ফায়ারফক্স ওএস ও স্যামসাং-এর টাইজেন একত্রে কাজ করতে পারে: স্যামসাং

টাইজেন

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের জগতে সিংহভাগের অংশীদার স্যামসাং হলেও, কোম্পানিটি বেশ অনেকদিন ধরেই নিজস্ব টাইজেন অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করে আসছে। এইচটিএমএল৫-ভিত্তিক এই অপারেটিং সিস্টেমটি সাম্প্রতিক সময়ে আরও ৩৬টি কোম্পানির সঙ্গে মিলে অ্যান্ড্রয়েডের সম্ভাব্য শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হতে যাচ্ছে বলেই বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন।

কিন্তু কেমন হবে, যদি এইচটিএমএল৫-ভিত্তিক আরেক জনপ্রিয় স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম ফায়ারফক্স ওএস স্যামসাং-এর টাইজেনের সঙ্গে কাজ করে?

স্যামসাং অনেকদিন ধরেই টাইজেন নিয়ে কাজ করে আসলেও এখন পর্যন্ত টাইজেন চালিত কোনো স্মার্টফোন বাজারজাত করেনি। অন্যদিকে ফায়ারফক্স ওএস-চালিত একাধিক স্মার্টফোন ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশে মুক্তি পেয়েছে এবং ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বেশ প্রশংসাও কুড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। দু’টি অপারেটিং সিস্টেমই এইচটিএমএল৫-চালিত এবং স্বল্পমূল্যে স্মার্টফোনের বাজার লক্ষ্য করায় স্বভাবতঃই এই দু’টিকে প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে হতে পারে। কিন্তু স্যামসাং-এর মতে, প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে একত্রে কাজ করা উচিৎ।অন্তত স্যামসাং-এর চিফ সেক্রেটারির তাই মত।

কোরিয়ায় এইচটিএমএল৫-ভিত্তিক একটি অনুষ্ঠানে স্যামসাং-এর এই কর্মকর্তা ফায়ারফক্স ওএস ও টাইজেনের একসঙ্গে কাজ করার মতামত ব্যক্ত করেন। স্যামসাং ও ইন্টেলের তৈরি এই অপারেটিং সিস্টেম স্মার্টফোনের পাশাপাশি ট্যাবলেট, টিভিসহ বিভিন্ন হোম অ্যাপ্লায়েন্সেও ব্যবহার করা যাবে। ফায়ারফক্স ওএস ইতোমধ্যেই স্মার্টফোনে চলে এসেছে ও শিগগিরই ট্যাবলেটেও চলে আসবে বলে জানা গেছে। তাই এই দু’টি একত্রে কাজ শুরু করলে নিজেদেরই উন্নয়নে আরও কয়েক ধাপ এগোনো সম্ভব হবে এবং আপাতঃদৃষ্টিতে অ্যান্ড্রয়েডের বিপক্ষেও একটি শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা দাঁড় করানো সম্ভব হবে।

মজিলা বা স্যামসাং কেউই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মতামত জানায়নি। তাই এখনই বলা যাচ্ছে না অদূর ভবিষ্যতে স্যামসাং ও মজিলার মধ্যে কোনো পার্টনারশিপের সূচনা হতে যাচ্ছে কি না!