ওয়াল্টন যখন প্রথম মোবাইল ফোন বের করে, তখন অনেক মানুষকেই হাসাহাসি করতে দেখা গেছে। ওয়াল্টন নামটা যেন কেবল টিভি, ফ্রিজ আর মোটরসাইকেলের সঙ্গেই ভালো যায়। মোবাইল ফোন.. ততোটা না। তাই সাধারণ ফিচার ফোন (জাভা) বাজারে আনলেও খুব একটা নাম করতে পারেনি ওয়াল্টন।
অ্যান্ড্রয়েডের জয়জয়াকার শুরু হওয়ার পর ওয়াল্টন নিশ্চয়ই ভেবেছে, এটাই তাদের সুযোগ। কিছু ভালো ডিভাইস বাজারে আনতে পারলে বাজারটা হাত করে ফেলা সম্ভব। স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় আর কমদামে অ্যান্ড্রয়েড ফোন বাজারজাত করা সম্ভব হওয়ায়ই হয়তো ওয়াল্টন অ্যান্ড্রয়েডের দিকে ঝুঁকে।
ওয়াল্টনের প্রথম অ্যান্ড্রয়েড ফোন প্রিমো দিয়ে বাজার মাত করতে না পারলেও যথেষ্ট সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি। যারা তখনও ওয়াল্টনের প্রতি ঝুঁকছিলেন না, তাদের বেশিরভাগেরই কারণ ছিল “ব্র্যান্ড নেম”। ওয়াল্টন ফোন ব্যবহার করবো! এমন কথা শুনতেই কেমন যেন হাস্যকর শোনাতো অনেকের কাছেই।
কিন্তু ওয়াল্টন প্রমাণ করেছে,স্বল্পমূল্যে ভালো পণ্য বাজারে আনতে পারলে ব্র্যান্ড নেম যাই হোক না কেন, ক্রেতা আকৃষ্ট হবেই। আর এ জন্যই আজ ওয়াল্টনের অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোর জনপ্রিয়তা, চাহিদা ও কৌতুহল সবই অনেক বেশি। আর তাই আজ অ্যান্ড্রয়েড কথন টিম প্রকাশ করছে ওয়াল্টনের অন্যতম কম দামী একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ওয়াল্টন প্রিমো এফ ১ এর হ্যান্ডস-অন রিভিউ।
Walton Primo F1
প্রথমেই চলুন জেনে নেয়া যাক ওয়াল্টন প্রিমো এফ ১ এর হার্ডওয়্যার স্পেসিফিকেশন। প্রিমো এফ ১ হচ্ছে একটি ৪ ইঞ্চি স্ক্রিনের ১ গিগাহার্জ অ্যান্ড্রয়েড ফোন যাতে চলছে আইসক্রিম স্যান্ডউইচ সংস্করণ। এতে রয়েছে ৫১২ মেগাবাইট RAM ও ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ। এছাড়াও এর সামনে রয়েছে ৩জি ভিডিও কল সুবিধাসম্পন্ন ভিজিএ ক্যামেরা ও পেছনে ৮ মেগাপিক্সেল অটো-ফোকাস ক্যামেরা।
প্রিমো এফ ১-এ রয়েছে ৩জি ইন্টারনেট সুবিধা। পাশাপাশি জিপিএস, অ্যাক্সেলেরোমিটারসহ স্মার্টফোনে থাকা অন্যান্য সব সেন্সরের বেশিরভাগই দিয়ে দেয়া হয়েছে এই ফোনে। ফলে মাত্র ৯,৯৯০ টাকায় ওয়াল্টন প্রিমো এফ ১ হয়ে উঠেছে সত্যিই আকর্ষণীয় ও দারুণ একটি ডিভাইস।
এবারে চলুন বিস্তারিত জানা যাক ওয়াল্টন প্রিমো এফ ১ সম্পর্কে।
ডিসপ্লে
ওয়াল্টন প্রিমো এফ ১-এ রয়েছে ৪ ইঞ্চি আকারের ডিসপ্লে যার রেজুলেশন 480 X 800 পিক্সেল। ডিসপ্লের পিপিআই (পিক্সেল পার ইঞ্চি) খুব একটা বেশি না হলেও মোটামুটি উজ্জ্বল ও ভালোমানের ডিসপ্লে দেয়া হয়েছে প্রিমো এফ ১-এ যেটায় আপনি টাচ করে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন।
