[এক্সক্লুসিভ] হ্যান্ডস-অন রিভিউঃ Walton Primo R2

দেশের বাজারে ধারাবাহিকভাবে Primo সিরিজের ডিভাইসগুলো এনে এরই মাঝে বেশ আলোচিত হচ্ছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়াল্টন। কিছুদিন আগেই তারা ঘোষণা করে তাদের নতুন ফ্যাবলেট Walton Primo NX, বর্তমানে ওয়াল্টন যেটির প্রি-অর্ডার নিচ্ছে। আর আজকেই তারা উন্মোচন করলো তাদের নতুন ফোন Walton Primo R2। সেটিরই এক্সক্লুসিভ হ্যান্ডস-অন রিভিউ থাকছে আজ অ্যান্ড্রয়েড কথনে। চলুন এবার এক নজরে দেখে নেয়া যাক কী আছে এই ডিভাইসে।

Walton Primo R2

Walton Primo R2 ডিভাইসটি আজ সবার জন্য উন্মুক্ত করা না হলেও ওয়াল্টনের পক্ষ থেকে কেবল অ্যান্ড্রয়েড কথন টিমকেই রিভিউ করতে দেয়া হয়। এজন্য Android Kothon -এর পক্ষ থেকে Walton কে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

এক নজরে Walton Primo R2

  • প্রসেসরঃ ১.২ গিগাহার্জ কোয়াড কোর কর্টেক্স এ৭ বেজড প্রসেসর।
  • র‌্যামঃ ১ গিগাবাইট , ৯৭৬ মেগাবাইট ব্যবহারযোগ্য।
  • জিপিইউঃ পাওয়ারভিআর এসজিএক্স ৫৪৪ (PowerVR SGX544)।
  • ডিসপ্লেঃ ৪.৭ ইঞ্চি প্রসস্ত গোরিলা গ্লাসের IPS ডিসপ্লে ( ১২৮০x৭২০ রেজলুশন), মাল্টি টাচ সাপোর্ট।
  • ক্যামেরাঃ BSI সেন্সরযুক্ত ১৩ মেগাপিক্সেল অটোফোকাস ব্যাক ক্যামেরা, ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা, এইচডি ভিডিও রেকর্ডিং অ্যান্ড প্লেব্যাক (1080P)।
  • স্টোরেজ ক্যাপাসিটিঃ অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটলের জন্য ১ গিগাবাইট এবং অন্যান্য ডাটা স্টোরেজের জন্য ২.৭০ গিগাবাইট। সাথে থাকছে মাইক্রো-এসডি কার্ডের মাধ্যমে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ বাড়ানোর সুবিধা।
  • ওএসঃ অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.১ জেলি বিন।

Hardware Info এর চোখে Walton Primo R2

এটি ছিল ডিভাইসটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ, এবার বিস্তারিত দেখে নেয়া যাক।

বিল্ড কোয়ালিটি ও ডিজাইন

Walton Primo R2 ডিভাইসটির বিল্ড কোয়ালিটি আমাদের কাছে যথেষ্ট ভাল মনে হয়েছে। এখন পর্যন্ত আনা ওয়াল্টন এর প্রায় সবগুলো ডিভাইসের মাঝে Walton Primo NX এর পাশাপাশি Walton Primo R2 এর বিল্ড কোয়ালিটিও আমাদের কাছে সেরা মনে হয়েছে। এর পেছনে রাবারের প্রলেপ দেয়ায় স্ক্র্যাচ পড়ার সম্ভাবনা খুব কম। তাছাড়া গোরিলা গ্লাস ব্যবহার করায় এর সামনের দিকটাও দেখতে বেশ আকর্ষণীয়।

ডিভাইসটির দৈর্ঘ্য ১৩৮ মিলিমিটার ও প্রস্থ ৭১ মিলিমিটার এবং পুরুত্ব মাত্র ১০.১ মিলিমিটার। অর্থাৎ এর ব্ল্যাক লেভেল গোরিলা গ্লাস সমৃদ্ধ আইপিএস ডিসপ্লের পাশাপাশি স্লিম ডিজাইন ও ওজনে হালকা হওয়ায় ডিভাইসটি যে কারোরই নজর কাড়তে সক্ষম।

