দেশের প্রযুক্তি বাজারে বর্তমানে চলছে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট এর জোয়ার। বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি আমাদের দেশী ব্র্যান্ড ওয়াল্টন ও সিম্ফনি ও সামিল হয়েছে এই জোয়ারে। তবে হাই এন্ড অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোর পাশাপাশি বাজেট ফোনগুলোরও ব্যাপক চাহিদা সবখানেই লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে আমাদের দেশে সেই চাহিদাটা অনেক বেশিই।
তাই দেশী ব্র্যান্ডগুলোও মিডরেঞ্জ ফোনের পাশাপাশি এখন একেবারে এন্ট্রি লেভেল ফোনগুলোর দিকেই নজর দিচ্ছে। ক্রেতারাও তাই এখন বাজেটের মধ্যে বেশি ফিচার সম্বলিত সেটের দিকেই বেশি ঝুঁকছে।
বর্তমানে একাধিক এন্ট্রি লেভেল ফোন থাকায় বাজারে এখন এগুলোর মাঝে একরকম স্পেসিফিকেশন যুদ্ধই শুরু হয়ে গেছে। এই লড়াইতে এগিয়ে থাকতেই দেশী ব্রান্ড সিম্ফনি নিয়ে এসেছে তাদের নতুন এন্ট্রি লেভেল ফোন Symphony Xplorer W35। কম বাজেটের ফোনগুলোর মাঝে বর্তমানে এটি বেশ ভালই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এবার এক নজরে দেখে নেয়া যাক কী কী আছে এই ডিভাইসটিতে।
এক নজরে Symphony Xplorer W35
- সিপিইউ: ১ গিগাহার্জ MT6575 সিঙ্গেল কোর প্রসেসর
- জিপিইউ: পাওয়ারভিআর এসজিএক্স৫৩১ (PowerVR SGX531) জিপিইউ
- ডিসপ্লে: ৩.৫ ইঞ্চি TFT ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন
- রেজলুশন: HVGA (৩২০X৪৮০), ১৬৫ পিপিআই পিক্সেল ডেনসিটি
- র্যাম: ৫১২ মেগাবাইট (৪৭৫ এমবি ইউজার অ্যাভেইল্যাবল)
- স্টোরেজ: ইন্টারনাল রম ৪ জিবি (১.৭ জিবি ইউজার অ্যাভেইল্যাবল), ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা
- ক্যামেরা: ২ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা, ০.৩ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা
- ব্যাটারী: ২০০০ mAh
- অপারেটিং সিস্টেম: অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলি বিন
বিল্ড কোয়ালিটি ও ডিজাইন
Symphony Xplorer W35 ফোনটির বিল্ড কোয়ালিটি আর দশটা সাধারণ এন্ট্রি লেভেল ফোনের মতই। সম্পূর্ণ বডি প্লাস্টিকের তৈরি, কালো রঙের ফ্রন্ট পার্ট ও ব্যাক পার্টকে আলাদা করেছে নীল রঙের একটি রিবন।
ডিসপ্লের উপরের দিকে রয়েছে ফ্রন্ট ক্যামেরা ও প্রক্সিমিটি সেন্সর। উপরে রয়েছে পাওয়ার/লক বাটন, মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট এবং ৩.৫ মিমি অডিও জ্যাক। বামপাশে রয়েছে ভলিউম রকার এবং ডানপাশটা খালি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিম্ফনি।
