অ্যান্ড্রয়েড গেমিং কনসোল, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ ইত্যাদি অনেককিছু নিয়ে কাজ করছে গুগল

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, Ouya এবং আরও বেশ কয়েকটি অ্যান্ড্রয়েড-চালিত গেমিং কনসোলের জনপ্রিয়তার পর গুগল এখন নিজেরাই গেমিং কনসোল তৈরিতে কাজ করছে। এছাড়াও অ্যান্ড্রয়েড-চালিত স্মার্টওয়াচ এবং নেক্সাস কিউ-এর একটি রিপ্লেসমেন্ট ডিভাইস নিয়েও এই কোম্পানিটি কাজ করছে বলে জানিয়েছে প্রতিবেদনটি।

জার্নালের মতে, গুগল এগুলোর অন্তত একটি এ বছরের মধ্যেই বাজারে আনতে চায় এবং এর ডিজাইন এবং মার্কেটিং নিজেরাই করতে আগ্রহী। সাম্প্রতিক সময়ে অ্যান্ড্রয়েড-চালিত গেমিং কনসোলের জনপ্রিয়তা দেখা গেলেও জার্নাল জানিয়েছে, অ্যাপল ভবিষ্যতে তাদের অ্যাপল টিভির সঙ্গে গেমিং জুড়ে দিতে পারে এমন ধারণার ভিত্তিতেই এক ধাপ এগিয়ে থাকতে গুগল অ্যান্ড্রয়েড গেমিং কনসোলের কাজ শুরু করেছে।

অ্যান্ড্রয়েড-চালিত ল্যাপটপগুলো বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ই বাজারে আসবে।গুগল ইতোমধ্যেই আগামী প্রজন্মের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ নিয়ে কাজ করছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, লো-এন্ডের ডিভাইসের উপযোগী করেই নতুন এই মেজর অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ — অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ কি লাইম পাই — ডিজাইন করা হচ্ছে। এছাড়াও ফায়ারফক্স ওএস-চালিত ফোনের মতো কমদামী স্মার্টফোনও গুগল নিজেরা তৈরি করবে বলে জানা গেছে যদিও তাদের নিজস্ব কোম্পানি মটোরোলা মোবিলিটির তৈরি এক্স ফোন বেশ হাই-এন্ড স্মার্টফোন হতে যাচ্ছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল লিখেছে, গুগলের প্রধান লক্ষ্য হলো মানুষের কাছে অ্যান্ড্রয়েডকে আরও বেশি করে পৌঁছে দেয়া যে লক্ষ্যে কোম্পানিটি অন্যান্য পার্টনারদের সঙ্গেও কাজ করে চলেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এইচপির কথা। জনপ্রিয় এই কোম্পানিটি অ্যান্ড্রয়েডের কি লাইম পাই-চালিত একটি ল্যাপটপ তৈরি করছে বলে জানা গেছে যার অভ্যন্তরীণ নাম রাখা হয়েছে K series. জার্নালের নিজস্ব সূত্রমতে, এটি বাজারে “কি লাইম পাই” নামেই বিক্রি হতে পারে।

মজার বিষয় হচ্ছে, এইচপি কেবল গুগলের কয়েকটি হার্ডওয়্যার পার্টনারের একটি মাত্র। আর জার্নাল তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, অ্যান্ড্রয়েড-চালিত ল্যাপটপগুলো বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ই বাজারে আসবে।

ল্যাপটপের পাশাপাশি বহনযোগ্য ডিভাইসেও অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে আসতে কাজ করছে গুগল। ইতোমধ্যেই গুগল গ্লাসে অ্যান্ড্রয়েড চলছে বলে জানিয়েছে গুগল। মানুষের আরও কাছে আনতে স্মার্টওয়াচও তৈরিতে কাজ করছে গুগল বলে সূত্র জানিয়েছে। এতসব ডিভাইসের অ্যান্ড্রয়েড এক্সপেরিয়েন্স আসলেই কেমন হবে তা অনেকাংশে নির্ভর করে অ্যান্ড্রয়েডের আগামী মেজর সংস্করণ কি লাইম পাই-এর উপর। তাই অ্যান্ড্রয়েডপ্রেমীরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কখন অবমুক্ত হবে অ্যান্ড্রয়েড কি লাইম পাই।

গুগলের অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে এই বিশাল পরিকল্পনা সম্পর্কে আপনার কী মতামত?