ওয়াল্টন আনলো নতুন Walton Primo RX এবং Walton Primo N

primo rx

দেশের বাজারে একের পর এক নতুন নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন এনে দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করে নেয় ওয়াল্টন। বিশেষ করে তাদের প্রথম অ্যান্ড্রয়েড ফোন ওয়াল্টন প্রিমোর সফলতার পর কোম্পানিটিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রিমো সিরিজে এরপর বিভিন্ন দামে বিভিন্ন ডিজাইন ও হার্ডওয়্যারের অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও ট্যাবলেট বাজারে আনতে শুরু করে। বলা যায়, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এতো বেশি স্মার্টফোন বাজারজাত করে ওয়াল্টন যে অনেক ক্রেতাই একাধিক ডিভাইসের মধ্যে কোনটি নেবেন তা নিয়ে বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন।

আপনার দ্বিধাদ্বন্দ্ব আরেকটু বাড়াতেই যেন ওয়াল্টন সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে তাদের নতুন দু’টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, Walton Primo RX এবং Walton Primo N. নতুন ফোনদু’টি ওয়াল্টনের ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল ঢাকার বাজারে মুক্তি পেয়েছে এবং আজ থেকে সারাদেশে পাওয়া যাবে। চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক নতুন এই দু’টি ফোনের হার্ডওয়্যার স্পেসিফিকেশন।

Walton Primo RX

ওয়াল্টন প্রিমো আরএক্স-এ রয়েছে ৫” এইডি আইপিএস ডিসপ্লে যার রেজুলেশন 1280 x 720 পিক্সেল। সেকেন্ড জেনারেশন করনিং গরিলা গ্লাস সম্বলিত এই ফোনে রয়েছে ১.২ গিগাহার্জ কোয়াড-কোর প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র‌্যাম ও ১৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। গ্রাফিক্স প্রসেসিং-এর জন্য এতে রয়েছে পাওয়ারভিআর এসজিএক্স ৫৪৪এমপি।

প্রিমো আরএক্স-এ রয়েছে ফ্ল্যাশসহ ১৩-মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। দু’টি ক্যামেরাই ব্যাকসাইড ইলুমিনেশন প্রযুক্তি সমর্থিত ও সিএমওএস সেন্সর সমৃদ্ধ। এছাড়াও এই ফোনে রয়েছে ওয়াই-ফাই, ৪জি, এ-জিপিএস, ব্লুটুথ ৪.০, মাইক্রোইউএসবি, ওয়্যারলেস ডিসপ্লে শেয়ারিং, অ্যাক্সেলেরোমিটার, প্রক্সিমিটি ইত্যাদি প্রায় সব সেন্সর ও অন্যান্য সুবিধা।

তবে ওয়াল্টন প্রিমো আরএক্স-এর অন্যতম দুর্বল দিক হলো এর ব্যাটারি। এতোকিছুকে শক্তি যোগানোর জন্য ওয়াল্টনের এই ফোনে মাত্র ২,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি দেয়া হয়েছে। এই ফোনের এটিই সবচেয়ে বড় নেতিবাচক দিক বলা যায়। এছাড়াও ফোনটিতে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ জেলি বিন ব্যবহৃত হচ্ছে।

ওয়াল্টনের ঘোষণা অনুযায়ী, দেশের বাজারে ওয়াল্টন প্রিমো আরএক্স বিক্রি হচ্ছে ১৭,৬৯০ টাকায়

This appears on Android Kothon English.

Walton Primo N

primo N

ওয়াল্টন প্রিমো এন১-এর মাধ্যমে কোয়াড-কোর প্রসেসরের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের যাত্রা শুরু করে ওয়াল্টন। ফোনটির জনপ্রিয়তার পর এবার কোম্পানিটি এনেছে প্রিমো এন, যা এন১-এর চেয়ে খানিকটা বড়, দাম কম, হার্ডওয়্যারও কম।

৫.৫-ইঞ্চি ডিসপ্লের রেজুলেশন মাত্র 854 x 480 পিক্সেল যা অনেকের জন্যই সবচেয়ে বড় নেতিবাচক দিক হতে পারে। ১.২ গিগাহার্জ গতির কোয়াড-কোর প্রসেসরসমৃদ্ধ এই ফোনের গ্রাফিক্স প্রসেসিং-এ রয়েছে পাওয়ারভিআর এসজিএক্স ৫৪৪, ১ গিগাবাইট র‌্যাম ও ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ। এছাড়াও অটোফোকাস ও ফ্ল্যাশ সুবিধা সম্পন্ন ৫ মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা ও ভিজিএ ফ্রন্ট ক্যামেরার পাশাপাশি ওয়াল্টন প্রিমো এন-এ রয়েছে জিপিএস, অ্যাক্সেলেরোমিটার, প্রক্সিমিটি, লাইট সেন্সর, ৩জি, ব্লুটুথ, ওয়্যারলেস ডিসপ্লেসহ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের প্রয়োজনীয় প্রায় সব সেন্সর।

তবে ওয়াল্টন প্রিমো এন-এর আরেকটি বড় দুর্বলতা হলো এর ব্যাটারি। প্রিমো এন১-এর বড় সুবিধা ছিল এর ৩০০০ এমএএইচ ব্যাটারি। কিন্তু প্রিমো এন-এ এসে ব্যাটারির ক্ষমতা কমে দাঁড়িয়েছে ২২৫০ এমএএইচ-এ। অনেক কমদামী স্মার্টফোনের চেয়ে এটি বেশি হলেও প্রিমো এন১-এর সঙ্গে তুলনা করতে গেলে অনেকটাই কম ক্ষমতার ব্যাটারি এটি। অবশ্য এন১-এর সঙ্গে তুলনা না করার পক্ষেও যুক্তি রয়েছে। কেননা, ওয়াল্টন প্রিমো এন-এর দাম ধরা হয়েছে ১২,১৯০ টাকা

Also available in English.

নতুন ফোন বাজারে আসার অপেক্ষায় থাকলে ওয়াল্টনের নতুন ফোন দু’টি থেকে যে কোনো একটি বেছে নিতে পারেন। যদিও মাত্র ১ গিগাবাইট র‌্যাম ও কম ব্যাটারি খানিকটা সমস্যা মনে হতে পারে, তবুও দাম অনুযায়ী ডিভাইসগুলো মোটামুটি ভালো। আর যেহেতু এ দু’টি ডিভাইসের দামের পার্থক্য অনেক, তাই আপনার বাজেটের উপরই অনেকটা নির্ভর করবে কোনটি আপনি কিনতে চাইবেন।

তো এ দুই ফোন থেকে কিনতে গেলে কোনটি বেছে নিবেন ও কেন?