হ্যাঁ, টাচ রেসপন্সিভনেসের দিক দিয়ে সত্যিই দারুণ একটি টাচস্ক্রিন দেয়া হয়েছে ওয়াল্টন প্রিমো এফ ১-এ। কিছু কিছু ডিভাইসের টাচস্ক্রিনে একবারে কাজ করে না বা এক জায়গায় টাচ করলে অন্য জায়গায় টাচ হয়ে যায়। তেমন কোনো সমস্যা প্রিমো এফ ১-এ দেখা যায়নি। প্রথম ব্যাচে ডিসপ্লে ব্রাইটনেস এবং মেমোরি স্টোরেজ সংক্রান্ত কিছু সমস্যা থাকলেও নতুন ফার্মওয়্যারে তা দূর করে দেয়া হয়েছে। ফলে নতুন ক্রেতারা ত্রুটিমুক্ত ফার্মওয়্যার পাবেন এবং ইতোমধ্যেই যারা এফ ১ ব্যবহার করছেন তারা নিজেরা অথবা কাস্টোমার কেয়ার থেকে সর্বশেষ ফার্মওয়্যারটি ইন্সটল করে নিতে পারবেন।
ইউজার ইন্টারফেস
অ্যান্ড্রয়েড আইসক্রিম স্যান্ডউইচের ইউজার ইন্টারফেস প্রায় একই রকম। জীবনে প্রথম যারা অ্যান্ড্রয়েড ধরছেন, তাদেরও খুব একটা সমস্যায় পড়ার কথা না। হোমস্ক্রিন থেকেই আপনি সেটিংসে যেতে পারবেন। অ্যাপ্লিকেশন ড্রয়ার থেকে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালু করতে বা শর্টকাট আইকন তৈরি করতে পারবেন। উইজেট যোগ করতে পারবেন ইত্যাদি।
ইউজার ইন্টারফেসে ওয়াল্টন কিছুটা পরিবর্তন এনেছে যা ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ সুবিধাজনক হতে পারে। যেমন নোটিফিকেশন বার নামিয়ে ওয়াই-ফাই, জিপিএস, ইন্টারনেট ইত্যাদি সেবা অন/অফ করা, ব্রাইটনেস সেটিংসে যাওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও জেনারেল, সাইলেন্ট, ভাইব্রেশন ইত্যাদি প্রোফাইল অ্যাকটিভেট করা কিংবা স্ক্রিন অটো রোটেশন অন/অফ করার সুবিধাও রয়েছে নোটিফিকেশন পুলডাউন মেনুতেই।
সহজ কথায়, ইউজার ইন্টারফেস সব অ্যান্ড্রয়েডের প্রায় একই থাকে বলে ওয়াল্টন প্রিমো এফ ১ নিয়ে আলাদা কিছু বলার নেই। কিছু কিছু কোম্পানি নিজস্ব ইউজার ইন্টারফেস ডেভেলপ করে থাকে (যেমন স্যামসাং টাচউইজ, এইচটিসি সেন্স ইত্যাদি)। কিন্তু ওয়াল্টন প্রিমোতে তেমন কিছুর সম্মুখীন হবেন না আপনি!
কন্টাক্ট
অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মতোই প্রিমো এফ ১-এ দেয়া হয়েছে ডিফল্ট কন্টাক্টস অ্যাপ্লিকেশন। প্রথমবার আপনাকে সিম থেকে নম্বর ইমপোর্ট করে নিতে হতে পারে। তবে সমস্যা বোধ করবেন প্রতিবার কল করার সময়। কেননা, ওয়াল্টন প্রিমো একটি ডুয়েল-সিম স্মার্টফোন। তাই প্রতিবার নম্বর চেপে বা কন্টাক্ট লিস্ট থেকে কল সেটআপের সময় আপনাকে সিম ১ বা সিম ২ থেকে নির্দিষ্ট করে নিতে হবে। অবশ্য এটি ওয়াল্টনের নিজস্ব কোনো সমস্যা নয়। এর আগে সিম্ফনি ডব্লিউ ৫ স্মার্টফোনেও আমরা প্রায় একই ইন্টারফেস দেখেছি। এছাড়াও যে কোনো একটি সিম চালু রাখার ব্যবস্থাও রয়েছে সিম কার্ড ম্যানেজমেন্টে।
মেসেজিং ও কিবোর্ড
স্টক অ্যান্ড্রয়েডের মেসেজিং স্বাদই পাবেন ওয়াল্টন প্রিমো এফ ১-এ। তারপরও আমরা কেন প্রতিটি হ্যান্ডস-অন রিভিউতে মেসেজিং বিষয়টা তুলে আনি? কারণ, একেক ফোনের স্ক্রিনের আকার একেক রকম হয়। সেই অনুযায়ী অন স্ক্রিন কিবোর্ডের আকারও বাড়ে-কমে। আর সেই সঙ্গে যোগ হয় ফোনের টাচ রেসপন্সিভনেস। সবমিলিয়ে একজন ব্যবহারকারী ঐ ফোনের অনস্ক্রিন কিবোর্ডে মেসেজ টাইপ করতে কতোটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে পারেন সেটাই তুলে ধরা আমাদের উদ্দেশ্য।