সিপিইউ ও জিপিইউ

ওয়াল্টনের সাম্প্রতিক ডিভাইসগুলোর মত Walton Primo R2 তেও থাকছে মিডিয়াটেক এর কর্টেক্স এ৭ ভিত্তিক MTK6589 ১.২ গিগাহার্জ কোয়াড কোর প্রসেসর।

Anututu এর পাতায় Walton Primo R2

এছাড়া এতে আরও থাকছে পাওয়ারভিআর এসজিএক্স ৫৪৪ (PowerVR SGX544) জিপিইউ যার সাহায্য খুব সহজেই গেমিং ও হাই পারফরম্যান্সের প্রয়োজনীয় কাজ করা সম্ভব।

র‍্যাম ও রম

Walton Primo R2 ডিভাইসটিতে রয়েছে ১ গিগাবাইট ডিডিআর ৩ র‍্যাম। এছাড়া এতে রয়েছে ৪ গিগাবাইট এর রম যার মাঝে ১ গিগাবাইট আপনি অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল এর কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। বাকি ৩ গিগাবাইটের ২.৭ গিগাবাইট থাকবে ফোনটির মূল এসডি কার্ড হিসেবে।

তবে আপনি যদি কোন এক্সটার্নাল এসডি কার্ড লাগিয়ে ব্যবহার করেন তবে আপনার এক্সটার্নাল এসডি কার্ডটিই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল এসডি কার্ডে পরিবর্তিত হয়ে যাবে।

ডিসপ্লে ও টাচ রেসপন্স

Walton Primo R2 ফোনটির সবচেয়ে বড় আকর্ষন হলো এর ডিসপ্লে। কারণ এতে থাকছে ২য় জেনারেশনের গোরিলা গ্লাস সমৃদ্ধ ৪.৭ ইঞ্চি প্রসস্ত আইপিএস ডিসপ্লে যার রেজলুশন ১২৮০x৭২০। এছাড়া আইপিএস ডিসপ্লেটি পিওর ব্ল্যাক লেভেল এর হবার কারণে এটিকে দেখতে অনেকটা নেক্সাস ৪ এর মত মনে হয়।

২য় জেনারেশনের গোরিলা গ্লাস সমৃদ্ধ Walton Primo R2 ডিভাইসটি দেখতে অনেকটাই Nexus 4 এর মত

এছাড়া ডিসপ্লেটির টাচ রেসপন্সও আমাদের কাছে যথেষ্ট ভাল মনে হয়েছে। রেসপন্সের দিক থেকে আমরা কোনরকম ল্যাগ পাইনি। আইপিএস ডিসপ্লের মাঝে রেটিং করলে ডিভাইসটিকে ৫ এ ৫ ই দেয়া যায়।

ক্যামেরা

ডিভাইসটির অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে এর ক্যামেরা। ওয়াল্টনের অন্যান্য ডিভাইসগুলোর চেয়ে Walton Primo R2 এর ক্যামেরা আমাদের কাছে তুলনামূলকভাবে কিছুটা উন্নতমানের মনে হয়েছে।

তবে সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো ওয়াল্টন তাদের Walton Primo R2 ডিভাইসটিতে ৮ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে দেখা গেছে এতে ১৩ মেগাপিক্সেল এর অটো ফোকাস ক্যামেরাই রয়েছে। কিছু কিছু ডিভাইসে ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা থাকা সত্বেও ভার্চুয়ালি ১৩ মেগাপিক্সেল করা যায়, তবে আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি যে এই ডিভাইসটিতে প্রকৃতপক্ষেই ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা রয়েছে।

এছাড়া Walton Primo NX এর মত Walton Primo R2 এর ক্যামেরাটিও CMOS সেন্সর ও ব্লু গ্লাস সমৃদ্ধ যার সাহায্যে আরও স্পষ্ট ছবি ও ভিডিও ধারণ করা সম্ভব। নিচে ডিভাইসটি দিয়ে তোলা একটি ছবি দেয়া হলোঃ

এছাড়া ভিডিও কলিং এর জন্য এতে ৫ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরাও দেয়া হয়েছে যেটির কোয়ালিটিও আমাদের কাছে বেশ ভাল মনে হয়েছে, যদিও ওয়াল্টন তাদের স্পেসিফিকেশনের পাতায় ৩ মেগাপিক্সেল উল্লেখ করেছে।

