২০১১ সালে যা ঘটেছিল, ঠিক তারই পুনরাবৃত্তি ঘটলো ২০১২ সালেও। ২০১১ সালে অ্যাপলের আইফোন ৪-কে হারিয়ে দিয়ে সেরা স্মার্টফোনের খেতাব ছিনিয়ে নেয় স্যামসাং-এর গ্যালাক্সি এস ২। এবার সম্প্রতি টি৩ অ্যাওয়ার্ড আবারও স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ ফোন গ্যালাক্সি এস ৩-এর কাছেই গেলো। আর হ্যাঁ, তা আইফোন ৪এস-কে পেছনে ফেলেই। আইফোন ৫-এর সঙ্গে তুলনা করা হয়নি। হয়তো সেরা স্মার্টফোনের বিচার শুরু হয়েছে আইফোন ৫ বাজারে আসার আগেই।
আরও পড়ুনঃ স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৩ বনাম অ্যাপল আইফোন ৫
এই অ্যাওয়ার্ডে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৩-এর সঙ্গে ছিল আইফোন ৪এস, নকিয়া লুমিয়া ৯০০, এইচটিসি ওয়ান এক্স ইত্যাদি। টি৩ জানিয়েছে, ৪.৮ ইঞ্চি সুপার এমোলেড স্ক্রিনের গ্যালাক্সি এস ৩ সব প্রত্যাশার বাইরে সুবিধা দিচ্ছে। ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা যা কোনো শাটার ল্যাগ ছাড়াই অত্যন্ত দ্রুতগতিতে একের পর এক ছবি তুলে যেতে পারে ও ১০৮০পি হাই-ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ড করতে পারে, এটি ছবি তোলার পর নিজে নিজেই বন্ধুদের ফেস ডিটেক্ট করতে ও তাদের ট্যাগ করতে সক্ষম। এছাড়াও একে কথার মাধ্যমে নির্দেশ দেয়ার জন্য রয়েছে এস ভয়েস সুবিধা, মোশন কন্ট্রোল ডিরেক্ট কল সুবিধা, স্মার্ট এলার্ট সুবিধা, স্মার্ট স্টে সুবিধা যেটি যতক্ষণ আপনি ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে আছেন ততক্ষণ পর্যন্ত ডিভাইসের আলো নেভাবে না, নিয়ার-ফিল্ড কমিউনিকেশন বা এনএফসি প্রযুক্তি এবং এই সব কিছুকে শক্তি যোগাতে স্যামসাং-এর নিজস্ব ১.৪ গিগাহার্জ কোয়াড কোর এক্সিনস প্রসেসর ছাপিয়ে গেছে সব প্রত্যাশা।
এছাড়াও টি৩ মন্তব্য করেছে, গ্যালাক্সি এস ২-এর ‘সফল উত্তরসূরী’ হিসেবেই গ্যালাক্সি এস ৩ কে বিবেচনা করা হচ্ছে। আর এর অসাধারণ ও আকর্ষণীয় সব সুবিধা একে ২০১২ সালের সেরা স্মার্টফোন করে তুলেছে।
অবশ্য বিচারে আইফোন ৫-কে না আনায় অনেকে মনে করছেন ছাড় পেয়ে গেছে গ্যালাক্সি এস ৩। তাদের মতে, আইফোন ৫-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতাটা করলে নির্ঘাত হারতো গ্যালাক্সি এস ৩। তবে কী হতে পারতো তার চেয়ে বড় ব্যাপার এই যে, ২০১২ সালের সেরা স্মার্টফোনের খেতাব এখন স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৩-এর ঘরে। অন্য কথায়, অ্যান্ড্রয়েডই আইওএস ও উইন্ডোজ ফোনকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার কী মত?