Gionee ঘোষণা দিলো নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোন Elife E7

জিওনি

চাইনিজ স্মার্টফোন নির্মাতাদের মধ্যে একটি দারুণ প্রতিযোগিতার শুরু হয়ে গেছে। এতোদিন চাইনিজ ফোন বলতে কেবল কমদামী ও টেকসই নয় এমন ফোন বোঝানো হলেও গতানুগতিক “চাইনিজ” ডিভাইসের এই চিত্র বদলে দিচ্ছে হাতেগোণা কয়েকটি চাইনিজ প্রতিষ্ঠান। তাদের মধ্যেই একটি হলো এই জিওনি (Gionee)।

কোম্পানিটি সম্প্রতি অবমুক্ত করেছে তাদের নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোন Elife E7, যাতে রয়েছে ৫.৫-ইঞ্চি ১০৮০পি ডিসপ্লে, স্ন্যাপড্রাগন ৮০০ প্রসেসর ও ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।

চীনের সাংহাই-এ একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অবমুক্ত হওয়া এই ডিভাইসের ফুল এইচডি আইপিএস ডিসপ্লে প্যানেলে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়ান গ্লাস সলিউশন ও করনিং গরিলা গ্লাস ৩ যার চারপাশে রয়েছে ২.৩৩ মিলিমিটার আল্ট্রা-ন্যারো ফ্রেম। ২.২ গিগাহার্জ কোয়াড-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৮০০ প্রসেসরের এই ফোনে রয়েছে ৩জি সুবিধা। এছাড়াও ২.৫ গিগাহার্জের আরেকটি এলটিই সংস্করণও রয়েছে। দু’টি ডিভাইসই অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ জেলি বিন এবং Amigo 2.0 ইউজার ইন্টারফেসে চলবে।

র‌্যাম ও মেমোরির দিকেও এর দু’টি আলাদা সংস্করণ রয়েছে। জিওনির ঘোষণা অনুযায়ী, ১৬ গিগাবাইট স্টোরেজের ইউনিটে ২ গিগাবাইট র‌্যাম ও ৩২ গিগাবাইট স্টোরেজের ইউনিটে ব্যবহৃত হয়েছে ৩ গিগাবাইট র‌্যাম। আর সেই সঙ্গে ১৬ মেগাপিক্সেল ব্যাক ও ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা তো রয়েছেই।

ওটিজি, এনএফসি, ব্লুটুথ ৪.০, ওয়াই-ফাই ডিরেক্টসহ সর্বশেষ প্রায় সব প্রযুক্তির মিশ্রণে তৈরি এই ফোনে নয়েজ ক্যানসেলেশন-এর জন্য ৩টি মাইক্রোফোন ব্যবহৃত হয়েছে। আর এ সব কিছুর ক্ষমতা জোগাতে দেয়া হয়েছে ২৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি।

জিওনি ইলাইফ ই৭-এর ১৬ গিগাবাইটের দাম ধরা হয়েছে ২,৬৯৯ চাইনিজ ইউয়ান যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৫,০০০ টাকা। অন্যদিকে ৩২ গিগাবাইট ভেরিয়েন্টের দাম ৩,১৯৯ ইউয়ান যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪১,০০০ টাকা। যদিও এই দামে বাংলাদেশে পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা কম, নতুন এই ফোনটি সারাবিশ্বে আগামী বছরের শুরুর দিকে বাজারে আসবে বলে জানিয়েছে। এছাড়াও মিডিয়াটেক-এর অক্টাকোর প্রসেসর সমৃদ্ধ ই৭ মিনি শিগগিরই অবমুক্ত করা হবে বলেও জানিয়েছে জিওনি।

জিওনির ফোন নিয়ে আপনার কোনো অভিজ্ঞতা রয়েছে কি? নতুন এই ফ্ল্যাগশিপ ফোন নিয়ে আপনার কী অভিমত?