এর বাইরে ডিভাইসটিতে জায়রোস্কোপ সেন্সর না থাকায় অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ জেলি বিন এর অন্যতম আকর্ষণ ফটোস্ফিয়ার ক্যামেরা ব্যবহার করা যাবেনা। তবে ডিভাইসটির মাধ্যমে অনায়াসেই 1080p এর ভিডিও ধারণ করার পাশাপাশি দেখতেও পারবেন।

ইউজার ইন্টারফেস

বরাবরের মত Walton Primo R2 ডিভাইসটির ইউজার ইন্টারফেসেও ওয়াল্টন চোখে পড়ার মত কোন পরিবর্তন আনেনি। অর্থাৎ বলতে গেলে তারা সরাসরি স্টক অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ জেলি বিন-ই ব্যবহার করেছে।

এছাড়া এর সাথে দেয়া ডিফল্ট লঞ্চারটিও বেশ রেসপন্সিভ, তাই কোন পরিবর্তন না করে আপনি চাইলে ডিফল্ট লঞ্চারটিই ব্যবহার করতে পারেন।

বেঞ্চমার্ক

একটি ডিভাইসের সার্বিক পারফরম্যান্স সম্পর্কে একটি মোটামুটি ধারণা পাওয়ার জন্যই মূলত বেঞ্চমার্ক অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই Walton Primo R2 এর সার্বিক পারফরম্যান্স সম্পর্কে ধারণা পেতেই ডিভাইসটি আমরা বেঞ্চমার্ক করে দেখেছি।

এক্ষেত্রে পূর্বে আমরা বেশ কয়েকটি বেঞ্চমার্ক অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করলেও সবার চাহিদা মূলত Antutu Benchmark এই থাকে। তাই এখানে Antutu Benchmark এর ফলাফলটিই দিচ্ছি।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে Walton Primo R2 এর Antutu Benchmark স্কোর ১২৯২৮ যা প্রায় ১৩ হাজারের কাছাকাছি। অর্থাৎ এর বেঞ্চমার্ক স্কোরই প্রমাণ করে ডিভাইসটি গেমিং ও উচ্চ পারফরম্যান্সের কাজের জন্য কতটা উপযোগী।

গেমিং

একটি ডিভাইস ঠিক কতটুকু পারফরম্যান্স দিতে পারে তার অনেকটাই এর গেমিং পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ধারণা পাওয়া যায়। স্মার্টফোন ইউজারদের একটা বড় অংশ মূলত গেম খেলার জন্য স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন। এক্ষেত্রে তাদের মোটেই হতাশ হতে হবেনা কারণ গেম খেলার জন্য Walton Primo R2 একটি আদর্শ ডিভাইসই হতে পারে।

এর হার্ডওয়্যার এর দিকে খেয়াল করলে আমরা পাই কোয়াড কোর সিপিইউ, ১ গিগাবাইট র‌্যাম এবং Power VR SGX 544MP জিপিইউ। এর জিপিইউটিকে বর্তমানে অন্যতম সেরা জিপিইউ-ই বলা যায়। শক্তিশালী হার্ডওয়্যার এর কারনে যেকোনো ধরনের হাই ডেফিনিশন গেম এতে অনায়াসে খেলা যাবে। আমরা ডিভাইসটিতে বেশ কিছু গেম চালিয়ে দেখেছি, ফুল গ্রাফিক্স ডিটেইলস-এ গেমগুলো কোন প্রকার ল্যাগ ছাড়াই চলেছে।

যেসব এইচডি গেম আমরা চালিয়ে দেখেছি তার মাঝে উল্লেখযোগ্য গেমগুলো হল: Into The Dead, NFS Most Wanted, Dead Trigger, GTA Vice City, Modern Combat 4, Gangstar Vegas ইত্যাদি।

এসব গেমের মাঝে Gangstar Vegas বাদে প্রায় সবগুলো গেমই সর্বোচ্চ গ্রাফিক্সে খেলা সম্ভব হয়েছে। তবে Gangstar Vegas গেমটিও নরমাল গ্রাফিক্সে কোন প্রকার ল্যাগ ছাড়াই খেলা যায়। এছাড়াও সাধারণ জনপ্রিয় গেমগুলো যেমন Temple Run 2, Fruit Ninza, Angry Birds ইত্যাদি ফোনটিতে অনায়াসেই খেলা গেছে।