পিছনে উপরের দিকে রয়েছে ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং নিচের দিকে লাউডস্পিকার গ্রিল। ফোনটি ব্যবহার করে প্লাস্টিকি ফিল পাওয়া যাবে, এছাড়া পিচ্ছিল ব্যাক কভার হওয়ায় আপনাকে ব্যবহারে খানিকটা সাবধানতা অবলম্বন করতে হতে পারে।
ফোনটির দৈর্ঘ্য ১১৭.৫ মিলিমিটার, প্রস্থ ৬২.৫ মিলিমিটার এবং পুরুত্ব ১৩ মিলিমিটার। পুরত্ব থেকে বোঝাই যাচ্ছে, ফোনটি একটু মোটা। সব মিলিয়ে এটি আপনার কাছে কোন প্রিমিয়াম ফিল এনে দেবেনা বরং এটি যে বাজেট ফোন তা আপনাকে সবসময় স্মরণ করিয়ে দেবে।
ডিসপ্লে ও টাচ রেসপন্স
Symphony Xplorer W35 ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ৩.৫ ইঞ্চি প্রশস্ত HVGA রেজলুশনের TFT ক্যাপাসিটিভ টাচের ডিসপ্লে। এর ডিসপ্লে ব্রাইটনেস বেশ ভালই তবে রেজলুশন কম হওয়ায় সরাসরি সূর্যের আলোতে ব্যবহার করা কিছুটা অস্বস্তিকর।
ভিউইং অ্যাঙ্গেল সাধারনত TFT ডিসপ্লেতে তেমন একটা ভাল হয়না, একারণে এই হ্যান্ডসেটটির ভিউইং অ্যাঙ্গেলও তেমন একটা ভাল না। ভিডিও দেখার জন্য ডিসপ্লেটা যেমন সবচেয়ে ভাল না তেমনি গেমার দের জন্য সাইজটিও তেমন উপযুক্ত নয়। তবে এই কম বাজেটের ফোনে আপনি এরচেয়ে বেশি কিছু আশা করতেও পারেন না। আর আপনি টুকটাক এইচডি গেমস ও ভিডিও চালানোর স্বাদ তো এতে পাবেনই।
এছাড়া সেটটিতে যেহেতু ক্যাপাসিটিভ টাচ ব্যবহার করা হয়েছে তাই এর টাচ রেসপন্স যথেষ্ট ভালই। এর সবরকম ইন্টারফেসে ঘুরে বেড়ানোর সময় টাচে কোন ল্যাগ অনুভুত হয়নি। আর গেমিং এর জন্য আকার ছোট হলেও টাচ রেসপন্সের দিক দিয়ে কোন সমস্যা সময় তাই ডিসপ্লে কোয়ালিটি আপনার মন ভরাতে না পারলেও টাচ রেসপন্স ঠিকই আপনাকে খুশি করবে।
ইউজার ইন্টারফেস
সিম্ফনি W35 এর ইউজার ইন্টারফেসে স্টক অ্যান্ড্রয়েডের চাইতে খুব বেশি একটা পরিবর্তন আনে নি। ফোন প্রথমবার অন করার পর হোমস্ক্রিনের উপরে পাবেন একটি স্টিকি সার্চ উইজেট আর ডকবারে ৫টি অ্যাপ শর্টকাট। ডিফল্ট লঞ্চারটিতে আপনি ৫টি পর্যন্ত হোমপেজ ব্যবহার করতে পারবেন।
অ্যাপ ড্রয়ারে অ্যাপ্লিকেশনগুলো ৪x৪ গ্রিডে সজ্জিত, যদিও রুট করে ডিপিআই পরিবর্তন করে আপনি তা বাড়িয়ে নিতে পারবেন। ড্রয়ারে দুটি ট্যাব এর একটি তে অ্যাপস ও আরেকটিতে উইজেটসমূহ সজ্জিত রয়েছে। সিম্ফনি এই ফোনে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ও জনপ্রিয় অ্যাপ প্রিইন্সটল করে দিয়েছে।
ক্যামেরা
Symphony Xplorer W35 যে একটি বাজেট ফোন তা সবারই জানা। তবে তার মাঝেও যারা ভাল মানের ক্যামেরা খুঁজছিলেন তাদের কিছুটা হতাশ করবে Symphony Xplorer W35। এর মূল বা রিয়ার ক্যামেরা হিসেবে দেয়া রয়েছে ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, যেটিতে আপনি সাধারণ মানের ছবিই পাবেন।
