এক নজরে Walton এর নতুন ফোনগুলো (R1, F1, G1, G2)

বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই ওয়াল্টন স্মার্টফোন বাজারে যাত্রা শুরু করে। তাদের প্রথম স্মার্টফোন ছিল ওয়াল্টন Primo যেটি ব্যবহারকারীর কাছে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেই ধারাবাহিকতা ধরে তারা আরও ৪টি নতুন মডেলের স্মার্টফোনের প্রদর্শনী করছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়। শিগগিরই এসব স্মার্টফোন দেশব্যাপী ওয়াল্টনের শো-রুমসমূহে বিক্রি হবে বলে জানানো হলেও স্পেসিফিকেশনের দিক দিয়ে বেশ ভালো এসব ফোনের দাম নিশ্চিতভাবে জানায়নি ওয়াল্টন।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ওয়াল্টনের প্যাভিলিয়নে নতুন এই স্মার্টফোনগুলোর প্রদর্শনী চলছে। যারা এরই মধ্যে বাণিজ্য মেলা ঘুরে এসেছেন, তারা হয়তো হাতে নিয়েও দেখে এসেছেন এসব ফোন। কিন্তু যারা এখনও যাওয়ার সুযোগ পাননি, তাদের ওয়াল্টনের নতুন ফোনগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতেই আজকের এই পোস্ট।

Walton Primo R1

Walton Primo R1

Walton Primo R1-এ থাকছে  ডুয়েল কোর ১.২ গিগাহার্জ Qualcomm এর প্রসেসর, ৪ ইঞ্চি আকারের আইপিএস ডিসপ্লে যার রেজুলেশন 800X480 পিক্সেল। গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিটের কথা এখনও জানা যায়নি। এতে রয়েছে ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম এবং ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ যা মাইক্রো-এসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো সম্ভব। এছাড়াও এর ব্যাটারির ক্ষমতা ১৫০০ mAh.

ফোনটিতে চলছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.০.৪ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ । পাশাপাশি রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা (অটো ফোকাস), ভিজিএ ফ্রন্ট ক্যামেরা, রেডিও,  ব্লুটুথ, জিপিএস, অ্যাক্সেলেরোমিটার, প্রক্সিমিটি সেন্সর, কম্পাস, ওয়াই-ফাই ও ৩জি সুবিধা। এগুলো হচ্ছে এক নজরে Walton R1 এর স্পেসিফিকেশন। দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে এর দাম ১৫ হাজার টাকার কমবেশি হবে।

Walton Primo F1

walton primo f1

Walton Primo F1-এ রয়েছে ১ গিগাহার্জ সিঙ্গেল কোর Qualcomm প্রসেসর, 800X480 পিক্সেল রেজুলেশনের আইপিএস ডিসপ্লে, ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম এবং ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ যা মাইক্রো-এসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো সম্ভব। এর গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য জানা যায়নি। এছাড়াও এর ব্যাটারির ক্ষমতা ১৫০০ এমএএইচ।

এ ফোনটিতে চলছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.০.৪ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ । পাশাপাশি সেটটিতে রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা (অটো ফোকাস), ভিজিএ ফ্রন্ট ক্যামেরা, রেডিও, ব্লুটুথ, জিপিএস, অ্যাক্সেলেরোমিটার, প্রক্সিমিটি সেন্সর, কম্পাস, ওয়াই-ফাই ও ৩জি সুবিধা। প্যাভিলিয়ন সূত্রে জানা গেছে এর দাম ১২ হাজার এর থেকে একটু বেশি বা কম হবে।

Walton Primo G1

Walton Primo G1

Walton Primo G1-এ থাকছে  ডুয়েল কোর ১ গিগাহার্জ Qualcomm এর প্রসেসর,  ৪.৩ ইঞ্চি আকারের আইপিএস ডিসপ্লে যার রেজুলেশন 800X480 পিক্সেল। এছাড়াও এতে রয়েছে ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম এবং ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ যা মাইক্রো-এসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো সম্ভব। তবে অন্য ডিভাইসগুলোর তুলনায় এর ব্যাটারির ক্ষমতা একটু বেশি। ১৮০০ এমএএইচ।