আর আমাকে মানতেই হবে, অনস্ক্রিন কিবোর্ডে টাইপ করে আমি সন্তুষ্ট। ৪ ইঞ্চি যথেষ্টই বড় আকার ও এর টাচ রেসপন্সও বেশ ভালো হওয়ায় এর অনস্ক্রিন কিবোর্ডে মেসেজিং করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করার কোনো কারণ নেই। তবে প্রথম অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী হলে অনস্ক্রিন কিবোর্ড ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে কিছুটা সময় লাগা স্বাভাবিক।
ইন্টারনেট ও ৩জি
ইন্টারনেট ছাড়া অ্যান্ড্রয়েডের কোনো মজা নেই। হ্যাঁ, কিছু রুক্ষভাবে হলেও আমরা এ কথাই বলবো। আর ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য প্রিমো এফ ১ বেশ ভালো একটি ডিভাইস। আপনার ওয়াই-ফাই বা ২জি নেটওয়ার্কের ইন্টারনেট গতি ভালো থাকলে হাই-স্পিড ইন্টারনেট ব্রাউজিং বা ভিডিও স্ট্রিমিং উপভোগ করতে পারবেন। এর স্টক ব্রাউজার যথেষ্টই ভালো, যদিও আমরা পরামর্শ দিই ডলফিন ব্রাউজার ব্যবহার করার জন্য।
বলা বাহুল্য, স্টক ব্রাউজার হিসেবে ওয়াল্টন প্রিমো এফ ১-এ ইন্সটল করা থাকে ক্রোম ব্রাউজার। ফলে আপনি যদি ডেস্কটপে ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে দু’টো ক্রোম ব্রাউজারে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে লগইন করলে সব ব্রাউজিং হিস্ট্রি, পাসওয়ার্ড, বুকমার্ক ইত্যাদি চলে যাবে আপনার অ্যান্ড্রয়েডে। আর এই ক্রোমে আপনি স্পষ্ট বাংলাও দেখতে পাবেন। রিদ্মিক কিবোর্ড বা মায়াবী কিবোর্ড ইন্সটল করার মাধ্যমে আপনি বাংলা লিখতেও পারবেন।
ওয়াল্টন প্রিমো এফ ১-এ ৩জি ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে তা ইতোমধ্যেই সবাই জানেন। সম্ভবত এটিই ফোনটির চাহিদা বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে। প্রিমো এফ ১-এর সিম স্লট দু’টি থাকলেও কেবল একটি সিম ৩জি সাপোর্ট করে। “ডব্লিউসিডিএমএ ২১০০ মেগাহার্জ” ক্যাপাসিটির এই ৩জি সিমের স্লট কোনটি তা প্রিমোর পেছনেই ইনস্ক্রিপ্ট করে দেয়া রয়েছে। তাই ভুলে হওয়ার কোনো কারণ নেই।
মিউজিক ও ভিডিও
গান শুনতে গেলে যে মিউজিক প্লেয়ারের দেখা পাবেন সেটি খুব বেশি ফাংশনালিটি রিচ নয়। প্রিমো এফ ১-এর স্পিকারও মোটামুটি। সচরাচর বাজারে যেসব কমদামী চাইনিজ ফিচার ফোন পাওয়া যায়, সেগুলোর মতো দুনিয়া কাঁপানো সাউন্ডও নয় আবার খুব অল্প আওয়াজেরও সাউন্ড নয়। তবে মিউজিকের স্বাদ নিতে প্রিমো এফ ১-এর সঙ্গে হেডফোন ব্যবহার করাই ভালো হবে।
(স্বাস্থ্য সচেতনতাঃ দীর্ঘ সময় বা উচ্চ আওয়াজে হেডফোনে গান শোনা কানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।)
অন্যদিকে ভিডিও চালানোর সময় আমরা এমএক্স প্লেয়ার ব্যবহার করেছি। হার্ডওয়্যার ডিকোডিং-এ ৭২০পি এইচডি ভিডিও বারবার আটকে যাচ্ছিল। অবশ্য সফটওয়্যার ডিকোডিং দিয়ে ৭২০পি এইচডি ভিডিও স্মুথলিই চালানো গেছে। আর তাই ১০৮০পি এইচডি ভিডিও চালানোর কথা না ভাবাই উত্তম।
অ্যাপ্লিকেশন ও গেমস
ডিফল্ট গুগল অ্যাপ্লিকেশনগুলো ছাড়া ভালো কিছু অ্যাপ্লিকেশন যোগ করে দিয়েছে ওয়াল্টন। এর মধ্যে রয়েছে সিস্টেম ক্লিনআপ জাতীয় কাজের “অ্যান্ড্রয়েড অ্যাসিসট্যান্ট”, ফ্রি মেসেজিং ও ভয়েস কলের “ভাইবার মেসেঞ্জার”, বিভিন্ন ভাষায় লেখালেখির জন্য মাল্টিলিং ইত্যাদি। সেই সঙ্গে ক্রোম ব্রাউজার তো রয়েছেই।