তবে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় যেটি অনেক সময় অনেক দামি ডিভাইসেও দেখা যায়না তা হল ফ্লাশলাইট। কম বাজেটের অনেক ফোনে ফ্ল্যাশলাইট না থাকলেও Symphony Xplorer W35 -এ সিম্ফনি ঠিকই ফ্লাশ লাইট সংযুক্ত করেছে। আরেকটি অবাক করা বিষয় হল ফোনটিতে অ্যাক্সেলেরোমিটার সেন্সর থাকায় সহজেই আপনি আপনার Symphony Xplorer W35 দিয়ে প্যানোরামা ক্যাপচার করতে পারবেন।
এছাড়া ফ্রন্ট ক্যামেরা হিসেবে এতে রয়েছে ০.৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা যেটি দিয়ে আপনি সাধারণ ভিডিও কল/চ্যাট সহজেই চালাতে পারবেন। আর ক্যামেরা ইন্টারফেস হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ এর স্টক ইন্টারফেসকেই রাখা হয়েছে।
অডিও-ভিডিও
মাল্টিমিডিয়া ডিভাইসের অন্যতম আকর্ষণীয় দিক হল এর অডিও-ভিডিও কোয়ালিটি। কিন্ত অডিও কোয়ালিটির দিক থেকে Symphony Xplorer W35 আপনাকে কিছুটা হতাশ করবে। আমাদের টেস্টিং এর সময় এর লাউডস্পিকার তেমন একটা ভাল না বলেই মনে হয়েছে, তাই লাউডস্পিকারে তেমন ভাল আউটপুট পাওয়া নাও যেতে পারে।
এছাড়া এর হেডফোন হিসেবে বেশ সাধারণ একটি হেডফোন দেয়া হয়েছে যেটির অডিও কোয়ালিটি খুব সাধারণ, কিন্তু এটির দামের দিকটাও এক্ষেত্রে লক্ষণীয়। ডিফল্ট মিউজিক প্লেয়ারটি বেশ সিম্পল, সাথে রয়েছে ইকুলাইজার সাপোর্ট। তবে আপনি যেকোন সময়েই প্লেস্টোর থেকে নতুন মিউজিক প্লেয়ার নামিয়ে নিয়ে একটু ভাল কোয়ালিটির অডিও সাপোর্ট উপভোগ করতে পারবেন।
ভিডিও প্লেব্যাকের জন্য Symphony Xplorer W35 -এ প্রিইন্সটলড রয়েছে MX Player। আপনি অনায়াসেই এর সাহায্যে ৭২০পি এর এইচডি ভিডিও দেখতে পারবেন।
বেঞ্চমার্ক
একটি ডিভাইসের প্রকৃত ক্ষমতা যাচাই করতেই মূলত বেঞ্চমার্ক করা হয়ে থাকে। Symphony Xplorer W35 এর সিপিউ ও জিপিইউ এর সক্ষমতার তুলনায় এর রেজুলেশন অনেক কম হওয়ায় এটি মোটামুটি মানের বেঞ্চমার্ক স্কোর করতে পেরেছে।
ছবিতেই দেখতে পারছেন Antutu Benchmark -এ Symphony Xplorer W35 স্কোর করেছে ৬৪৬৬। এখানে Xplorer W35 গ্যালাক্সি এস ও কিন্ডল ফায়ার কে পিছনে ফেলেছে।
এবার Quadrant এর বেঞ্চমার্কে আসা যাক। এক্ষেত্রেও Symphony Xplorer W35 ডিভাইসটি মটরোলা অ্যাটরিক্স, গ্যালাক্সি নেক্সাস সহ বেশ কিছু নামী ব্র্যান্ডএর ফোনকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়া Nenamark 2 তে Symphony Xplorer W35 স্কোর করেছে 33 FPS । যার অর্থ আপনি ফোনটিতে এইচডি গেমসমূহ খুব বেশি ল্যাগ ছাড়াই খেলতে পারবেন।
গেমিং
অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোর অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে এর গেমিং। আমরা যেই দামের ফোনই কিনিনা কেন, সবাই চাই অ্যান্ড্রয়েড এর এইচডি গেম গুলো একটু পরখ করে দেখতে। তবে কমদামী হওয়া সত্ত্বেও Symphony Xplorer W35 আপনাকে খুব একটা হতাশ করবেনা।
