প্রত্যাশা বনাম প্রাপ্তি : এই হলো নোকিয়ার অ্যান্ড্রয়েড পরিবার – নোকিয়া এক্স

নোকিয়া এক্স

অ্যান্ড্রয়েডপ্রেমীদের সবসময় একটি অভিযোগ ছিল যে কেন নোকিয়া অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চালিত ফোন কখনও বের করেনি। কেন বছরের পর বছর লোকসানে থাকা সত্ত্বেও নোকিয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোন বের করার চিন্তাও করল না। তারপরও তারা আশা করেছিল যে হয়তো কোনদিন নোকিয়া তাদের ভুল বুঝতে পারবে, হয়তো নোকিয়া একদিন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চালিত স্মার্টফোন বাজারে আনবে। এর কারণও আছে, তা হলো নোকিয়া সবচেয়ে ভালো মানের হার্ডওয়্যার দিয়ে ফোন প্রস্তুত করার জন্যে নাম করেছিল। অ্যান্ড্রয়েড এবং তাদের এই গুণ মিলে ফলাফল হিসেবে কেমন একটি সেট তৈরি হতে পারে সেটা ভেবেই সবাই এই আবদার করত।

কিন্তু গত বছর যখন নোকিয়ার মোবাইল হার্ডওয়্যার ডিভিশন মাইক্রোসফট প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে কিনে নিল, তখন সকলেই নোকিয়া কখনও অ্যান্ড্রয়েড ফোন আনবে সে আশা ছেড়ে দিল। তবে তারপরই ইন্টারনেটে প্রচার পেতে শুরু করল কিছু গুজব। নোকিয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গুজব। তাদের প্রোটোটাইপও প্রস্তুত করা আছে, তারা ফোনটি বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এ ধরনের অনেক কথাই শোনা গিয়েছিল। এমনকি মাঝে মাঝে নোকিয়ার এই তথাকথিত অ্যান্ড্রয়েডের ছবিও প্রকাশ পেয়েছিল। কিন্তু এতো কিছুর পরেও সবাই ধরে নিয়েছিলেন যে না, এই প্রোটোটাইপ প্রোটোটাইপই থাকবে। মাইক্রোসফট নোকিয়ার মোবাইল ডিভিশন কিনে নেবার পর এর ফোন বাজারে আসার আর কোন সুযোগ নেই।

তাই বলে থেমে থাকেনি গুজব। বিশেষ করে যখন বিশেষজ্ঞরা জানালেন যে, নোকিয়া-মাইক্রোসফট চুক্তি কার্যকর হওয়ার আগে নোকিয়ার হাতে অ্যান্ড্রয়েড বের করার মতো সুযোগ ও সময় রয়েছে, তখন সেই গুজব ফের আশায় রূপ নিতে শুরু করলো। আর সেই আশাই বাস্তব রূপ নিলো আজ স্পেনের বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে।

This article also appears in English on Android Kothon English.

নোকিয়া এক্স

নোকিয়া এক্সমোবাইল জগতের বৃহত্তম এই প্রদর্শনীতে নোকিয়া তাদের প্রথম অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। এতোদিন কেবল ‘নোকিয়া এক্স’ নামের একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কথা শোনা গেলেও অবশেষে একই সঙ্গে অ্যান্ড্রয়েড-চালিত তিনটি স্মার্টফোনের ঘোষণা দিয়েছে নোকিয়া। শুনতে অনেক এক্সাটাইটিং মনে হলেও, স্পেসিফিকেশন শুনে চুপসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে!

