Project Ophelia: ৩ ইঞ্চি অ্যান্ড্রয়েড ডংগল!

কেমন হবে, যদি আপনি কেবল একটি ইউএসবি ডিভাইসেই পুরো অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে ঘুরতে পারতেন? কেমন হবে যদি আপনি সেই ইউএসবি ডিভাইসটি যে কোনো টিভি বা মনিটরের সঙ্গে সংযুক্ত করে অ্যান্ড্রয়েডের সব সুবিধা উপভোগ করতে পারতেন? কেমন হবে যদি আপনি মাউস ও কিবোর্ড সংযোগ করার মাধ্যমে যে কোনো টিভি বা মনিটরকে একটি পূর্ণ কম্পিউটারে রূপান্তর করতে পারতেন?

কেমন হবে, যদি এর সব পাওয়া যায় মাত্র ১০০ ডলারেরও কমদামের কোনো ইউএসবি ডংগলে?

বার্সেলোনায় চলমান মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে কম্পিউটার পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডেল দেখিয়েছে ঠিক তেমনই এক ইউএসবি ডংগল যা মাত্র ৩ ইঞ্চি ইউএসবি ডংগলে রেখেছে পুরো অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। দেখতে সাধারণ ফ্ল্যাশ ড্রাইভের মতো হলেও এই অ্যান্ড্রয়েড কিন্তু একেবারে ফেলে দেয়ার মতো নয়। সূত্র জানিয়েছে, এতে রয়েছে ১.৬ গিগাহার্জ করটেক্স এ৯ ডুয়েল-কোর প্রসেসর ও অ্যান্ড্রয়েড ৪.১.২ যেটি এলজির একটি ৫৫ ইঞ্চি টিভিতেও সাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা গেছে।

এই অ্যান্ড্রয়েড-চালিত ইউএসবি ডংগলের আইডিয়াটা বেশ সুন্দর। পকেটে করে শক্তিশালি প্রসেসর আর অপারেটিং নিয়ে ঘুরতে পারবেন। যখনই হাতের কাছে কোনো এইচডিএমআই সুবিধা সম্পন্ন টিভি বা মনিটর পাবেন, তখন তার সঙ্গে এটি সংযোগ দিলেই আপনার অ্যান্ড্রয়েড ইন্টারফেস চলে আসবে টিভিতে বা মনিটরের স্ক্রিনে।

এরপর আপনার সুবিধার জন্য প্রয়োজনে ব্লুটুথ কিবোর্ড বা মাউস কানেক্ট করতে পারবেন। বিভিন্ন অফিস অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ডকুমেন্টে লেখালেখির কাজ করতে পারবেন। ডংগলটিতে থাকা বিল্ট-ইন ওয়াই-ফাই-এর মাধ্যমে যে কোনো ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে কানেক্ট করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারবেন। আর গেম খেলার সুবিধাও রয়েছে যদিও এর গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য জানা যায়নি।

প্রজেক্ট ওফেলিয়া নামের এই অ্যান্ড্রয়েড ডংগলে ৮ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ রয়েছে। স্টোরেজ বাড়ানোর জন্য আলাদা মাইক্রো-এসডি কার্ড লাগানোর স্লটও রয়েছে যদিও ডেল নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি আলাদা মেমোরি কার্ডে অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করা যাবে কি না।

বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রজেক্ট ওফেলিয়া হতে পারে দারুণ একটি সংযোজন, মনে করেন ডেলের মার্কেটিং ডিরেক্টর যিনি প্রজেক্ট ওফেলিয়ার দায়িত্বে রয়েছেন।  মাত্র ১০০ ডলারেরও কম মূল্যে শিক্ষার্থীরা পুরো একটি কম্পিউটারই তাদের পকেটে করে নিয়ে ঘুরতে পারবে। এছাড়াও বিনোদনের জন্য মাল্টিমিডিয়া কিংবা গুগল প্লে স্টোরের লক্ষ লক্ষ গেমস ও অ্যাপ্লিকেশন তো রয়েছেই।

শিগগিরই হয়তো কেবল কর্পোরেট কাজে ব্যস্ত মানুষদেরই ভারী ল্যাপটপ বহন করার ঝক্কি পোহাতে হবে।