অ্যান্ড্রয়েড এর জনপ্রিয় প্রায় সব গেম ও বেশিরভাগ এইচডি গেমই আপনি ফোনটিতে খেলতে পারবেন। এছাড়া সেটটিতে ওভারক্লক করা পাওয়ারভিআ এসজিএক্স৫৩১ (PowerVR SGX 531) জিপিইউ ব্যবহার কারণে গ্রাফিক্স কোয়ালিটিও খুব খারাপ হবার কথা নয়। র্যাম ৫১২ মেগাবাইট হওয়ায় বাজারে থাকা প্রায় একই দামের ২৫৬ মেগাবাইট র্যামের অনেক সেটের থেকে স্মুথলি গেম খেলা সম্ভব হবে Symphony Xplorer W35 -এ।
টেস্ট করার সময় আমরা NFS Most Wanted, PES 2012, Virtua Tennis, Temple Run OZ সহ আরো বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গেম খেলেছি কোনরকম অসুবিধা ছাড়াই। তবে একটি ব্যাপার লক্ষ করা গেছে গেম খেলার সময় অতি দ্রুতই ফোনটি খুব গরম হয়ে যায় এবং মাঝেমাঝে মাত্রাতিরিক্ত গরম হওয়ার ফলে কিছু এইচডি গেমে বেশ ল্যাগ করে থাকে। এছাড়া আর কোন সমস্যা আমরা পাইনি।
ব্যাটারি ব্যাকআপ
Symphony Xplorer W35 ফোনটিতে ব্যাটারি হিসেবে দেয়া হয়েছে ২০০০ mAh ক্যাপাসিটি যুক্ত শক্তিশালী ব্যাটারি। ডিভাইনপি থেকে আপনি অনায়াসেই মাঝারী নেট ব্রাউজিং (3G), টুকটাক গেমিং, মিউজিকসহ মোটামুটি ১ দিন ব্যাকআপ আশা করতে পারেন।
তবে খুব সাধারণ ব্যবহারে আপনি ২ দিন পর্যন্ত ব্যাকআপ পেতে পারেন। তবে ডিভাইসটির একটি সমস্যা হলো ১ ঘন্টার বেশি ব্যবহার করলেই এর ব্যাটারি দ্রুত গরম হয়ে যায়।
কানেক্টিভিটি, সেন্সর ও অন্যান্য
Symphony Xplorer W35 ফোনটিতে বাজারের অন্যান্য ফোন গুলোর মত সব কানেক্টিভিটি সুবিধাই বিদ্যমান। এতে থ্রিজি, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ ও জিপিএসসহ নানারকম সুবিধা রয়েছে, রয়েছে ইউএসবি কানেক্টিভিটির জন্য রয়েছে মাইক্রোইউএসবি ২.০ পোর্টও। হেডফোন কানেক্ট করার জন্য এতে রয়েছে প্রচলিত ৩.৫ মি.মি হেডফোন জ্যাক।
এছাড়া অ্যান্ড্রয়েডের জরুরী সব সেন্সর, যেমন: অ্যাক্সেলেরোমিটার সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর, অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট সেন্সর এই ফোনটিতে বিদ্যমান। ফোনটি বাজারে আসার পর একধরণের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল এর অ্যাক্সেলেরোমিটার সেন্সরকে ঘিরে, সেন্সরটি 2D না 3D। তবে শেষ পর্যন্ত এটিতে 3D সেন্সর দেয়া হয়েছে বলেই নিশ্চিত হয়েছি আমরা।
Symphony Xplorer W35 -এ 3G সুবিধা রয়েছে। ফলে আপনি সহজেই এর ফ্রন্ট ক্যামেরা ব্যবহার করে ভিডিও কল করতে পারবেন। ব্রাউজার হিসেবে দেয়া হয়েছে স্টক জেলি বিন ব্রাউজারটিই। ফলে আপনার ব্রাউজিং এক্সপেরিয়েন্সও খুব ভাল হবে ফোনটিতে।
সীমাবদ্ধতা