নোকিয়া তাদের এই নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন সিরিজের নাম রেখেছে নোকিয়া এক্স ফোন সিরিজ। এমনকি নোকিয়া তাদের এই অপারেটিং সিস্টেমকেও নাম দিয়েছে সেই একইভাবে। নোকিয়ার মতে এটি হলো নোকিয়া এক্স সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্মের প্রথম তিনটি স্মার্টফোন। অ্যান্ড্রয়েডের ফর্ক ভার্সনের উপর এই অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে যেমনটা অ্যামাজন তাদের কিন্ডল ট্যাবলেটে করে থাকে। নোকিয়ার এই তিনটি স্মার্টফোন হল নোকিয়া এক্স, এক্স প্লাস এবং এক্সএল। তিনটি প্রায় একই ধরনের এই স্মার্টফোনগুলোর মূল্য ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৮৯, ৯৯ এবং ১০৯ ইউরো। নোকিয়ার বর্তমান সিইও স্টিফেন ইলোপের মতে, তারা তাদের গ্রাহকে একাধিক অপারেটিং সিস্টেম থেকে বাছাই করার সুযোগ দিতে করতে চায়। আর সেই উদ্দেশ্য থেকেই এসেছে নোকিয়া এক্স।

নোকিয়া এক্স হল নোকিয়া আশা ও লুমিয়া সিরিজের মাঝামাঝি একটি সিরিজ। আর এটি যে সত্যি তা প্রমাণ করতে আজকের অনুষ্ঠানে নোকিয়া তাদের স্ক্রিনে দেখিয়েছেও তা! নোকিয়ার মতে, “আশা x লুমিয়া = নোকিয়া এক্স!” নোকিয়া এই স্মার্টফোনগুলো মূলত প্রস্তুত করেছে সেইসব মার্কেটকে লক্ষ্য করে যেখানে এখনও কমদামী স্মার্টফোনের ব্যাপক চাহিদা আছে। এই সব অঞ্চলের আঞ্চলিক মোবাইল অপারেটরদের প্রদান করা স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোনের সাথে প্রতিযোগিতা করতেই নোকিয়া মূলত উন্মুক্ত করেছে এই স্মার্টফোন। আর নোকিয়া স্বল্পমূল্যের বাজারে যে প্রভাব রয়েছে আর নোকিয়ার ফ্যান যারা কিনা অ্যান্ড্রয়েডের অভাবে এতদিন নোকিয়া ব্যবহার করতে পারেনি তাদের কাছে এটি একটি আকর্ষণীয় হতে পারে।

কী আছে নোকিয়ার অ্যান্ড্রয়েডে?

নোকিয়ার অ্যান্ড্রয়েড বলেই যে বিশ্বের সেরা অ্যান্ড্রয়েড ফোন হবে এমনটা কেউ কখনো বলেনি। বরং ফোনের জগতে নোকিয়া ফোনের স্থায়িত্ব ও ডিজাইন সবসময়ই ব্যতিক্রমী ও উদ্ভাবনী ছিল, যে কারণে ফিচার ফোনের বাজারে আজও নোকিয়া বেশ জনপ্রিয়। তবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের বাজারে কেবল সুন্দর ডিজাইন আর চকচকে রঙ দিয়ে মন গলানো যাবে না; লাগবে ন্যূনতম ভালো হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার পারফরম্যান্স। দুঃখের বিষয় হলো, বেশিরভাগ প্রতিবেদকরাই নোকিয়ার অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলো হাতে নিয়ে হতাশ হয়েছেন। কেন? এখনই বুঝতে পারবেন।

নোকিয়া এক্স সিরিজের ‘এক্স’ ও ‘এক্স প্লাস’ ফোনে রয়েছে ৮০০x৪৮০ রেজুলেশনের ৪ ইঞ্চি আইপিএস ডিসপ্লে। এক্সএল-এর ক্ষেত্রে এই ডিসপ্লের আকার ৫ ইঞ্চি। এছাড়া এই সিরিজের তিনটি ফোনেই ব্যবহার করা হয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮২২৫ মডেলের ১ গিগাহার্জ প্রসেসর। এই প্রসেসর মূলত এআরএমের কর্টেক্স এ৫ আর্কিটেকচার ভিত্তিক যার সাথে জিপিউ হিসেবে আছে কোয়ালকম আড্রিনো ২০৩। এই প্রসেসর মূলত স্মার্টফোনে সাধারণ মানের কাজ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। খুব উচ্চমানের কার্যক্ষমতা এ ফোনের কাছ থেকে সত্যিকার অর্থে আশা না করাই ভালো হবে।

