সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের প্রযুক্তি বাজারে ট্যাব এর চাহিদা দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। এ কারনেই ট্যাব প্রস্তুতকারক ও ব্যবসায়ীরা ধারাবাহিকভাবে একের পর এক ট্যাব নিয়ে আসছে, যার প্রায় সবই অ্যান্ড্রয়েড-চালিত। গত ৩ তারিখেই প্রকাশ করেছিলাম Gadget Gang 7 এর নিজস্ব ব্র্যান্ডের ট্যাব Gadget Gang 7 Neo 3G এর হ্যান্ডস-অন রিভিউ। আজ পোস্ট করছি আরেকটি চমৎকার ট্যাব Onda V812 নিয়ে যা গোটা চাইনিজ ট্যাব জগতে একটি ভালো অবস্থান করে নিয়েছে। এবার কথা না বাড়িয়ে দেখে নেয়া যাক কী আছে এই ট্যাবে।
ONDA V812 Quad Core
ওনডার এই ট্যাবটি অন্য সবগুলো ট্যাব থেকে আলাদা এর বিল্ড কোয়ালিটির কারণে। অসাধারণ বডি, ডিজাইন, ফিচার ও পারফরম্যান্সের কারণে এই ট্যাবটি এখন বিশ্বের চাইনিজ ট্যাব জগতে শীর্ষ ট্যাবগুলোর তালিকায় চলে এসেছে। ওনডা তাদের এই ট্যাবটিকে আইপ্যাড মিনির প্রতিযোগী হিসেবে এর সাথে তুলনা করছে। এমনকি তাদের দাবী এই ট্যাবে তারা আইপ্যাড মিনিরই ক্যামেরা ব্যবহার করেছে। এছাড়া পারফরম্যান্সের দিক দিয়েও ট্যাবটি নজর কাড়তে সক্ষম।
আমাদের অ্যান্ড্রয়েড কথন টিমের হাতে আসা চাইনিজ ট্যাবগুলোর মাঝে Ramos W17 Pro কেই আমরা পারফরম্যান্স এর ভিত্তিতে এতদিন শীর্ষ স্থানে রেখেছিলাম। কিন্তু এই ট্যাবটি আমাদের হাতে আসার পর আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি ওনডার কাছে রামোস তার রাজত্ব হারাতে চলেছে।
ডিজাইন
ডিভাইসটি হাতে নেয়ার পূর্বেই এটি যেকোন মানুষের নজর কাড়তে সক্ষম শুধুমাত্র এর অসাধারণ বিল্ড কোয়ালিটির ডিজাইনের কারণে।
ট্যাবটি পুরোটাই অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। তাই হাত থেকে পড়লেও ডিভাইসের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা কম। ফুল অ্যালুমিনিয়াম বডির কারনে ট্যাবটি একটু ভারি হলেও এটি বেশ টেকসই।
এছাড়া ট্যাবটির পুরুত্বও বেশ কম। স্লিম, টেকশই ও স্টাইলিশ ডিজাইনের জন্য ট্যাবটিকে ৫ এর মাঝে ৫ ই দেয়া যায়।
সিপিইউ ও জিপিইউ
Onda V812 ট্যাবটিতে রয়েছে অলউইনার এ৩১ ভিত্তিক করটেক্স এ৭ এর ১ গিগাহার্জ কোয়াড কোর প্রসেসর। প্রসেসর মূলত ১ গিগাহার্জ হলেও তা ডাউনক্লক করা এবং ওভারক্লক করে একে ১.৫ গিগাহার্জে নেয়া যায়।
তবে প্রসেসর এর চেয়ের এর সবচেয়ে বড় চমক হলো এর জিপিইউ। কারণ এতে দেয়া হয়েছে পাওয়ারভিআর এসজিএক্স৫৪৪ এমপি২ অক্টা কোর জিপিইউ!
হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন। চার কোরের প্রসেসর এর প্রতিটির জন্য ডুয়াল কোর করে জিপিইউ অর্থাৎ এতে রয়েছে ৪*২ মানে ৮ কোর বা অক্টা কোরের শক্তিশালী জিপিইউ। যা হাই গ্রাফিক্সের গেমরারদের কাছে ট্যাবটিকে মাস্টারপিস করে তুলবে।
চাইনিজ ট্যাবের ক্ষেত্রে এর প্রসেসর ও জিপিইউ রেটিং করলে একে ৫ এ ৪.৫ দেয়া যায়। তবে করটেক্স এ৯ প্রসেসর দিলে একে ৫ এ ৫ ই দিতাম।
ডিসপ্লে
Onda V812 ট্যাবটিতে রয়েছে ৪:৩ রেশিওর ৮” আকারের পিওর আইপিএস ডিসপ্লে যার রেজুলেশন ১০২৪*৭৬৮ পিক্সেল। রেজুলেশন ১০২৪*৭২০ হলেও এতে রয়েছে বিল্ট ইন 4k মুভি প্লেয়ার যার সাহায্যে এই ডিভাইসে আপনি ৪০৯৬*২৩০৪ রেজুলেশনের ভিডিও প্লে করতে পারবেন! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন; ফুল এইচডি থেকেও চারগুণ বড় ভিডিও প্লে করা সম্ভব এই ট্যাবে।
এতে 4K এইচডিএমআই পোর্টও রয়েছে ফলে সর্বোচ্চ ৪০৯৬*২৩০৪ রেজুলেশনের ছবি বা ভিডিও আপনি যেকোন বড় স্ক্রিনেও এইচডিএমআই ক্যাবলের সাহায্যে দেখতে পারবেন কোন ল্যাগ ছাড়াই। তাছাড়া এই প্লেয়ারের সাহায্যে আপনি Cool Mode বাছাই করে একই সাথে একাধিক ভিডিও প্লে করে স্ক্রিনে রেখে একসাথে দেখতে পারবেন যা ট্যাবটিকে অনন্য করে তুলেছে।
তাছাড়া এর ডিসপ্লে ব্রাইটনেসও খুব ভালো। রোদের মাঝেও ডিসপ্লেতে সবকিছুই দেখা যায়। আর এর ভিউইং অ্যাংগেলও ১৮০ ডিগ্রি, অর্থাৎ যেকোন দিক থেকেই ট্যাবটির ডিসপ্লেতে সব পরিস্কারভাবে দেখা যায়। অপরদিকে টাচ রেসপন্সও অসাধারণ। ডিসপ্লে রেটিং এর দিক দিয়ে একে ৫ এ ৪ দেয়া যায়।
র্যাম ও স্টোরেজ
ওনডার এই ট্যাবটিতে দেয়া হয়েছে ২ গিগাবাইটের শক্তিশালী ডিডিআর৩ র্যাম যার মাঝে ১.৫ গিগাবাইট ব্যবহার করতে পারবেন। ফলে আপনি এই ট্যাবে একসাথে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন চালাতে পারবেন কোনরকম ল্যাগ ছাড়াই।
আর ট্যাবটির ইন্টারনাল স্টোরেজ ১৬ গিগাবাইট হলেও অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটলের জন্য দেয়া হয়েছে ১ গিগাবাইট এবং বাকি ১৫ গিগাবাইট দেয়া হয়েছে এসডি কার্ড হিসেবে। তাছাড়া মাইক্রো এসডি কার্ড স্লটও রয়েছে যার সাহায্যে আপনি ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
ক্যামেরা
এবার ক্যামেরায় আসা যাক। ওনডার এই ট্যাবটিতে রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেলের অটো ফোকাস সহ দারুন একটি ব্যাক ক্যামেরা এবং ভিডিও কলের জন্য সামনেও রয়েছে ০.৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
ট্যাব হিসেবে এর ক্যামেরার কোয়ালিটি বেশ ভালো। একে মোবাইলের ৫ মেগাপিক্সেলের সাথেই তুলনা করা যায়। ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার রেটিং করলে একে নিঃসন্দেহে ৪ দেয়া যায়। নিচে এর ক্যামেরা দিয়ে তোলা একটা ছবিও দেয়া হলো:
ইউজার ইন্টারফেস
ট্যাবটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এর নিজস্ব ইউজার ইন্টারফেস। অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলিবিনের সব ভার্সনের মতই এতে রয়েছে ফ্যাবলেট ইউজার ইন্টারফেস।