এছাড়াও টেম্পল রান, অ্যাংরি বার্ডস ইত্যাদি কয়েকটি গেমও দিয়ে দেয়া হয়েছে। আর এর জিপিইউ মোটামুটি ভালো হওয়ায় ভালোমানের গেমগুলোও এতে ল্যাগ ছাড়াই চলার কথা।
সেন্সর
ওয়াল্টন প্রিমো এফ ১-এ রয়েছে জিপিএস, ব্লুটুথ, লাইট সেন্সর, অ্যাক্সেলেরোমিটার সেন্সর (মোশন সেন্সর), ম্যাগনেটিক ফিল্ড সেন্সর এবং প্রক্সিমিটি সেন্সর। এর সবগুলোই বেশ ভালোই কাজ করতে দেখা গেছে।
ক্যামেরা
মেগাপিক্সেল বলা হলেও ওয়াল্টন প্রিমো এফ ১-এ রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। তবে মেগাপিক্সেলই কিন্তু ক্যামেরার সব কিছু নয়। বেশি মেগাপিক্সেল মানেই যে ক্যামেরা বেশি ভালো, এই ধারণাও ভুল। ক্যামেরা কোয়ালিটির দিক দিয়ে ওয়াল্টন প্রিমোকে দেয়া যায় ৩/৫। কেননা, এর ছবি ভালো আসলেও “অসাধারণ” নয়।
বিল্ট-ইন কিছু ফাংশনালিটি রয়েছে ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশনে যার মধ্যে এইচডিআর উল্লেখযোগ্য। তবে যেখানে ক্যামেরাই ততোটা ভালো নয়, সেখানে এইচডিআর খুব একটা মন মাতানো হবে এমনটা আশা করার কোনো কারণ নেই।
উল্লেখ্য যে, দেশীয় ফোন হিসেবে প্রিমো এফ ১-এর ক্যামেরা যথেষ্টই ভালো। তুলনা করতে গেলে প্রায়ই আমরা সনি বা এইচটিসির ক্যামেরার সঙ্গে তুলনা করে ফেলি যার কারণে ভালো ক্যামেরাকেও খারাপ মনে হয়। কেনার সময় বা ব্যবহারের সময় এতটুকু মনে রাখবেন যে এটি দেশীয় কোম্পানির তৈরি, তাহলেই আপনার প্রত্যাশা যথাস্থানে চলে আসবে।
বেঞ্চমার্ক
সবশেষে বেঞ্চমার্ক ফলাফল। খুব একটা ইমপ্রেসিভ না। কেননা, ডিভাইস কেনার পর কোনো সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন না চালিয়েই স্টক রমের পারফরম্যান্স টেস্ট করতে বেঞ্চমার্ক করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন মুছে দিয়ে ও সিস্টেম পারফরম্যান্সের অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বেঞ্চমার্ক স্কোর কিছুটা বাড়ানো সম্ভব।
ব্যাটারি ব্যাকআপ ইন্টারনেট অফ রাখলে বেশ লম্বা সময় গেলেও ইন্টারনেট চালু থাকা অবস্থায় দ্রুত ড্রেইন হয়।
ওয়াল্টন প্রিমো এফ ১ : কিনবো কি কিনবো না?
দিনশেষে সিদ্ধান্ত আপনারই হবে। ওয়াল্টন প্রিমো কেনার পক্ষে যুক্তি হতে পারে অবিশ্বাস্য কম দামে মাত্র ৯,৯৯০ টাকায় আইসক্রিম স্যান্ডউইচ চালিত ৪ ইঞ্চি স্মার্টফোন যেটায় আপনি হাই-ডেফিনিশন মুভি দেখতে পারবেন, ভালো গেম খেলতে পারবেন ও ৩জি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারাক্ষণ অনলাইনে কাটাতে পারবেন।
সবমিলিয়ে ৯,৯৯০ টাকা খরচ করে আপনি যে ডিভাইস পাচ্ছেন তা আসলেই আপনার পয়সা উসুল করবে। তাই আমাদের জিজ্ঞেস করলে আমরা বলবো, ওয়াল্টন প্রিমো এফ ১ আসলেই একটি ভালো ডিভাইস।
ওয়াল্টন প্রিমো এফ ১ ফোনটি কি আপনার পছন্দ হয়েছে? ডিভাইসটি ইতোমধ্যেই ব্যবহার করছেন? প্রিমো এফ ১ সম্পর্কে আপনার মতামত অবশ্যই আমাদের মন্তব্যের ঘরে লিখে জানাবেন।