র‍্যামের দিক থেকে নোকিয়া এক্সে আছে ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম এবং নোকিয়া এক্স প্লাস এবং এক্সএলে আছে ৭৬৮ মেগাবাইট র‌্যাম। ইন্টারনাল স্টোরেজ হিসেবে আছে ৪ গিগাবাইট স্টোরেজ যা মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। নোকিয়া এক্স প্লাস এবং এক্সএলের ক্ষেত্রে একটি ৪ গিগাবাইট মেমোরি কার্ড ফ্রিতে প্রদান করাও হবে। নোকিয়া এক্স এবং এক্সপ্লাস উভয় ফোনেই আছে ফ্ল্যাশবিহীন ৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। এই দুইফোনের ক্ষেত্রে স্কাইপ অথবা ভিডিও কল করার জন্যে সেকেন্ডারি বা ফ্রন্ট সাইডে কোন ক্যামেরা নেই। অপরদিকে এক্সএলে আছে ৫ মেগাপিক্সেল অটোফোকাস ক্যামেরা এবং ফ্ল্যাশ এবং স্কাইপ ও ভিডিও কল করার জন্যে আছে সামনে ২ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরাও।

এসবের পাশাপাশি তিনটি ফোনেই আছে ওয়াইফাই, জিপিএস ও ডুয়াল সিম সুবিধা। নোকিয়া এক্স ওএক্স প্লাসে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি যা প্রায় ১ মাসের স্ট্যান্ডবাই ব্যাকআপ এবং থ্রিজি নেটওয়ার্কে প্রায় ১০ ঘণ্টার টকটাইম ব্যাকআপ দিবে নোকিয়ার দাবি। অন্যদিকে নোকিয়া এক্সএলের ক্ষেত্রে কিছুটা বড় আকারের ব্যাটারি ব্যবহার করায় এ ক্ষেত্রে ব্যাকআপ একটু বেশি পাওয়া যাবে। তবে ঠিক কত মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি এটাতে ব্যবহার করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

আসল কথাঃ অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার

নোকিয়া এক্সসফটওয়্যার এর দিক থেকে যদি প্রশ্ন করা হয় তবে প্রথমেই যা মাথায় আসে তা হল যদি উইন্ডোজ, অ্যান্ড্রয়েড এবং নোকিয়া আশা ওএস প্ল্যাটফর্মকে একত্র করা হতো তো কেমন হত? উত্তর হবে এই নোকিয়া এক্স সিরিজ। অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স প্রজেক্টের উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয়েছে নোকিয়া এক্স সিরিজের নোকিয়া এক্স সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম। তবে সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ ব্যবহার করেনি নোকিয়া। বরং তারা ব্যবহার করেছে অ্যান্ড্রয়েড জেলি বিন ৪.১.২ সংস্করণ। আন্ড্রয়েডের এই সংস্করণ উন্মুক্ত করা হয় ২০১২ সালের অক্টোবরে। সুতরাং এ থেকে বোঝা যায় নোকিয়া কতদিন ধরে এটি নিয়ে কাজ করছে আসলে। তবে এত পুরনো সংস্করণ ব্যবহার করায় এর কার্যক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। যেহেতু খুব শক্তিশালী প্রসেসর অথবা খুব বেশি র‌্যাম ব্যবহার করা হয়নি এই ফোনের পারফরম্যান্স বেশ ল্যাগ করবে। আর যারা এই ফোনের হ্যান্ডস অন অথবা এর উন্মোচন অনুষ্ঠান খেয়াল করেছেন তারাও বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

