স্যামসাং-এর সাফল্যে চিন্তিত গুগল!

অ্যান্ড্রয়েডের কথাই ধরুন। যদি সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড ফোন প্রস্তুতকারকের নাম জিজ্ঞেস করেন, উঠে আসবে স্যামসাং-এর নাম। যদি জিজ্ঞেস করা হয় কারা সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড ফোন তৈরি করেছে, উঠে আসবে স্যামসাং-এর নাম। যদি প্রশ্ন ওঠে, কারা অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক ফোন ও ট্যাবলেটের প্রচারণা সবচেয়ে বেশি করেছে, তবুও নাম আসবে স্যামসাং-এর।

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের বর্তমান মালিক গুগলের এসব খবর শুনে খুশিই হওয়ার কথা। কিন্তু আরেকটি বিষয় আছে যেটি গুগলের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তা হলো, পুরো অ্যান্ড্রয়েড বাজারের ৪০%-ই এখন স্যামসাং-এর দখলে। আর এ জন্য গুগলকে তাদের আয়ের পরিমান কমাতে হতে পারে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সম্প্রতি জানিয়েছে, গুগল ও স্যামসাং-এর মধ্যবর্তী বিষয়ে জ্ঞান রাখেন এমন সূত্র থেকে জানা গেছে, মোবাইল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গুগল যে পরিমান আয় করে, তার থেকে আরও বেশি অংশ দাবি করে বসতে পারে স্যামসাং, এমন “ভয়ে” আছে গুগল। এতোদিন স্যামসাং-এর অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে গুগলের যত আয় হতো তার ১০% স্যামসাংকে দিতে হতো। গুগল আশঙ্কা করছে, স্যামসাং শিগগিরই আরও বেশি পরিমান ভাগ চেয়ে বসতে পারে।

মূলত গুগল অনেক আগে থেকেই প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আসছে। অনেকের মতে, মটোরোলা মোবিলিটি কিনে নেয়ার পেছনে অন্যতম কারণই ছিল স্যামসাং যদি অনেক বড় আকৃতি ধারণ করে তাহলে গুগল নিজেরাও যেন প্রতিযোগিতায় নামতে পারে। এ প্রসঙ্গে গুগলের মোবাইল বিভাগের প্রধান অ্যান্ডি রুবিন বলেছেন, মটোরোলা মোবিলিটিকে কিনে নেয়া ছিল এক ধরনের ইন্সুরেন্স পলিসি যেটা স্যামসাং-এর মতো কোম্পানিগুলো বিশালাকার ধারণ করলে কাজে আসবে।

গুগল ইতোমধ্যেই মটোরোলার সঙ্গে মিলে এক্স-ফোন নামের রহস্যময় এক ফোন তৈরিতে কাজ করছে যা অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ কি লাইম পাই-এর সঙ্গে বাজারে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও নেক্সাস ৪ ও নেক্সাস ৫ নিয়েও গুগল স্যামসাং-এর সঙ্গে হার্ডওয়্যার ব্যবসায় টিকে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা শুরু করেছে। আপনার কি ধারণা, গুগল কি ওয়েব জগতের মতোই হার্ডওয়্যার জগতেও রাজত্ব করতে পারবে?