০০ পিক্সেল ডেনসিটির কার্ভিং স্ক্রিন দেখিয়েছে। ২০১৩ সালের সিইএস-এ এসে এই পর্দার আকার বেড়ে ৫.৫ ইঞ্চি হওয়া, রেজুলেশন বেড়ে ১২৮০ বাই ৭২০ হওয়া আর পিক্সেল ডেনসিটি বেড়ে ২৬৭ হওয়া দেখে বলেই দেয়া যায় স্যামসাং খামোকা বিশ্বের এক নম্বর মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের খেতাব পায়নি।
অবশ্য এসব বাঁকানোযোগ্য ডিসপ্লে কোনো মোবাইলে ব্যবহৃত হবে কি না তা এখনও জানা যায়নি। এগুলো মোবাইলে ব্যবহৃত হলে খুব একটা আরামদায়ক হবে না বলেই ভাবছেন অনেকে। একজন পাঠক মন্তব্য করেছেন, “ফ্লেক্সিবল ডিসপ্লের মোবাইল কানে ঠেকিয়ে কথা বলতে গেলে তো ডিসপ্লে পেছন দিকে চলে যাবে!”
কাজেই, প্রযুক্তিটি আকর্ষণীয় হলেও এর ব্যবহারের ক্ষেত্র বের করাটাও কঠিন কাজ হবে।