এছাড়াও নামে অ্যান্ড্রয়েড হলেও এতে নেই কোন গুগলের সুবিধা অথবা প্লে স্টোর, বরং ব্যবহার করা হয়েছে নোকিয়ার নিজস্ব স্টোর। তবে কিন্ডলের মতো সাইড লোড করা যাবে অন্যান্য অ্যাপ স্টোরও। নোকিয়া জানিয়েছে, ব্যবহারকারী চাইলে ডিভাইসগুলো রুটও করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডিভাইসের ওয়ারেন্টি চলে যাবে। যদি নোকিয়ার স্টোরে কোন অ্যাপ না পান তবে তাদের চুক্তিবদ্ধ অন্য অ্যাপস্টোরে সে অ্যাপ থাকলে তার লিঙ্কও প্রদান করবে নোকিয়া। এক্ষেত্রে আছে রাশিয়ার ইয়ান্ডেক্স এবং চায়নার ওয়ানমোবাইল। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপগুলোতে খুব সামান্য পরিবর্তন এনেই প্রায় সকল অ্যাপই চালানো যাবে এই ফোনে।

সেক্ষেত্রে নোকিয়া আশা করে সকলে তাদের অ্যাপ স্টোরে অ্যাপ প্রদান করবে। যদি নাও করে তারপরও নোকিয়ার এই স্মার্টফোনের জন্য অ্যান্ড্রয়েডের প্রায় সকল অ্যাপ পাওয়া যাবে সহজেই।

অপরদিকে নোকিয়া এর ইউজার ইন্টারফেস করেছে উইন্ডোজের মতো লাইভ টাইল দিয়ে যা চাহিদামতো আকার পরিবর্তন করা যাবে। এছাড়া আছে নোকিয়া আশা সিরিজের ফ্যাস্টলেনও যা কিনা আপনার সাম্প্রতিক ব্যবহার করা সকল মোবাইল ফিচার দেখাবে। গুগলের কোন সার্ভিস না থাকলেও মাইক্রোসফটের বেশ কয়েকটি সার্ভিস এই ফোনে অন্তর্ভুক্ত করা আছে। এর মধ্যে আছে স্কাইপ, ওয়ানড্রাইভ, আউটলুক প্রভৃতি। তবে এক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন রয়ে যায় যে মাইক্রোসফট কেন তাদের অফিস মোবাইল অন্তর্ভুক্ত করল না যেখানে তারা এতো সুবিধা প্রদান করতে পারছে। মাইক্রোসফট সব নোকিয়া এক্স ব্যবহারকারীকে বিনামূল্যে বিশ্বের ৬০টি দেশের ল্যান্ডলাইনে ফোন করতে দিবে স্কাইপের মাধ্যমে, ওয়ানড্রাইভে প্রদান করবে ১০ গিগাবাইট স্টোরেজও। সেক্ষেত্রে মাইক্রোসফটের অফিস মোবাইল একটি ভালো অন্তর্ভুক্তি হতে পারত।

মাইক্রোসফটের মোড়কে অ্যান্ড্রয়েড

নোকিয়ার মোবাইল ডিভিশন মাইক্রোসফটের অধীনে হলেও দুটি অংশই জানে যে তাদের মোবাইলের মূল্য কতদূর পর্যন্ত তারা কম করতে পারে আসলে। নোকিয়া লুমিয়া ৫২০ অথবা ৫২৫ হল সেই সর্বনিম্ন পর্যায়ের মূল্যের স্মার্টফোন। কিন্তু এর নিচে যারা স্মার্টফোনের সুবিধা চায় তাদের কি হবে? নোকিয়া আশা সিরিজ সকল চাহিদা পূরণ করতে পারে না। আর এই ধরনের ব্যবহারকারীর সংখ্যাই এখনও বেশি। যেখানে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ফোন বিক্রেতা একাধিক প্রতিষ্ঠান এই বাজার লক্ষ্য করে ফোন বাজারে আনতে পারছে, সেখানে নোকিয়া অথবা মাইক্রোসফট পারছে না। যদিও মাইক্রোসফট চায় উইন্ডোজ ফোন সবাই ব্যবহার করুক কিন্তু এই বাজারের জন্যে একটি সমাধান থাকতে হবে। আর তাই নোকিয়া এক্স সিরিজ। স্টিফেন ইলোপের বক্তব্য থেকেও এটি পরিষ্কার।