তবে ওনডা এতে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনে এর ইউজার ইন্টারফেসটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। যেমন এর নিচে নেভিগেশন বারে তারা স্ক্রিনশটের জন্য বিল্ট ইন অ্যাপ এর বাটন রেখে দিয়েছে, ফলে স্ক্রিনশট নিতে আর আলাদাভাবে কোন অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটলের ঝামেলায় যেতে হবে না বা ভলিউম ও পাওয়ার বাটনও টেপাটেপি করতে হবে না। যখন খুশি তখন নেভিগেশন বারের স্ক্রিনশট আইকন থেকেই স্ক্রিনশট নিতে পারবেন।
স্ক্রিনশট বাটন ছাড়াও ওনডা এর নেভিগেশন বারে ভলিউম আপ-ডাউনের বাটনও যুক্ত করে দিয়েছে যা ওনডার অন্যান্য ট্যাবেও লক্ষ্য করা যায়। বেশিরভাগ ট্যাবেই ভলিউম আপ-ডাউনসহ অন্যান্য হার্ডওয়্যার-কি গুলোতে সমস্যা দেখা দেয়ার কারণেই ওনডা তাদের ট্যাবগুলোতে হার্ডওয়্যার-কি বাদ দিয়ে নেভিগেশন বারেই ভলিউম আপ-ডাউনের বাটন দিয়ে দিচ্ছে ফলে বাটন নষ্ট হবার কোন সুযোগ নেই।
এছাড়াও ওনডা তাদের এই ট্যাবটিতে বেশ কিছু নিজস্ব উইজেট যুক্ত করেছে যেগুলোর বেশিরভাগই ব্যবহারকারীদের ভালো লাগবে বলে আশা করি। সাধারণের মাঝে কার্যকরী ইন্টারফেসের কারণেও ট্যাবটি আমাদের কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
বেঞ্চমার্ক
এবার আসা যাক বেঞ্চমার্কের দিকে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস কেনার পরপরই পরীক্ষার জন্য সবাই মূলত Antutu Benchmark ই প্রথমে ইন্সটল করে থাকে। তাই আমিও প্রথমে Antutu Benchmark স্কোরেরই স্ক্রিনশট দিলাম।
স্ক্রিনশটেই দেখতে পারছেন এর বেঞ্চমার্ক স্কোর প্রায় ১৩ হাজারের কাছাকাছি যা স্টক রম থেকেই নেয়া হয়েছে। এর জন্য রিলিজ হওয়া কাস্টম রমগুলো ব্যবহার করে এবং ওভারক্লক করে এর স্কোন ১৪ হাজারের মতো উঠানোও সম্ভব। আর বেঞ্চমার্ক দেখেই বুঝতে পারছেন এটা কতটা শক্তিশালী একটি ট্যাব।
Antutu Benchmark ছাড়াও আমরা এতে Quadrant Benchmark ও রান করে দেখেছি। সেখানে ট্যাবটির স্কোর এসেছে ৩১৬৮ এবং তালিকায় ট্যাবটিকে Asus Transformer Prime এর পরেই দেখা যাচ্ছে।
এছাড়া Nenamark 2-তেও এর এফপিএস এসেছে ৬০ এরও বেশি যা আমাদের হাতে থাকা ট্যাবগুলো মধ্যে সর্বোচ্চ। আরো অবাক করা ব্যাপার হলো বেশিরভাগ ট্যাবেই এইচডিএমআই ক্যাবল দিয়ে বড় স্ক্রিনে নেয়ার পর এফপিএস কমে ২০ এর ঘরে চলে আসে। কিন্তু এই ট্যাবটিকে এইচডিএমআই দিয়ে বড় স্ক্রিনে কানেক্ট করার পরও এফপিএস ৬০-ই থাকে যা আমাদের আসলেই অবাক করেছে।
গেমিং
এখনকার তরুণ প্রজন্ম ট্যাবলেট-এ যেসব কাজ করে থাকে তার মাঝে গেমিং অন্যতম। আর এই ট্যাবটি এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে আসা ট্যাবগুলোর মাঝে সবচেয়ে বেশি গেমিং উপযোগী। ২ গিগাবাইট র্যাম এবং অক্টা কোর জিপিইউ থাকার কারনে এটিকে গেমারদের জন্য একটি পারফেক্ট ট্যাব বলা যায়।
গেমিং টেস্টের জন্য বরাবরের মত এবারও আমরা ট্যাবটিতে গ্র্যান্ড থেফট অটো: ভাইস সিটি, ডেড ট্রিগার এবং মর্ডান কমব্যাটের মত হাই গ্রাফিক্সের গেম ফুল গ্রাফিক্সে টেস্ট করে দেখেছি। কারন এসব গেম খেলার জন্য ডিভাইসগুলোর র্যম, সিপিইউ ও জিপিইউকে প্রচুর পরিমাণ কাজ করতে হয় যা ট্যাবের মূল পারফরম্যান্সকে বের করে আনে।
উপরের স্ক্রিনশটটি মর্ডান কমব্যাট ৪ এর গেমপ্লের সময় নেয়া। কোন রকম ল্যাগ ছাড়াই সর্বোচ্চ এফপিএসেই ডিভাইসটি মর্ডান কমব্যাট ৪ চালাতে পারে। তবে ১ গিগাবাইট র্যাম পূর্ণ হয়ে গেলে ২য় র্যামে সুইচ করার সময় ২-৩ সেকেন্ড এর জন্য সামান্য ল্যাগ হয়। এছাড়া গেমপ্লেতে আমরা আর কোন সমস্যা পাইনি।