সবরকম ডিভাইসেরই কিছু না কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে, এই ডিভাইসটিও ব্যতিক্রম নয়। বিশেষ করে কমদামী ফোনগুলোতে সীমাবদ্ধতা একটু বেশিই থাকে। আর দামটাকে নাগালের মধ্যে রাখতে সিম্ফনিকে বেশ কিছু ছাড়ও দিতে হয়েছে, এর বিল্ড কোয়ালিটি তার অন্যতম। এছাড়া এর লাউডস্পিকার অন্তত মিউজিক প্রেমীদের কাছে খুব একটা পছন্দ হবেনা।
যারা নেট ব্রাউজিং বেশি করেন, খারাপ ভিউইং অ্যাঙ্গেলের কারণে ব্রাউজিং বেশি সুখকর হবেনা বলেই ধারণা করা যায়। তবে সেটটির সবচেয়ে বড় অসুবিধা ওভারহীট সমস্যা। কিছুক্ষণ গেমিং বা ভিডিউ দেখার মত সিপিউ-জিপিইউ নির্ভর কাজ করলেই ফোনটি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি গরম হয়ে যায়। ডিজাইন ত্রুটির ফলে সৃষ্ট এ সমস্যাটি দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য পীড়াদায়ক তো বটেই, ব্যাটারি লাইফের জন্যও একটা বড় হুমকি স্বরূপ।
শেষকথা
দেশের স্মার্টফোন বাজারে ৬-৭ হাজার টাকার বাজেটের ক্রেতার সংখ্যাই অনেক বেশি। আর তাদের কথা চিন্তা করেই ফোন কোম্পানীগুলো এই রেঞ্জের হ্যান্ডসেটের দিকে এখন নজর দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে Symphony Xplorer W35 ও ব্যতিক্রম নয়।
আপনি যদি ভাবা শুরু করেন এই স্পেসিফিকেশন তো আপনার বাজেট ক্রস করে যাবে, তাহলে আপনার জন্য রয়েছে চমক। কারণ Symphony Xplorer W35 ফোনটি আপনি পাচ্ছেন মাত্র ৬২৯০ টাকায়। তাই সবদিক বিবেচনা করে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ৬২৯০ টাকার Symphony Xplorer W35 এখন পর্যন্ত এই বাজেটের সেরা পছন্দগুলোরই একটি।
আপনার মনে হয়ত অনেক প্রশ্ন জাগছে যেমন এত কম দামে জিনিস ভাল পাব তো? কিংবা পারফরম্যান্স খারাপ হবেনা তো? এসব প্রশ্নের উত্তরের জন্যই আমাদের আজকের রিভিউ। বর্তমান বাজারে থাকা একই রেইঞ্জের বেশ কয়েকটি ডিভাইস রয়েছে যার মাঝে Walton Primo D1, Walton Primo C1 ডিভাইসগুলো অন্যতম যেগুলো আমরা টেস্ট করে দেখেছি।
সবগুলো ডিভাইসের দাম কম হলেও আপনি যে অন্তত এর দামের সমপরিমাণ কোয়ালিটি পাবেন সেটি অনেকটা নিশ্চিত। তাই আপনার বাজেট কম হলে আপনি দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর এন্ট্রি লেভেল এর ফোনগুলো চাইলে কিনতে পারেন।
রিভিউটি পড়ে ডিভাইসটি আপনার কেমন লাগলো সে ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই জানাবেন। এছাড়া আপনি যদি ডিভাইসটি ব্যবহার করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার অভিজ্ঞতাও আমাদের জানান। এর বাইরে ডিভাইসটি সম্পর্কে যেকোন জিজ্ঞাসা বা পরামর্শ থাকলে কোনরকম সংকোচ ছাড়াই তা আমাদের বলতে পারেন। আর হাই এন্ড ডিভাইসের পাশাপাশি এমন সব এন্ট্রি লেভেল এর ডিভাইসের হ্যান্ডস-অন রিভিউ পেতে অ্যান্ড্রয়েড কথন এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ -এ চোখ রাখুন।