নোকিয়া এক্স

নোকিয়া এক্সএল সবচেয়ে দামি স্মার্টফোন হতে যাবে নোকিয়া এক্স সিরিজের। নোকিয়া লুমিয়া সিরিজের দাম যতই কমতে থাকবে নোকিয়া এক্স সিরিজের তার নিচের ভাগের চাহিদা পূরণ করতে দাম কমাতে থাকবে। অপরদিকে মাইক্রোসফট/নোকিয়ার নিয়ন্ত্রিত অ্যাপস্টোর থেকেও একটি বিশাল লাভ এর মাধ্যমে আনা সম্ভব। এ কারণেই মাইক্রোসফট অ্যান্ড্রয়েড ফোন আনতে সমর্থন দিয়েছে নোকিয়াকে। তবে এতে থাকবে না কোন গুগল সুবিধা বরং থাকবে মাইক্রোসফটের সব সুবিধাসমূহ। সেক্ষেত্রে এই ফোন কেমন গ্রহণযোগ্যতা পায় তাই প্রশ্ন। ইতোমধ্যে নোকিয়া এক্স সিরিজের জন্যে। নোকিয়া কিছু জনপ্রিয় গেম এবং অ্যাপ প্রদান করা শুরু করেছে। জনপ্রিয় কিবোর্ড অ্যাপ্লিকেশন ‘সুইফটকি’ ১ বছরের জন্য ফ্রি ব্যবহার করতে দেয়া হবে। তবে এতো কিছুর পরও কি নোকিয়া এক্স সিরিজ গ্রহণযোগ্যতা পাবে?

নোকিয়ার ডিসপ্লে, প্রসেসর, ক্যামেরা সবদিক থেকে বিবেচনা করলে এখনও অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা এ মূল্যে আরও ভালো ফোন প্রদান করতে পারে। যেমন ক্যামেরার দিক থেকে যেখানে ৫ মেগাপিক্সেল বেশ মেইনস্ট্রিম হয়ে গেছে, সেখানে ৩ মেগাপিক্সেল অনেক কম মনে হতে পারে। এই মূল্যের বাজারে অ্যান্ড্রয়েড বাজার থেকে আরও আছে আসুস, জেডটিই, হুয়াই, শাওমি এর মতো একাধিক প্রতিষ্ঠান। তবে ফোনটি রুট করা যাবে বলে নোকিয়ার এক্স প্ল্যাটফর্ম ভালো না লাগলে হয়তো সহজেই অ্যান্ড্রয়েডের কাস্টম কোনো রম ইন্সটল করে নেয়া যেতে পারে। অন্তত ডেভেলপাররা এ ফোনের জন্য অ্যান্ড্রয়েড রম বানাবেন সে কথা নিশ্চিত বলা যায়।

তবুও সবাই তো আর ফোন নিয়ে অ্যাডভান্সড এক্সপেরিমেন্ট করেন না। আর তাই সাধারণ গ্রাহকের কথা ভেবে প্রশ্ন রয়েই যায়, নোকিয়া কি পারবে এই ফোন দিয়ে গ্রাহকের মন জয় করে নিতে? আপনার কী মত?

Additional writing by A.I. Sajib.

This article also appears in English on Android Kothon English.

পূর্ববর্তী পোস্ট: ‘এক্স’ কোনো অজানা রাশি নয়

অ্যান্ড্রয়েড সম্পর্কিত আরও যাবতীয় খবর ও রিভিউর জন্য অ্যান্ড্রয়েড কথনের ফেসবুক পেজে অবশ্যই লাইক দিয়ে রাখুন।