এছাড়া জিটিএ: ভাইস সিটি গেমটিও আমরা ফুল গ্রাফিক্সে খেলে দেখেছি, সেই লোডিং টাইমের ল্যাগ ছাড়া আর কোন সমস্যা পাইনি। গেমিং এর সময় এফপিএস এবং টাচ রেসপন্সও অসাধারন।
ব্যটারি ব্যাকআপ
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস কেনার আগে সবাই যে বিষয়গুলো লক্ষ্য করে তার মাঝে ব্যাটারি ব্যাকআপ অন্যতম। ব্যাটারি ব্যাকআপ এর দিক দিয়ে ট্যাবটিকে বেশ ভালই বলা চলে। কারণ এতে রয়েছে ৫০০০ এমএএইচ এর শক্তিশালী ব্যাটারি যা নেট ব্রাউজিং সহ সাধারণ ব্যবহারে ট্যাবটিকে ৮ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে পারে।
অন্যান্য
এছাড়া অন্য সব ট্যাবের মতোই ট্যাবটিতে ওয়াইফাই, ওটিজি সাপোর্ট এবং গেমিং এর জন্য অ্যাক্সেলেরোমিটার ও ভাইব্রেশন মোটর রয়েছে। ওটিজির মাধ্যমে ট্যাবটিতে টুজি ও থ্রিজি মডেম সহ বিভিন্ন মডেম ব্যবহার করা যায়। চাইলে রুট করে পিপিপি উইজেট নামের একটি অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে প্রায় সব ইউএসবি মডেমই চালানো সম্ভব।
সমস্যা
কোন ট্যাবই একদম পারফেক্ট হতে পারেনা। কিছু না কিছু সমস্যা থাকেই। বরাবরের মত এই ট্যাবটিতেও কিছু সমস্যা পেয়েছি তবে সেটা খুবই সামান্য। যেমন ট্যাবটিতে ব্লুটুথ, জিপিএস এবং সিম স্লট নেই। তবে এগুলো তেমন সমস্যা বলা চলে না কারণ শুধু ওয়াইফাই ট্যাবগুলোতে এসব এমনিতেও থাকে না।
ট্যাবটির র্যাম ২ গিগাবাইট হলেও ১ গিগাবাইট পূর্ণ হয়ে গেলে ২য় র্যামে যাবার সময় সব অ্যাপ্লিকেশন ২-৩ সেকেন্ডের জন্য ল্যাগ করে। তবে এত অসাধারণ একটি ট্যাবে এই সামান্য সমস্যাটুকু খুব বেশি প্রভাব ফেলবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ হাই গ্রাফিক্সের কোন গেম বা বেশি র্যাম খরচ করে এমন অ্যাপ্লিকেশন চালানোর সময় অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ রাখলেই ১ গিগাবাইট পূরণ হবার সম্ভাবনা কম, ফলে ল্যাগ করারও সম্ভাবনা থাকেনা।
তাছাড়া ট্যাবটির আরেকটি সমস্যা হলো এর ওজন। ফুল অ্যালুমিনিয়াম বডির কারনে ট্যাবটি বেশ টেকসই হলেও এর ফলে ট্যাবটির ওজন কিছুটা বেশি বলে মনে হয়েছে। তাই একটা বেশিক্ষন হাতে রেখে ব্যবহার করাটা একটু কঠিন।
এছাড়াও এর স্পিকারটিও একপাশে দেয়া হয়েছে। ফলে গেমিং এর সময় হাত লেগে আওয়াজ আটকে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই সমস্যাটার একটি সমাধানও রয়েছে। যেহেতু অটো রোটেশন আছে তাই অন্য দিকে ঘুরিয়ে গেম খেললে আর স্পিকারের উপর হাত লাগার সম্ভাবনা নেই।
সিদ্ধান্ত
ট্যাব কেনার সিদ্ধান্তের সময় প্রথমেই যেটা মাথায় আসে সেটি হলো এর দাম। কিউবি ল্যাপটপ ফেয়ারে ট্যাবটি Gadget Gang 7 ১৯,৭০০ টাকায় প্রিঅর্ডার নিলেও এখন তারা সেটা বিক্রি করছে ২১,৭০০ টাকায়।
সবগুলো হ্যান্ডস-অন রিভিউতেই আমরা চেষ্টা করি ডিভাইসগুলোর প্রায় সবকিছুই তুলে ধরতে। এই ট্যাবটির ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। তারপরও যদি কিছু বাদ পড়ে কিংবা আরও কিছু যদি জানতে চান তাহলে মন্তব্যের ঘরে আমাদের জানাতে পারেন। পুরো রিভিউ দেখার পর ট্যাবটি কিনবেন কি কিনবেন না সেই সিদ্ধান্ত জানাতেও ভুলবেন না।
ডিভাইসটি হ্যান্ডস অন রিভিউ করতে রাহাত রহমান-কে সহযোগিতা করেছেন অ্যান্ড্রয়েড কথনের সিনিয়র টেকনিক্যাল এক্সিকিউটিভ এস এম তাহমিদ।