ফিলিপস আনছে ৬৬ দিন ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন

ফিলিপস W6618

ফিলিপস প্রায় সব ধরনের কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী তৈরি করে থাকলেও বাংলাদেশে বোধহয় তাদের সবাই ‘বাতির রাজা ফিলিপস’ বলেই বেশি চিনে থাকেন। কথা হচ্ছে, বাতির রাজা যদি ফিলিপস হয়, তাহলে ব্যাটারির রাজাও ফিলিপস হতে দোষ কোথায়?

স্মার্টফোন বাজার এখন এমন হয়ে গেছে যে, কে কার চেয়ে বেশি গতির প্রসেসর, মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা আর বড় আকৃতির স্ক্রিন দিবে তার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। এতে করে স্মার্টফোনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সবার চোখের আড়ালেই থেকে যায়। আর সেটি হচ্ছে ব্যাটারি ব্যাকআপ। স্মার্টফোন যেখানে সবার জীবন আরও সহজ করার কথা, সেখানে ফোনে চার্জ দিতে দিতেই অনেকের একটি বড় সময় কেটে যায়। আর তাই গতানুগতিক স্পেসিফিকেশন তথা হার্ডওয়্যারের দিকে নজর কম দিয়ে ফিলিপস তৈরি করেছে নতুন এন্ট্রি-লেভেল অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফিলিপস W6618.

বিশেষ করে চাইনিজ বাজারকে লক্ষ্য করে বাজারে আনা এই ফোনটিতে রয়েছে ১.৩ গিগাহার্জ কোয়াড-কোর প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র‌্যাম, ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে যার রেজুলেশন কিউএইচডি এবঙ ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ। রয়েছে মাইক্রোএসডি কার্ডের স্লট।

এন্ট্রি-লেভেল ফোন হিসেবে এতে কোনো বিস্ময় না থাকলেও ফোনটির প্রধান বিশেষত্ব হচ্ছে এর ব্যাটারিতে। ফিলিপসের দাবি, এই ফোন এক চার্জে টানা ৬৬ দিন স্ট্যান্ডবাই মোডে ও টানা ৩৩ ঘণ্টা টকটাইমের ব্যাকআপ দিতে পারবে। আর এটি সম্ভব হবে কেবল এর ৫,৩০০ এমএএইচ ক্ষমতার ব্যাটারির ফলে।

অবশ্য বাড়তি ব্যাটারির জন্য জায়গা করতে গিয়ে ফোনটির পুরুত্ব বাড়াতে হয়েছে ফিলিপসকে, যার ফলে এটি এখনকার প্রায় অনেক ফোনের তুলনায়ই বেশি মোটা ও ভারি লাগতে পারে। তবে বাড়তি ব্যাকআপের জন্য এতটুকু ডিজাইন স্যাক্রিফাইস মেনে নেয়া যেতেই পারে।

ফিলিপসের এই ফোনটি চীনে ১৬৯৯ ইউয়ানে বিক্রি হবে; ডলারে যার দাম ২৭৩ ডলার। খুশির খবর হচ্ছে, এটি এশীয় ও ইউরোপিয়ান বাজারেও আসবে বলে জানা গেছে। যদিও বাংলাদেশে আসবে কি না সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রশ্ন হচ্ছে খুব একটা ব্র্যান্ড ভ্যালু না থাকায় বাংলাদেশের ক্রেতারা কি বাড়তি ব্যাকআপের লোভে ফিলিপসের এই ফোন কিনবেন?

আপনার কী ধারণা? বাড়তি ব্যাকআপ দিয়ে ক্রেতা টানতে পারবে ফিলিপস?

This post is also available in Android Kothon English.