এ ফোনটিতে চলছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.০.৪ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ । পাশাপাশি সেটটিতে রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ভিজিএ ফ্রন্ট ক্যামেরা, রেডিও, ব্লুটুথ, জিপিএস, অ্যাক্সেলেরোমিটার, প্রক্সিমিটি সেন্সর, কম্পাস, ওয়াই-ফাই ও ৩জি সুবিধা।  এ্ই ডিভাইসের দাম ১৩ হাজার টাকার আশেপাশে হতে পারে বলে জানা গেছে।

Walton Primo G2

Walton primo g2

Walton Primo G2-এ থাকছে  ডুয়েল কোর ১.২ গিগাহার্জ Qualcomm এর প্রসেসর, ৪.৫ ইঞ্চি আকারের আইপিএস ডিসপ্লে যার রেজুলেশন 540×960 পিক্সেল। এছাড়া বাকি সব স্পেসিফিকেশন ওয়াল্টন প্রিমো জি১-এর মতোই। কেবল ডিসপ্লের আকার ও রেজুলেশনেই পার্থক্য রাখা হয়েছে। তবে বাড়তি রেজুলেশন ও আকারের জন্য আপনাকে প্রায় তিন হাজার টাকা বেশি গুণতে হতে পারে। অর্থাৎ, ১৫ হাজার টাকার আশেপাশে বিক্রি হতে পারে ওয়াল্টন প্রিমো জি২।

প্রিমো সিরিজের সবচেয়ে দামি এই ফোনের সঙ্গে উপহার হিসেবে রয়েছে ৩টি ফ্রি ব্যাক কভার। এছাড়াও বাজারে আসার পর প্রতিটি ফোন এর সাথে ক্রেতা ৮ গিগাবাইট ফ্রি মেমোরি কার্ড পাবেন।

এখন সবকিছু আপনাদের উপর নির্ভর করে। আপনার যেটা ভালো লাগে সেটাই নিয়ে নিতে পারেন। আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যেই ডিভাইসগুলোর বিক্রি শুরু হবে বলে জানা গেছে (সূত্রঃ ওয়াল্টন প্যাভিলিয়ন, শুক্রবার, ২৫শে জানুয়ারি)।

এডিটর’স নোটঃ স্পেসিফিকেশনের বিচারে এ কথা বলাই যায় যে আসলেই ভালো কিছু ডিভাইস এনেছে ওয়াল্টন যেগুলো সিম্ফনির W30, W70 কিংবা W80, W90-এর চেয়েও বেশ ভালো বলা চলে। এর কারণ হলো, প্রিমোর সবগুলোতেই প্রায় একই স্পেসিফিকেশন দেয়া হয়েছে। ৩জি রয়েছে, ভালো প্রসেসর ও স্ক্রিন রেজুলেশন দেয়া হয়েছে, দামও মোটামুটি হাতের নাগালেই রাখা হয়েছে। কিন্তু অনেক পাঠকই মন্তব্য করেছেন, সিম্ফনির নতুন সবগুলো ফোনেই কোনো না কোনো সমস্যা রেখে দেয়া হয়েছে। সেদিক দিয়ে ওয়াল্টনের ডিভাইসগুলোর একটিই বড় সমস্যা, আর তা হলো কম র‌্যাম।

তবে একটি ব্যাপারে আমরা একমত যে, ১৫,০০০ টাকা বাজেট নিয়ে অ্যান্ড্রয়েড কিনতে গেলে মাথা খারাপ হবার যোগাড় হবে যে কোনো ক্রেতার। আর “সিম্ফনি নাকি ওয়াল্টন (নাকি মাইক্রোম্যাক্স)” এমন প্রশ্নেরও কোনো ছোট উত্তর দেয়ার সুযোগ নেই। প্রত্যেকেই ভালো ভালো কিছু ডিভাইস আনছে। তাই কেনার আগে যাচাই করে নিন, ডিভাইস হাতে নিয়ে ঘেঁটে দেখুন ও পছন্দসই ডিভাইসটিই কিনুন।

স্পেসিফিকেশনের বিচারে আপনার পছন্দের ফোন কোনটি?