ব্যাটারি ব্যাকআপ

যেকোন স্মার্ট ডিভাইসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এর ব্যাটারি ও ব্যাকআপ। কোন ডিভাইস কিনবেন কী না তা অনেকটাই নির্ভর করে এর ব্যাকআপ এর উপর। সেক্ষেত্রে Walton Primo R2 এর ব্যাকাআপ আমাদের কাছে বেশ ভালই মনে হয়েছে। কারণ এতে দেয়া হয়েছে ২০০০ mAh ব্যাটারি, সাধারণ কাজের জন্য ব্যবহার করলে যার মাধ্যমে প্রায় ২ দিন পর্যন্ত ব্যাকআপ পাওয়া সম্ভব।

তবে আপনি যদি টানা ডিসপ্লে জ্বালিয়ে রেখে ব্যবহার করেন কিংবা ওয়াইফাই বা থ্রিজি চালু রাখেন সেক্ষেত্রে ডিভাইসটি থেকে থেকে ১ দিনের বেশি ব্যাকআপ পাবেন না।

কানেক্টিভিটি, সেন্সর ও অন্যান্য

ডুয়াল সিম সুবিধা সমৃদ্ধ Walton Primo R2 -তে রয়েছে ব্লুটুথ, ওয়াইফাই ও জিপিএস সুবিধা। এছাড়া এতে ওয়াইফাই ডিরেক্ট সুবিধাও রয়েছে। অর্থাৎ আপনি সহজেই ওয়াই ফাই এর মাধ্যমে ওয়াইফাই ডিরেক্ট সুবিধা সম্পন্ন অন্যান্য ডিভাইসের সাথে সংযোগ স্থাপন করে ডাটা আদান প্রদান করতে পারবেন। এর বাইরে হটস্পট সুবিধা তো থাকছেই। এছাড়া এতে ৩জি প্রযুক্তিও রয়েছে যার মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের পাশাপাশি ৩জি ভিডিও কলও করতে পারবেন।

সেন্সরসমূহের মাঝে এতে অ্যাক্সেলেরোমিটার সেন্সর, লাইট সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর, সাউন্ড সেন্সর ইত্যাদি রয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় হলো ওয়াল্টনের অন্যান্য ডিভাইসের মত এতেও জায়রোস্কোপ সেন্সর নেই। তবে যাদের একান্তই জায়রোস্কোপ প্রয়োজন তারা Waton Primo NX ব্যবহার করতে পারেন কারন NX -এ সবরকম সেন্সরই রয়েছে।

এছাড়া Walton Primo R2 তে ফ্ল্যাশ সাপোর্টও রয়েছে। তাই ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও স্ট্রিমিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হবেনা। এর বাইরে ডিভাইসটিতে রেকর্ডিং সুবিধাসহ এফএম রেডিও, মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট ও ৩.৫ মিলিমিটার অডিও জ্যাক পোর্ট তো আছেই।

সিদ্ধান্ত

ফোন কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এর দাম। রিভিউটি করার দিন ওয়াল্টন তাদের এই ফোনটি সম্পর্কে কেবল বিস্তারিত জানালেও এর দাম তখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারণ করেনি। তবে অ্যান্ড্রয়েড কথন টিমকে ওয়াল্টন এর পক্ষ থেকে আনুমানিকভাবে ধারণা দেয়া হয়েছিল যে এর দাম ১৭-১৮ হাজার টাকার মাঝেই হবে।

কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে আজ ২৮শে জুলাই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এর দাম রাখে মাত্র ১৬,১৯০ টাকা। ওয়াল্টনের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয় যে ডিভাইসটি আগামী মাসের ১ তারিখ থেকেই বাজারে পাওয়া যাবে।

আপনার কী মনে হয় Walton Primo R2 এর মাধ্যমে দেশের বাজারে ওয়াল্টন আরও প্রভাব বিস্তার করতে পারবে? ডিভাইসটি সম্পর্কে অ্যান্ড্রয়েড কথন টিমকে অবশ্যই আপনাদের মতামত জানাবেন। আর এমন সব লেটেস্ট ডিভাইসের পাশাপাশি অ্যাপ্লিকেশন ও গেমস এর এক্সক্লুসিভ রিভিউ পেতে চোখ রাখুন অ্যান্ড্রয়েড কথন এর ফেসবুক পাতায়